মধ্যযুগের ইউরোপে ইসলামি বিশ্বের অবদান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অজানা শিল্পীকর্তৃক একজন খ্রিষ্টান এবং মুসলিমের দাবা খেলার চিত্রায়ন।

ইউরোপীয় মধ্যযুগের শেষভাগে ইসলামিক বিশ্ব তার সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতার শীর্ষে পরিলক্ষিত হয় যাকে ইসলামি স্বর্ণযুগের ধারনার সাথে সম্পৃক্ত করা যায় এবং যা আন্দালুসিয়া, সিসিলি এবং লেভান্তের ক্রশেডার রাজ্যগুলোর ভেতর দিয়ে সমকালীন ইউরোপে তথ্য প্রবাহের মূল উৎস হিসেবে গড়ে ওঠে। খলিফা আল মামুন তাঁর বিখ্যাত অনুবাদ আন্দোলনের মাধ্যমে বৈশ্বিক সংস্কৃতির যে এক সার্বজনীন সমন্বয় সাধন করা হয়, তারই ফলাফল হিসেবে আমরা ইউরোপে সভ্যতাগত নবজাগরনের এক আন্দোলন দেখতে পাই, যাকে রেনেসাঁও বলা হয়ে থাকে। এসময়ে প্রাচীন গ্রিকল্যাটিন সভ্যতার উপাদানসমূহ, যা মধ্যযুগের ইউরোপ থেকে কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছিল তা যেন প্রাচ্যের, বিশেষত ইসলামী সভ্যতার ছোয়ায় আবারও আরও বৃহৎ পরিসরে এবং উন্নত আকারে ফিরে আসে। বিশেষত মুসলিম দার্শনিকদের একটি দৃঢ় প্রভাব প্রাকৃতিক দর্শন, মনোবিজ্ঞান এবং রূপকবিদ্যায় অনুভূত হয়েছিল।  অন্যান্য অবদানগুলোর মধ্যে সিল্ক রোডের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনসমূহ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেমন কাগজ এবং গানপাউডারের মতো চৈনিক আবিষ্কারগুলো। পাশাপাশি সুদূর ভারতবর্ষ, মধ্য-এশিয়া, স্তেপ এবং দূরপ্রাচ্যের বিভিন্ন উৎস থেকে সভ্যতাগত উপাদান নিয়ে ইসলামী বিশ্ব নিজে যেমন সমৃদ্ধ হয় তেমনি সমৃদ্ধির শিখরে পৌছে দেয় মধ্যযুগীয় ইউরোপকে। দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা, বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই অবদান দৃশ্যমান ছিল আর এখানেই মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় সভ্যতা, যাকে আধুনিক সভ্যতার প্রাথমিক উৎস বলা যায়, তাতে ইসলামী সভ্যতার অবদান প্রাসঙ্গিক। তবে এই অবদান শুধু অনুবাদ, সংরক্ষণ ও প্রচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং বিভিন্ন মৌলিক কর্ম এবং তা থেকে হওয়া প্রসার ও বহু নতুন ক্ষেত্রে সভ্যতাগত উৎকর্ষ সাধন এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এইসব অবদানের ক্ষেত্র এতোটাই ব্যাপক ছিল যে তা ভাষাবিজ্ঞান, সাহিত্য, কৃষি, আলকেমি, সঙ্গীত, মৃৎশিল্প থেকে শুরুকরে সমকালীন জ্ঞানের প্রায় সর্বক্ষেত্রে বিস্তৃত ছিল। চৈনিক গানপাউডার থেকে শুরু করে চিনি, তুলা, কফি ইত্যাদি বহু বানিজ্যিক উপাদানের পাশাপাশি আলকেমি, বীজগনিত, অ্যালগরিদমের মত শিক্ষায়তনিক বিষয়েও ইসলামী বিশ্বের অবদান পরিলক্ষিত হয়।

জ্ঞাণ প্রবাহের পথসমূহ[সম্পাদনা]

ইউরোপীয় এবং ইসলামিক ভূখন্ডগুলোর মধ্যে একাধিক যোগাযোগ কেন্দ্র ছিল। এগুলোর মধ্যে সিসিলি এবং স্পেন, বিশেষত স্পেনের টোলেডো অন্যতম। ৯৬৫ অব্দে মুসলিমদের সিসিলি বিজয়ের পরে থেকে ও অতঃপর ১০৯১ সালে নরম্যান জাতির দ্বারা বিজিত হওয়ার পরেই এই অঞ্চলে একটি আরব-নরমান-বাইজান্টাইন সমন্বিত সংস্কৃতির আবিরভাব ঘটে। ক্রশেডারগনও ইউরোপ আর লেভান্টের মধ্যের বিনিময়ভিত্তিক যোগাযোগের বৃদ্ধি করেন যেখানে ইতালীয় সামুদ্রিক প্রজাতন্ত্রগুলো এই বিনিময়ের মহাযজ্ঞে এক প্রধান ভূমিকা পালন করে। লেভান্টের এন্টিয়কের মত শহরগুলোতে আরব ও ল্যাটিন সংস্কৃতি গভীরভাবে মিশ্রিত হয়।[১] একাদশ ও দ্বাদশ শতকে বহু খ্রিস্টান পন্ডিতব্যক্তিত্ব মুসলিমভূমিতে ভ্রমণ করেন, বিজ্ঞান শেখার উদ্যেশ্যে। তন্মধ্যে লিওনার্দো ফিবোনাচ্চি, বাথের এডেলারড, আফ্রিকান কন্সট্যান্টিন প্রমূখের মত বিজ্ঞজন রয়েছেন। একাদশ থেকে চতুর্দশ শতকে ইউরোপে বহু ছাত্র ইসলামীক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে চিকিৎসাশাস্ত্র, দর্শন, গনিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান সহ আরও বহু বিষয়ে পড়তে আসতেন।[২]

দর্শন[সম্পাদনা]

অ্যারিস্টটলবাদ[সম্পাদনা]

বিজ্ঞান[সম্পাদনা]

আলকেমি বা রসায়ন[সম্পাদনা]

জ্যোতির্বিদ্যা[সম্পাদনা]

গনিত[সম্পাদনা]

পদার্থবিজ্ঞান[সম্পাদনা]

চিকিৎসাশাস্ত্র ও ঔষধ প্রকৌশল[সম্পাদনা]

প্রযুক্তি ও শিল্প[সম্পাদনা]

প্রযুক্তি[সম্পাদনা]

কৃষি[সম্পাদনা]

বস্ত্রশিল্প[সম্পাদনা]

চারুলিপিশিল্প[সম্পাদনা]

গালিচাশিল্প[সম্পাদনা]

কাঁচশিল্প[সম্পাদনা]

মুদ্রাশিল্প[সম্পাদনা]

সাহিত্য[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Lebedel, p.109–111
  2. Ghazanfar, Shaikh M. (২০০৭)। Medieval Islamic economic thought: filling the "great gap" in European economicsPsychology Press। পৃষ্ঠা 126। আইএসবিএন 978-0-415-44451-4