ভিনসেন্ট ট্যানক্রেড
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ভিনসেন্ট ম্যাক্সিমিলিয়ান ট্যানক্রেড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৭ জুলাই, ১৮৭৫ পোর্ট এলিজাবেথ, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩ জুন, ১৯০৪ ফ্লোরিডা, রুডপুর্ট, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | বার্নার্ড ট্যানক্রেড (ভ্রাতা); লুইস ট্যানক্রেড (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৪৪) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ |
ভিনসেন্ট ম্যাক্সিমিলিয়ান ট্যানক্রেড (ইংরেজি: Vincent Tancred; জন্ম: ৭ জুলাই, ১৮৭৫ - মৃত্যু: ৩ জুন, ১৯০৪) কেপ প্রদেশের পোর্ট এলিজাবেথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গটেং দলের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন ভিনসেন্ট ট্যানক্রেড।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
[সম্পাদনা]দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে ক্রিকেটপ্রেমী পরিবারে ভিনসেন্ট ট্যানক্রেডের জন্ম। তার অপর ভ্রাতা - বার্নার্ড ট্যানক্রেড ও লুইস ট্যানক্রেডের সাথে একত্রে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। কিশোর বয়সেই সহজাত ক্রিকেট প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটাতে তৎপরতা দেখান। প্রিটোরিয়াভিত্তিক ইউনিয়ন ক্লাবে খেলতে শুরু করেন। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও ঝাপিয়ে পড়েন তিনি। আলবার্ট ট্রটের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারে রূপান্তরে সচেষ্ট হন।
১৮৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ১৮৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত ভিনসেন্ট ট্যানক্রেডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর অধিকারী ছিলেন তিনি। ব্যাটসম্যান, বোলার ও উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন তিনি। ৭ মার্চ, ১৮৯৮ তারিখে এবি বেইলি ট্রান্সভাল একাদশের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। নাটালের বিপক্ষে ঐ খেলায় তিনি ৫৭ ও অপরাজিত ৪ রান তুলেন। ১৮৯৭-৯৮ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ব্যাটিং গড়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের বিপক্ষে ট্রান্সভালের সদস্যরূপে খেলেন। এরপর ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষেও খেলেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
[সম্পাদনা]সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ভিনসেন্ট ট্যানক্রেড। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। জোহেন্সবার্গে সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৮ ও ৭ রান তুলেন। এরফলে, দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়েন তিনি।
যুদ্ধে অংশগ্রহণ
[সম্পাদনা]১৮৯৯ সালে অ্যাংলো-বোর যুদ্ধ শুরু হবার পূর্ব-পর্যন্ত প্রিটোরিয়া ক্লাবের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। যুদ্ধকালীন সাউথ আফ্রিকান লাইট হর্সে তালিকাভূক্ত হন। লেডিস্মিথ অবরোধকালে লেফটেনেন্ট ছিলেন।
যুদ্ধের পর নিকশ ঘরে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে প্রত্যাবর্তনের আশা ছিল তার। তবে, ১৯০২ সালে সফররত অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে ট্রান্সভালের সদস্যরূপে ১ ও ০ রান তুললে টেস্ট সিরিজে খেলার স্বপ্ন তিরোহিত হয়ে যায়। তাসত্ত্বেও, ১৯০৪ সালে ইংল্যান্ড গমনের লক্ষ্যে দলে ভেড়ার চেষ্টা চালালেও তাকে কেবলমাত্র সংরক্ষিত দলে রাখা হয়। এরপর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি।
কোন এক সন্ধ্যায় জোহেন্সবার্গের ক্লাবে বন্ধুদের নিয়ে বিলিয়ার্ড খেলাকালীন রিভলভার ধার নেন ও অবস্থানকৃত রুডপুর্টের হোটেলে ফিরে যান। সেখানে নিজ মাথা লক্ষ্য করে তিনবার গুলি করেন। ঐ হোটেলে অবস্থানকারী তার ভ্রাতা বার্নার্ড গুলির আওয়াজ শুনতে পান। চার ঘণ্টা পর ৩ জুন, ১৯০৪ তারিখে মাত্র ২৯ বছর বয়সে রুডপুর্টের ফ্লোরিডা এলাকায় ভিনসেন্ট ট্যানক্রেডের জীবনাবসান ঘটে।
ব্যক্তিগত জীবনে চীরকুমার ছিলেন ও কোন উত্তরাধিকারী রেখে যাননি। ট্যানক্রেডের ভ্রাতা লুইস তখন ইংল্যান্ডে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে গমন করেন। তার মৃত্যু সংবাদে দল থেকে সাময়িকভাবে নিজেকে সরিয়ে রাখেন। এরপর কিছু উল্লেখযোগ্য রান ভিনসেন্টের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "South Africa – Players by Test cap"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "South Africa – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- রবার্ট ডোয়ার
- ক্লেম উইলসন
- এক টেস্টের বিস্ময়কারী
- ইস্টার্ন প্রভিন্স ক্রিকেট দল
- দক্ষিণ আফ্রিকান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Hall, B. T. & Schulze, H. (2000) "The Cricketing Brothers Tancred, Part 2", The Cricket Statistician, No. 112. Association of Cricket Statisticians and Historians, Cardiff, pp. 7–14.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ভিনসেন্ট ট্যানক্রেড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ভিনসেন্ট ট্যানক্রেড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)