বিষয়বস্তুতে চলুন

ব্রাড উইলিয়ামস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রাড উইলিয়ামস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ব্রাড অ্যান্ড্রু উইলিয়ামস
জন্ম (1974-11-20) ২০ নভেম্বর ১৯৭৪ (বয়স ৪৯)
ফ্রাঙ্কস্টন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
উচ্চতা১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৮৬)
১৭ অক্টোবর ২০০৩ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ টেস্ট২৪ মার্চ ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৫)
১১ জানুয়ারি ২০০২ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৫ মে ২০০৪ বনাম জিম্বাবুয়ে
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
ওয়ারিয়র্স
বুশরেঞ্জার্স
ডারহাম
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৫ ৬৯ ৯১
রানের সংখ্যা ২৩ ২৭ ৮৬০ ১৭৩
ব্যাটিং গড় ৭.৬৬ ১৩.৫০ ১৩.৮৭ ১৪.৪১
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১০* ১৩* ৪১* ২৩
বল করেছে ৮৫২ ১,২০৩ ১৩,৮০৭ ৪,৫১৮
উইকেট ৩৫ ২২৭ ১৩৯
বোলিং গড় ৪৫.১১ ২৩.২৫ ৩২.৬২ ২৩.৬৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ১০
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৫৩ ৫/২২ ৬/৭৪ ৫/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ৪/– ২৫/– ১৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ আগস্ট ২০২০

ব্রাড অ্যান্ড্রু উইলিয়ামস (ইংরেজি: Brad Williams; জন্ম: ২০ নভেম্বর, ১৯৭৪) ভিক্টোরিয়ার ফ্রাঙ্কস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ব্রাড উইলিয়ামস

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

ভিক্টোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন ও সেখানেই তিনি তার শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ব্রাড উইলিয়ামসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে উনিশ বছর বয়সী ডানহাতি ফাস্ট বোলার ব্রাড উইলিয়ামসের ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ভিক্টোরিয়া দলে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ না পেয়ে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে দল পরিবর্তন করে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। পার্থের ওয়াকায় বাউন্সি পিচে নিজস্ব সেরা ঘরোয়া মৌসুম অতিবাহিত করেন। ৫০টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান তিনি। ফলশ্রুতিতে, পরের বছরই তাকে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ এনে দেয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও পঁচিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ব্রাড উইলিয়ামস। ১৭ অক্টোবর, ২০০৩ তারিখে সিডনিতে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৪ মার্চ, ২০০৪ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

এক পর্যায়ে দূরন্ত গতিপনার কারণে তাকে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় হিসেবে ভাবা হতো। তবে, জানুয়ারি, ২০০১ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অক্টোবর, ২০০৩ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের জন্যে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। কিন্তু, সীমিত সুযোগের কারণে তাকে জাতীয় দলে নিয়মিতভাবে খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।

জিম্বাবুয়ে, ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অংশগ্রহণকৃত চার টেস্ট থেকে নয় উইকেট পেলেও ২৫টি ওডিআই থেকে ৩৫ উইকেট পান। দুইবার পাঁচ-উইকেট পান। ২০০৪ সালের শীতকালে জিম্বাবুয়ে সফরের পূর্ব-পর্যন্ত দলের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। এরপর থেকে পিঠ, কাঁধ ও হাঁটুর সমস্যায় ভুগতে থাকেন।

২০০১-০২ মৌসুমে মেলবোর্নে সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে ব্যক্তিগত সেরা সংগ্রহ অপরাজিত ১৩ রান তুলেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমে সিডনিতে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৫/২২ লাভ করেন।

২০০৩-০৪ মৌসুমে ভারত দল অস্ট্রেলিয়া গমনে আসে। মেলবোর্ন টেস্টে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এটিই তার সেরা সংগ্রহ ছিল। একই টেস্টে ৪/৫৩ পান ও ব্যক্তিগত সেরা টেস্ট বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।

২০০৫-০৬ মৌসুমের প্রথম তিন খেলায় ওয়ারিয়র্সের পক্ষে ৫৭.০০ গড়ে মাত্র পাঁচটি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভের ফলে তাসমানিয়ান টাইগার্সের বিপক্ষে চতুর্থ খেলা থেকে তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। এরফলে, প্রচণ্ড ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি ও প্রশিক্ষণ মৌসুমে অনুপস্থিত থাকেন এবং আইএনজি কাপের একদিনের খেলায় নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।

বিরূপ প্রতিক্রিয়া হিসেবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েন কর্তৃপক্ষ তার সাথে চুক্তি স্থগিত রাখে ও মৌসুমের বাদ-বাকী খেলায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। ২০০৬-০৭ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের দলের নামের তালিকায় তাকে বাদ দেয় ও কার্যত তার ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।[]

ক্রিকেট খেলা থেকে চলে আসার পর কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্টে চলে যান। সেখানে গৃহ রংমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতে থাকেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]