মৃত্তিকা চাকমা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মৃত্তিকা চাকমা
জন্ম১২ জানুয়ারী ১৯৫৮
মৃগাছড়ি, বন্দুকভাঙ্গা, রাঙ্গামাটি
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার ২০২৩

মৃত্তিকা চাকমা (জন্ম: ১২ জানুয়ারী ১৯৫৮) বাংলাদেশি নাট্যকার। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০২৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[১][২][৩]

জন্ম ও শৈশব[সম্পাদনা]

মৃত্তিকা চাকমা ১৯৫৮ সালের ১২ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা মৌজার মুগছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন

শিক্ষা[সম্পাদনা]

তিনি লোগাং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করে শেষ হয় ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ (স্নাতক) এম.এ (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রী অর্জনের মাধ্যমে।

কর্ম জীবন[সম্পাদনা]

কবি মৃত্তিকা চাকমা মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ে ১৯৮৫ সাল থেকে এখনো শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন জুম ইসথেটিক কাউন্সিল জাক এর নীতি নির্ধারক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি জাক-এর সাথে সম্পৃক্ত থেকে এবং নিজ উদ্যোগে জুমিয়া সাহিত্য সংস্কৃতির অগ্রগতি সাধনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া আদিবাসী কবিতা পরিষদ, হিল চাদিগাং থিয়েটার সহ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে থেকেছেন।

সাহিত্য কর্ম[সম্পাদনা]

তার সৃষ্ট নাটকের মধ্যে দেবঙসি আহধর কালা ছাবা (১৯৮৯), গোঝেন (১৯৯০), মহেন্দ্রর বনবাঝ (১৯৯২), একজুর মান্নেক (১৯৯৩), জোঘ্য (১৯৯৯), হককানির ধনপানা (২০০১), একাত্তর তরুণী (২০০২), ভূত, থবাক (২০০৫), বান (২০০৮), কর্মফল (২০১২), মোনফুল (১৯৯০), উদোশিঙর খানা গুদি (১৯৯৭), তুলোপুধি বাবর মাধা ধনা (১৯৯৭), গুণমনে স্কুলত যেব (২০০০), নেতার চবাত (নাটিকা), থগ (নাটক), জামেই মারা (চাকমা কিংবদন্তী নাটক), কুন্ডলী বালার অর্হত (কাব্য নাটক), আভা (পরিবেশ বিষয়ক চাকমা নাটিকা), শান্তি দেবী জদন হলা (নাটিকা), আঙস্যা সদগ (নাটিকা), জামুরো (নাটিকা), শিদোলো তাবা দি' বিনি ভাত (নাটিকা), পার্বতী মা (নাটিকা), চন্ডি চরনার খানাগুলি (নাটিকা), কাবাহুল (নাটিকা), ছি মোকে লাদি ভাত (নাটিকা), নিজ অহরখ শিখিবং (নাটিকা), তানজাং (নাটিকা) উল্লেখযোগ্য।

সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • তোলবিচ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১),
  • জাতীয় সাহিত্য পরিষদ, ঢাকা (২০০৩),
  • স্বাধীনতা সংসদ সন্মাননা, ঢাকা(২০১০),
  • আন্তর্জাতিক জলঙ্গী কবিতা উৎসব সন্মাননা, নদীয়া ভারত (২০১০),
  • বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০২৩)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন যাঁরা"দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৪ জানুয়ারি ২০২৪। ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  2. "এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ১৬ জন"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৫ জানুয়ারি ২০২৪। ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. "এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন যারা"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৪ জানুয়ারি ২০২৪। ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০২৪