ব্লেয়ার পোকক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্লেয়ার পোকক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামব্লেয়ার অ্যান্ড্রু পোকক
জন্ম (1971-06-18) ১৮ জুন ১৯৭১ (বয়স ৫২)
পাপাকুরা, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কএমজি পোকক (কাকা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৮৪)
১২ নভেম্বর ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২০ নভেম্বর ১৯৯৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৫ ১০০ ৫৯
রানের সংখ্যা ৬৬৫ ৪,৬৯৯ ১,৩৫৪
ব্যাটিং গড় ২২.৯৩ ২৯.৩৬ ২৫.৫৪
১০০/৫০ ০/৬ ১০/২২ ১/৬
সর্বোচ্চ রান ৮৫ ১৬৭ ১১৭
বল করেছে ২৪ ৭০০ ১৩৬
উইকেট -
বোলিং গড় - ৭৮.২৫ ২৭.২০
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ১/৭ ৩/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/- ৫২/- ২২/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ অক্টোবর ২০২০

ব্লেয়ার অ্যান্ড্রু পোকক (ইংরেজি: Blair Pocock; জন্ম: ১৮ জুন, ১৯৭১) অকল্যান্ডের পাপাকুরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড[১]নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ব্লেয়ার পোকক

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত ব্লেয়ার পোককের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অকল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে জাতীয় দলের কোচ ডেভিড ট্রিস্টের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ব্লেয়ার পোকক। ১২ নভেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে পার্থে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০ নভেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

১৯৯০-এর দশকের দূর্বলতর নিউজিল্যান্ড দলের অনেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের অন্যতম ছিলেন। তবে, টেস্ট ক্রিকেটে তিনি খুবই কম ভূমিকা রাখতে পেরেছিলেন। ২৩-এর কম গড়ে রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালের শুরুতে ইংল্যান্ডশ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তাকে খেলার সুযোগ দেয়া হয়। দূর্ভাগ্যবশতঃ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল ভেঙ্গে গেলে তাকে ১৯৯৮ সালের অধিকাংশ সময়ই মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল। তার এ অনুপস্থিতির সুযোগে ম্যাট হর্ন দলে স্থায়ীভাবে টেস্টের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে আবির্ভূত হন। এ অবস্থানের আরেকজন খেলোয়াড়ের অন্তর্ভূক্তির প্রশ্নে দল নির্বাচকমণ্ডলী ব্রায়ান ইয়ং, ম্যাথু বেলরজার টোজের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকেন।

অবসর[সম্পাদনা]

মাত্র ছয়টি টেস্টে খেলার পর কাঁধের সমস্যায় আক্রান্ত হলে তাকে অস্ত্রোপচার করতে হয়। এরফলে, এক বছরেরও অধিক সময় তাকে দলের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল। ব্রায়ান ইয়ংকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় ও তাকে দলে ফেরার জন্যে বেশ প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে উঠে। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে আঘাতের কবলে আক্রান্ত হলে ব্লেয়ার পোককের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

তার ভ্রাতৃষ্পুত্র মাইকেল গ্রেইম পোকক প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Auckland players"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৬ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]