মৃত্তিকা দূষণ
মাটি দূষণ বা মৃত্তিকা দূষণ বলতে রাসায়নিক বর্জ্যের নিক্ষেপ কিংবা ভূ-গর্ভস্থ ফাটলের কারণে নিঃসৃত বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হওয়াকে বুঝানো হয়ে থাকে। [১]
কারণ[সম্পাদনা]
মৃত্তিকা দূষণ বা মাটি দূষণ নিম্নরূপে সংঘটিত হতে পারে -
- প্লাস্টিক ও কাচ যেখানে সেখানে ফেলা।
- ভূ-তলে সংরক্ষিত ট্যাঙ্কের জ্বালানী বিস্ফোরণ।
- আগাছানাশক, কীটপতঙ্গ ধ্বংসকারী কীটনাশক এবং সারের প্রয়োগ।
- খনিজ দ্রব্য আহরণ
- কয়লা, ইটভাটার ছাই।
- আবর্জনা ভূমির স্তুপ।
- উৎপাদিত শিল্পজাত বর্জ্যকে সরাসরি ভূমিতে নিষ্কাশন।
- পয়ঃনিষ্কাশনে ব্যবহৃত জল ভূমিতে প্রয়োগ।
- প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য মৃত্তিকার সাথে মিশে মৃত্তিকা দূষণ ঘটায়।
- অতিরিক্ত পরিমাণ বনভূমি ধ্বংসের ফলে মৃত্তিকা দূষণ হয়।
মূলত সাধারণ রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে পেট্রোলিয়াম হাইড্রোজেন ও কার্বনের মিশ্রিত যৌগ, কীটনাশক, সীসা এবং অন্যান্য ভারী পদার্থ মৃত্তিকা দূষণের জন্যে দায়ী।
মৃত্তিকা দূষকের শ্রেণিবিভাগ[সম্পাদনা]
প্রকৃতি অনুসারে মৃত্তিকা দূষককে নিম্নলিখিতভাবে ভাগ করা যায়; যথা-
১. জীব-সংক্রান্ত দূষণ
২. পরিপোষক দূষণ
৩. অজৈব পদার্থঘটিত দূষণ
৪. জৈব পদার্থঘটিত দূষণ
5. অ্যাসিড দূষণ
৬. তেজস্ক্রিয় পদার্থঘটিত দূষণ এবং
৭. প্লাস্টিক দূষণ
মানুষ যেভাবে দূষণের সংস্পর্শে আসে[সম্পাদনা]
তিনটি উপায়ে মানবদেহে মাটি দূষণের উপকরণ প্রবেশ করতে পারে– ক. খাবার গ্রহণ খ. শ্বসন গ. ত্বকীয় শোষণ বা ত্বক ভেদ করে ঢুকে যাওয়া[২] জিওফ্যাগি অর্থাৎ মৃত্তিকা-ভক্ষণের মাধ্যমে সরাসরি বা ঘটনাচক্রে কাঁচা খাবারের সঙ্গে মাটি মুখে প্রবেশ করতে পারে।[৩]
মানবদেহে মাটি দূষণের প্রভাব[সম্পাদনা]
গৃহীত মাটি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে পারে ঠিকই, তবে সেই সঙ্গে ভারী ধাতু, জৈব রাসায়নিক বা প্যাথোজেনও ঢুকে যেতে পারে, অধিক মাত্রায় যেসব পদার্থ ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্রে বাধার সৃষ্টি করে।[৪] মাটি-সম্পৃক্ত ধূলা প্রশ্বাসের সাথে ঢুকলে কক্সিডিয়োডোমাইকোসিস, ব্রঙ্কিয়ার পথের মধ্যে তীব্র ফোলা, এমফাইজ়েমা, ফাইব্রোটিক পরিবর্তন দেখা দেয় (ফাইব্রোসিস: চোট পেলে শরীরের সংযোজক কোষকলা শুকিয়ে উঠে পুরু হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া)।[৫] মাটি দূষণের ফলে পোডোকোনায়োসিস নামে আরেকটি অসংক্রামক রোগ হতে পারে যেটা আগ্নেয়গিরিজাত কাদায় নগ্ন পায়ে হাঁটলে হতে পারে। এ রোগ লসিকাতন্ত্রের কাজ ব্যাহত করতে পারে। স্রেফ পায়ে জুতা পরে হাঁটলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।[৬]কি
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Environmental Protection Agency link to health effects of specific pollutants cited in this article
- Portal for soil and water management in Europe Independent information gateway originally funded by the European Commission for topics related to soil and water, including contaminated land, soil and water management.
- Sound blaster cleans contaminated soil - High powered ultrasound can clean up soil tainted with organic toxins like PCBs or DDT
- Article on soil contamination in China
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- ↑ "Soil Pollution"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Brevik EC. Soils and human health: An overview. In: Brevik EC, Burgess LC, editors. Soils and Human Health. CRC Press; Boca Raton, FL, USA: 2013. pp. 29–56.
- ↑ von Lindern I, Spalinger S, Stifelman ML, Stanek LW, Bartrem C. Estimating children’s soil/dust ingestion rates through retrospective analyses of blood lead biomonitoring from the Bunker Hill Superfund Site in Idaho. Environmental Health Perspectives. 2016;124:1462–1470.
- ↑ Henry JM, Cring FD. Geophagy: an anthropological perspective. In: Brevik EC, Burgess LC, editors. Soils and Human Health. CRC Press; Boca Raton, FL, USA: 2013. pp. 179–198.
- ↑ J.J. Steffan, E.C. Brevik, [...], and A. Cerdà। "The Effect of soil on human health"। European Journal of Soil Science।
- ↑ Deribe K, Tomczyk S, Tekola-Ayele F. Ten years of podoconiosis research in Ethiopia. PLoS Neglected Tropical Diseases. 2013;7:e2301.