ব্যবহারকারী আলাপ:টিপ পঞ্চকোষ

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

--টিপ পঞ্চকোষ (আলাপ) ০৯:১৬, ১৩ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)শুভেচ্ছা নিবেন। একটা বিষয় বুঝতে পারছি না। আমি বেশ কিছু লেখা এখানে লিখছি কিন্তু পরবর্তীতে সংশোধন বা সংযোজনের জন্য সেই পাতাটি খুঁজে পাচ্ছিনা। বিশেষ করে 'আমাগের ঝিনেদা (ঝিনাইদহ-বাংলাদেশ)' লেখাটা সেই ভোর থেকে শুরু করে বিকেল অব্দি কিছুটা চুড়ান্ত করেছিলাম। কোথায় চলে গেছে খুঁজে পাচ্ছিনা। এ বিষয়ে পরামর্শ কাম্য-[উত্তর দিন]

আমিতো নানাভাবে চেষ্টা করলাম। আমার কাছে শেষ কোন সংরক্ষিত copy নাই কারণ বারবার সংরক্ষণের রাখলে, সেটা কপি পেস্ট হয়ে যাচ্ছে বলছেন। সেই কারণে সরাসরি লিখেছি, কোন তথ্য-উপাত্ত শেষের অনেক কিছু আমার কম্পিউটারে নেই। উপায়? টিপ পঞ্চকোষ (আলাপ) ০৯:২২, ১৩ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

কিভাবে লোড দিব সেটাইতো বুঝতে পারছিনা? মাথার মধ্য থেকে যে জিনিস একবার সৃষ্টি হয়, তা কি আবার লোড দেয়া যায়? টিপ পঞ্চকোষ (আলাপ) ০৯:২৪, ১৩ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আপনি কোন লেখার কথা বলছেন জানিনা। আপনি যদি সম্পাদনা মুডে সংরক্ষণ না করে রিলোড করেন বা ট্যাব ক্লোজ করেন বা অন্য পাতায় চলে যান, লেখা হারিয়ে যাবে। যদি সংরক্ষণ করেও থাকেন, এটা সম্ভব যে অন্য কেউ তা অপসারণ করেছেন। উইকিপিডিয়া কিন্তু যা ইচ্ছা লেখালেখির স্থান নয়, লেখা বিশ্বকোষীয় লেখা হতে হবে, প্রাসঙ্গিক স্থানে লিখতে হবে, উইকিপিডিয়ার বিভিন্ন নীতিমালা অনুযায়ী হতে হবে, না হলে অন্যকেউ মুছে দেবার সম্ভাবনা বেশি। আপনি আপনাকে নিয়মগুলো পড়ার পরামর্শ দিব, যেমন উইকিপিডিয়া কী নয় পাতাটি পড়তে পারেন। — AKanik 💬 ১০:০৮, ১৩ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

উইকিপিডিয়া থেকে দ্রুত অপসারণের জন্য উইকিপিডিয়া আলোচনা:উইকিপ্রকল্প বাংলাদেশ/ইতিহাস নামক নিবন্ধটিতে একটি ট্যাগ লাগানো হয়েছে। এটি নিম্নলিখিত কারণে করা হয়েছে:

অপ্রয়োজনীয় আলাপ পাতা

দ্রুত অপসারণ নীতি অনুসারে, যে সকল নিবন্ধ উইকিপিডিয়ার সাধারণ নীতিমালা অনুসরণ করেনি সেগুলো যেকোন মুহুর্তে অপসারণ করা হতে পারে।

আপনি যদি মনে করেন যে এই কারণে এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত নয়, তবে এই অপসারণে আপত্তি জানাতে নিবন্ধটিতে যেয়ে "দ্রুত অপসারণের আপত্তি করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন" লেখার উপর ক্লিক করুন ও সেখানে কারণ ব্যাখ্যা করুন কেন নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, কোনো নিবন্ধে দ্রুত অপসারণ ট্যাগ করা হলে, কোনো দেরি না করে নিবন্ধটি অপসারণ করা হয় যদি নিবন্ধটি দ্রুত অপসারণের বিচারাধারার সাথে মিলে যায়। অনুগ্রহপূর্বক আপনার নিজের তৈরি করা নিবন্ধ থেকে এ নোটিশটি সরিয়ে ফেলবেন না, তবে আমরা আপনাকে নিবন্ধটি সম্প্রসারণ করতে উৎসাহিত করছি। আরও মনে রাখবেন যে, নিবন্ধের বিষয় অবশ্যই উল্লেখযোগ্য হতে হবে এবং নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্রগুলো যাচাইযোগ্য হওয়া উচিত। যদি ইতিমধ্যে নিবন্ধটি অপসারিত হয়ে থাকে এবং আপনি ভবিষ্যতে এটির উন্নতি করতে এর বিষয়বস্তু ফেরত পেতে চান, তবে দয়া করে যে প্রশাসক এটি অপসারণ করেছেন তার সাথে যোগাযোগ করুননাহিয়ান আলাপ ০৯:৪৯, ১৩ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

ব্যবহারকারী আলাপ:টিপ পঞ্চকোষ[সম্পাদনা]

সুপ্রিয় উইকি (উ@w), শুভেচ্ছা নিবেন। আমাগের ঝিনেদা (ঝিনাইদহ-বাংলাদেশ) ও {(ক-ক্ষ) + (A to Z)}’এর সম্মিলিত সত্য প্রকাশ 'মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ' লিখা দুটি লেখক টিপ (Tip) এর সারা জীবনের সাধনার ঝিনেদার ঢোলসমুদ্র হতে দুই ঘটি জলের মতোই, মৌলিক লেখা। কোথাও আপত্তি থাকলে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে জানালে। অবশ্যই বিধি অনুসারে লেখা গুলো উন্নয়ন করা হবে। আপনাদের নীতিমালাসমূহ অধ্যায়ন করেছি।

ইতিমধ্যে টিপ পঞ্চকোষ’এর কিছু লেখা ও ছবি উইকিপিডিয়া’তে প্রকাশিত হয়েছে। তার মানে পলাশ টিপ, আপনাদের নিয়ম-কানুন কিছুটা বুঝে গেছে। আশা করি এবার যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারবে। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।

বি:দ্রঃ লেখাটা আপনাদের পছন্দ না হলে লেখক’কে লিখা ফেরত দেওয়া সাধারন ভদ্রতা হওয়া উচিত। আশা করি বিষয়টা বিবেচনা করবেন-

• [{(প)৫+(p)5} = {(ক-ক্ষ) + (A to Z)} = পঞ্চকোষ & {(ক-ক্ষ) + (A to Z)} ∩ {(স)৫ + (S)5} = পঞ্চকোষ](*আত্মা মন জ্ঞান ও ভার্চুয়াল জগতের সফটওয়্যার'কে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ করা যায় না) তাই = মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ। In the ‘Free World Ponchokosh' (মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ) there is a beginning but no end...[3]

শুভকামনায়- আপনাদের একান্ত ভক্ত টিপ পঞ্চকোষ টিপ পঞ্চকোষ (আলাপ) ১৪:৫০, ১৩ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

লেখা গ্রহণযোগ্য না হলে মুছে ফেলাটাই উইকিপিডিয়ার নিয়ম। যেসব লেখা উইকিপিডিয়ায় গ্রহণ হয় না, সেগুলো ব্লগ অথবা সামাজিক মাধ্যমে লিখতে পারেন। তাহলে উইকিপিডিয়ার নিয়মও লঙ্ঘন হবে না, আপনার লেখাও ইন্টারনেটে থাকবে। — AKanik 💬 ১৫:০২, ১৩ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

সুপ্রিয় উইকি (W@উ), শুভেচ্ছা নিবেন। শুভেচ্ছা নিবেন। আমাগের ঝিনেদা (ঝিনাইদহ-বাংলাদেশ) ও লেখক Tip এর মৌলিক লেখা। কোথাও আপত্তি থাকলে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে জানালে। অবশ্যই বিধি অনুসারে লেখাটা উন্নয়ন করা হবে। শুভকামনায়- আপনাদের একান্ত ভক্ত টিপ পঞ্চকোষ টিপ পঞ্চকোষ (আলাপ) ১৫:২২, ১৩ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

AKANIK টিপ পঞ্চকোষ (আলাপ) ১২:৫০, ১৪ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
ইচ্ছা করেই 'সাহিত্য কথা'র প্রচার প্রচারণা খুব বেশী করা হচ্ছে না। কারণ; ভালোবেসে সব কিছু জয় করা যায়, জোর করে নয়। প্রেম-ভালোবাসা, লেখাপড়া বা জ্ঞান চর্চা জোর করে হয় না।
পঞ্চম 'সাহিত্য কথা’র আসর যথাসময়ে শুরু করতে যেয়ে, সবে মাত্র তিনজন! অবশ্য কিছু সময়ের মধ্যে সূর্য সেনা পাঠাগার পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
এই পঞ্চম 'সাহিত্য কথা’র আসরে ইচ্ছা ছিল মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ দর্শন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে ছিল না।
পঞ্চকোষ বিষয়টির অনেক পুরানো ধারণা। তাই পঞ্চকোষ বিষয়টি বিভিন্ন ধর্ম ও দর্শনে বিশদ ব্যাখ্যা আছে। সবগুলো ঘুরেফিরে একই রকম, সামান্য কিছু মতভেদ আছে। সবগুলোকে মিলিয়ে আধুনিক নতুন দর্শন মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ। তাই বিষয়টি একটু জটিল ও স্পর্শকাতর। সঙ্গত কারণে;তাই লেখার মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হয়।
এক কথায় সব মিলিয়ে পঞ্চকোষ মানে; অন্নময়, প্রাণময়, মনোময়, বিজ্ঞানময় ও আনন্দময় কোষের সমাহার। যেমন মানুষ কোথাও ভ্রমণ করলে, অনেক পরেও চোখ বন্ধ করে, পঞ্চকোষ জাগ্রত করে, সেই জায়গাতে ভ্রমণ করা যায়। মায়ের গায়ের গন্ধ পাওয়া যায় অনুভব করা যায় অতীতের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার অনুভূতি এটা কিভাবে সম্ভব হয়?
এটা সম্ভব হয় মনকে উচ্চমার্গে নিয়ে গেলে, তখন সৃষ্টি হয় মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ। এই দর্শন নিয়ে থাকবে লিখাটিতে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। বিস্তারিত জানতে হলে 'সাহিত্য কথা'র আড্ডায় আসতে হবে। সবকিছু লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আনন্দময় মানে আনন্দ, বা আনন্দের সমন্বয়ে গঠিত; এটি পাঁচটি কোষের মধ্যে সবচেয়ে সূক্ষ্মতম। উপনিষদে আবরণকে কার্যকারণ শরীর নামেও পরিচিত। গভীর ঘুমে, যখন মন ও ইন্দ্রিয়গুলি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখনও এটি সসীম জগত ও আত্মের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে।
আনন্দময় কোষ পরম সুখের সমন্বয়ে গঠিত, তাকে সকলের অন্তর্নিহিত বলে গণ্য করা হয়। গভীর ঘুমের সময় ব্লিস শীট সাধারণত তার পূর্ণ খেলা থাকে: স্বপ্ন ও জাগ্রত অবস্থায়, এটি শুধুমাত্র আংশিক প্রকাশ আছে। আনন্দময় আবরণ (আনন্দময় কোষ) হল আত্মার প্রতিফলন যা সত্য, সৌন্দর্য, পরম আনন্দ।
যেমন পাঁচটি উপাদানের পঞ্চকোষ; পৃথিবী, জল, আগুন, বায়ু ও ইথার এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের প্রতিটির মধ্যে অনুরূপ সূক্ষ্মতার সাথে উপস্থিত হয়, তেমনি বুদ্ধিও পাঁচটি আবরণের প্রতিটির মাধ্যমে সূক্ষ্মতর কারণ এবং প্রভাবগুলিকে উপলব্ধি করে।
সনাতন ধর্ম মতে; অন্নময় কোষ সবচেয়ে মোটা আবরণ, পৃথিবীর উপাদানের উপর ভিত্তি করে, যা গণেশ দ্বারা সুরক্ষিত, যখন অতি সূক্ষ্মতম খাপ আনন্দময় কোয়ান্টা বা ইথার উপাদানের উপর ভিত্তি করে এবং সম্পূর্ণ অন্ধকারের একটি কালো চাকতি দ্বারা সুরক্ষিত। সূর্য, যা শুধুমাত্র গণেশ দ্বারা অপসারণ করা যেতে পারে।
সবচেয়ে সূক্ষ্ম আবরণের মধ্যে আত্মার প্রতিচ্ছবি সম্পর্কে সচেতনতা, আনন্দময় কোষ। যাইহোক; উপাদান, শক্তি, ইন্দ্রিয় কোষ যা পরিবেশন করে তা বোঝার ভিত্তি..
সেই লক্ষ্যে, দৈনিক ভক্তিমূলক ধ্যানে পাঁচটি কোষের উপাদানগুলি পুনরায় পরীক্ষা করে একুশটি ওম (ওঁ) অর্থাৎ, পাঁচটি উপাদানের প্রতি ওম, পাঁচটি প্রাণ, পাঁচটি ইন্দ্রিয় এবং পাঁচটি কোশ, বিশ ওম সমান..
তারপর একবিংশতম ওম অক্ষমদের জন্য দেওয়া হয়, যাতে শুদ্ধ বুদ্ধি, আলয়া নির্বিজ্ঞান, তথাগতের গর্ভে ক্রমবর্ধমান সূক্ষ্মতার আধ্যাত্মিক বিচক্ষণতা উদ্ভূত হয়, যেখানে নীরবতা আসে ও স্পষ্টতা প্রস্ফুটিত হয়।
কোন মানুষ যদি জাগতিক জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক জগতে প্রবেশ করে, তাহলে ধীরে ধীরে মানুষটি মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ এ রূপান্তরিত হয়। কাজটি কীভাবে হয়?
আত্মার কারণে মন চিন্তার সামর্থ অর্জন করে। কিন্তু আত্মা স্বয়ং চিন্তা করতে পারে না। এই দর্শন অনুযায়ী আত্মার কোনো আকার নেই। একে প্রত্যক্ষ করা, ধরা, ছোঁয়া বা কোনো কিছু দিয়ে কাটা যায় না বলে মনে করা হয়।
আত্মাকে শুধুমাত্র অনাত্মাকে অস্বীকার করে শনাক্ত করা যায়। পঞ্চকোষ হল অনাত্মা যা আত্মাকে লুকিয়ে রাখে, এই কোষ বা খাপগুলিকে পদ্ধতিগতভাবে অপসারণ করতে হয়। তাদের অপসারণ শূন্যতা সামনে নিয়ে আসে যা শূন্যতাও অপসারণ করা প্রয়োজন।
নেতিবাচক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঁচটি আবরণ ফলে শূন্যতা অপসারণের পরে, যা অবশিষ্ট থাকে তা হল আত্মা; এবং তারপর অহঙ্কার থেকে শুরু হওয়া সমস্ত পরিবর্তনের অ-অস্তিত্ব স্ব-সাক্ষী, যে স্বয়ং সাক্ষী সে নিজেই পরম স্বয়ং।
এই পাঁচটি আবরণ আত্মাকে আবৃত করে। বেদান্ত স্থূল ব্রহ্মাণ্ডের অভিব্যক্তিকে কল্পনা করে যে মায়ার মেঘ থেকে ব্রহ্মের মুখ ঢেকে স্থূল ভূত বা স্থূল বস্তুর সমস্ত বহুমুখী দিক সহ স্থূল শক্তি বলে অনেকে মনে করেন।
পাণিনির ব্যাকরণের (৫.৪.৩১) প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বদরায়ণ ব্যাখ্যা করেছেন যে অন্নময় (খাদ্য দিয়ে তৈরি), প্রাণময় (অত্যাবশ্যক বাতাসের তৈরি) ইত্যাদির মত প্রত্যয় মায়াত, 'এর তৈরি' অর্থ বোঝানোর পাশাপাশি প্রাচুর্য এবং পূর্ণতা অনুভূতি হিসাবে ভাল। যে কারণে বারবার বলা হয়; ব্রহ্ম হলেন আনন্দময় (আনন্দময়) স্বয়ং।
পঞ্চকোষ বা দেবনাগরী, শরীরের স্তর যা আপাতদৃষ্টিতে আত্মাকে (আত্ম বা চেতনা) আবৃত করে। মহাবাক্যের ত্বাম (তুমি) পদার্থ পঞ্চকোষের বিশ্লেষণের দ্বারা নির্ধারিত হয় যেগুলি আত্মা নয়।
পঞ্চকোষ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তৈত্তিরীয় উপনিষদের ব্রহ্মন্দবল্লী অধ্যায়ে যা কৃষ্ণ যজুর্বেদের তৈত্তিরীয় সংহিতার অংশ এবং যে বিশেষ অধ্যায়ে ব্রহ্ম অর্জনের উপায় ও উপায়। এটি মানুষের ব্যক্তিত্বের মাত্রার বিস্তারিত বর্ণনা দেয় বা নিজের মাত্রার।
আত্মা (হিন্দু দর্শন)
শ্রুতি ঘোষণা করে যে মানব জন্ম, দৈব কৃপায়, আত্মাকে জানা ও বোঝার চেষ্টা করা। আত্মার জ্ঞান ও বোঝার ফলে জীবনমুক্তি অর্থাৎ মোক্ষ বা 'আধ্যাত্মিক মুক্তি' হয়।
আধ্যাত্মিক মুক্তি হল আনন্দের প্রকৃতি যেখানে সমস্ত দুঃখের সম্পূর্ণ বর্জন রয়েছে, এটি শুধুমাত্র শাস্ত্র অধ্যয়ন, দেবতাদের উদ্দেশ্যে বলিদান, কর্ম সম্পাদন ও দেবতাদের উপর ধ্যানের দ্বারা উদ্ভূত হয় না, এই কাজগুলির ফল হয় না, আত্মার ঐক্যের জ্ঞান প্রয়োজন হয়।
আত্মা হল ব্রহ্ম যিনি সত্য, জ্ঞান ও অনন্ত প্রকৃতির এবং ব্রহ্মকে জানেন তিনি ব্রহ্ম হন। সমস্ত ইন্দ্রিয়-বস্তু এবং সমস্ত কর্মের প্রতি আসক্তি পরিত্যাগ করার পরে জ্ঞান অর্জিত হয়, নিজের দেহের জন্য, যে মনকে আশ্রয় করে যা বন্ধন তৈরি করে এবং আত্মা নয়। আত্মা হল 'আমি'-এর চেতনার স্তর।
অনাত্মা (ভারতীয় দর্শন)
অনাত্মা মানে নয়-আত্ম বা অ-আত্ম। অনাত্মা সব কিছু যা আত্মা নয়। মন ও অহং সহ চেতনার সমস্ত বস্তুকে অনাত্মা বলা হয়।
সংসার হল বিশাল উত্তাল সমুদ্র যা অবিদ্যার মূর্ত প্রতীক এবং এর প্রভাব যা নিখুঁত জ্ঞানের সাহায্য ছাড়া অতিক্রম করা যায় না; সংসার হল অনাত্মান। আত্মার প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি না করার কারণে, আত্মাকে কার্যকারণ শরীর (কারণ), সূক্ষ্ম শরীর (সূক্ষ্ম দেহ) ও স্থূল শরীর (স্থূল দেহ) হিসাবে ভুল করা হয় যে দেহগুলি অনাত্মা গঠন করে। যে ব্যক্তি আত্মা সম্পর্কে অবগত নয়, তার জন্য মনের পরিশুদ্ধির উদ্দেশ্যে করা কর্ম ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
এভাবে বাইবেলে বর্ণনা করা হয়েছে যে, মানুষের মন-প্রাণ এবং আত্মা হচ্ছে অবিনশ্বর বা অমর। এই দুটির মধ্যে কোন পার্থক্য করার চেষ্টা করা খুবই অস্বত্বিকর একটি বিষয়। আত্মা শব্দটি কেবলমাত্র মানুষের অশরীরী বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে। মানুষের মধ্যে আত্মা আছে, কিন্তু আমরা নিজেরা আত্মা নই। পবিত্র বাইবেল আমাদের এই কথা বলে, কেবলমাত্র বিশ্বাসরাই আত্মিকভাবে জীবিত (১করিন্থীয় ২:১১; ইব্রীয় ৪:১২; যাকোব ২:২৬ পদ);
অন্যদিকে অবিশ্বাসীরা আত্মিকভাবে মৃত (ইফিষীয় ২:১-৫; কলসীয় ২:১৩ পদ) পৌলের লেখায় দেখা যায় যে, বিশ্বাসীদের জীবনে আত্মিক বিষয়গুলো চলমান বা ঘূর্ণায়মান থাকে (১করিন্থীয় ২:১৪; ৩:১; ইফিষীয় ১:৩; ৫:১৯; কলসীয় ১:৯; ৩:১৬ পদ)।
আত্মা হলো মানুষের জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান যা ঈশ্বরের সাথে আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আমাদের সক্ষমতা দান করে। ‘আত্মা’ শব্দটি যখন ব্যবহৃত হয় তখন এটি মানবদেহের এমন একটি অশরীরী বা অমর অংশের কথা প্রকাশ করে যা যিনি নিজেই আত্মা সেই ঈশ্বরের সাথে মানুষের একটি ‘যোগাযোগ সম্পর্ক’ স্থাপন করে থাকে (যোহন ৪:২৪ পদ)।
সম্মিলিত চিন্তার ভিত্তিতে পঞ্চকোষের তালিকা নিম্নরূপ-
অন্নময় কোষ - খাদ্য খাপ
প্রাণময় কোষ - অত্যাবশ্যক শক্তি বা নিঃশ্বাসের খাপ
মনোময় কোষ - মনের খাপ
জ্ঞানময় কোষ - বুদ্ধির খাপ
আনন্দময় কোষ - আনন্দের খাপ
পঞ্চকোষ তিনটি শরীরে বিভক্ত-
স্থুল শরীরঃ শারীরিক পদার্থ দিয়ে গঠিত। এই শরীর অন্নময় কোষ ও প্রাণময় কোষ নিয়ে গঠিত।
সূক্ষ্ম শরীরঃ এই শরীর মনোময় কোষ এবং জ্ঞানময় কোষ নিয়ে গঠিত।
কার্যকারণ শরীরঃ এই শরীর আনন্দময় কোষ নিয়ে গঠিত।
আত্মা পঞ্চকোষের পিছনে রয়েছে। শ্রুতি শরীরের এই পাঁচটি খাপ বাদ দেওয়ার জন্য জোর দেয়। পঞ্চকোষের মতবাদ মানবিক মূল্যবোধের শ্রেণিবিন্যাসের প্রতিনিধিত্ব করে এবং সৃষ্টিতত্ত্ব ও বিবর্তন সম্পর্কে আধুনিক বৈজ্ঞানিক বোঝার জন্য এটি দরকারী স্প্রিংবোর্ড হিসাবে বিবেচিত হয়।
একে চাইলেও আলাদা করা যায় না। দেহ ও মন পরস্পর স্নায়ুগুচ্ছ ও বার্তাবাহক রাসায়নিক অণু (নিউরোট্রান্সমিটার) দ্বারা সারাক্ষণ সংযোগ রেখে চলছে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত আমাদের দেহে প্রায় ৬০ ধরনের বার্তাবাহক রাসায়নিক অণু আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। মন ও দেহের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে ব্রেনের হাইপোথ্যালামাস।
বিজ্ঞানের ধারণা মতে, আত্মা বা মন বলে কিছু নেই! সবকিছু মস্তিষ্কের কারসাজি! তাহলে দেখা যাক বিজ্ঞান কি বলে?
মস্তিষ্কঃ
মস্তিষ্ক কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের পুরোভাগ, যা মাথার মধ্যে অবস্থিত এবং দেহের প্রধান নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র। মস্তিষ্কেরও তিনটি ভাগ রয়েছে। যেমন; অগ্র মস্তিষ্ক, মধ্য মস্তিষ্ক এবং পশ্চাৎ মস্তিষ্ক। মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এখনো পুরোপুরি বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।
তাই বর্তমানে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে জটিল ও রহস্যময় বস্তু হলো মানুষের মস্তিষ্ক। গড়পরতায় মানুষের মগজের ওজন দেড় কিলোগ্রাম যার মধ্যে প্রায় এক বিলিয়ন সংখ্যক নিউরন বা স্নায়ুকোষ আছে। দেহের ওজনের তুলনায় মানুষের মগজের ওজন ও আকৃতি আমাদের নিকটতম প্রজাতির তুলনায় অনেক বেশি। মস্তিস্কের স্নায়ুকোষগুলো খুবই সংবেদনশীল। স্নায়ুকোষ একবার মরে গেলে আর নতুন করে গজায় না।
দেহের অন্যত্র কোষের প্রতিস্থাপন ঘটলেও স্নায়ুকোষ তার ব্যতিক্রম। তাই মস্তিস্ক কোনো কারণে আঘাত পেলে বা স্নায়ুকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে আঘাত থেকে ফিরে আসা যায় না।মস্তিষ্ক আঘাত পেলে মানুষের মানসিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়।
আমাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, হাসি-কান্না, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা, অশ্রু এসবের উৎপত্তি আমাদের মস্তিষ্ক থেকেই, অন্য কোথাও থেকে নয়। এর সাহায্যেই আমরা চিন্তা করি, বুঝি, দেখি ও শুনি, সুন্দর ও অসুন্দরের পার্থক্য করি, আরাম ও কষ্টের পার্থক্য করি, ভালো ও মন্দের পার্থক্য করি। ”মস্তিষ্কেই মানুষের মননের উৎস, তার চেতনা, তার ‘আমিত্ব’
সকল ধর্ম ও দর্শনে মনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাহলে দেখা যাক মন বলতে কি বুঝি;
মনঃ দর্শনশাস্ত্রের একটি অন্যতম কেন্দ্রীয় ধারণা। মন বলতে, বুদ্ধি এবং বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপ যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ, ইচ্ছা এবং কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মন কি এবং কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে অনেক রকম তত্ব প্রচলিত আছে। এ সব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আরম্ভ হয়েছে মূলত প্লেটো এ্যারিস্টটল এবং অন্যান্য প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকিদের সময়কাল থেকে।
মন এর সঠিক সংজ্ঞা সম্ভব নয়। তবে এই ভাবে বলা যেতে পারে, মন হলো এমন কিছু যা নিজের অবস্থা এবং ক্রিয়াগুলি সম্পর্কে সচেতন। মনের সরুপ লক্ষণ হলো চেতনা যার থেকে মনকে জড়ো থেকে আলাদা করা হয়।
সাধারণত মনকে তিনটি ভিন্ন অর্থে গ্রহণ করা হয়:
• মন বলতে চিন্তা,অনুভুতি ও ইচ্ছা-এই মানসিক কাজ গুলোর সমষ্টিগত রূপ বুঝায়।
• মন বলতে চিন্তা, অনুভুতি ও ইচ্ছা-এই মানসিক কাজগুলি থেকে স্বতন্ত্র দেহাতিরিক্ত এক স্থান, অপরিবর্তিত আধ্যাত্ম সত্তাকে বুঝায়।
• মন বলতে বুঝায় এক মূর্ত আধ্যাত্মিক ঐক্যের সম্বন্ধ যা চিন্তা,অনুভুতি ও ইচ্ছা প্রভৃতি মানসিক প্রক্রিয়া ছাড়া কিছুই নয়, অথচ যা নিজের স্বাতন্ত্র না হারিয়ে এই সকল মানসিক কাজের ভিতর দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করে।
প্রথমটি হলো মন এর অভিজ্ঞতামূলক মতবাদ পরেরটা আধ্যাত্মিক-মতবাদ, শেষেরটা ভাববাদীদের মতবাদ।
বস্তুবাদী দর্শন বিজ্ঞান ও ভাববাদ বা আধ্যাত্মিক জগত, বিশেষ করে দেহতত্ত্ব দর্শনের ভিত্তিতে, হৃদয় বা হৃদপিণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেগুলোতে কি বলে একটু দেখা যাক;
হৃদয় বা হৃৎপিণ্ডঃ মানবদেহের একটি পেশিবহুল অঙ্গ। এটি পৌন:পৌনিক ছান্দিক সংকোচনের মাধ্যমে রক্তনালীর ভেতর দিয়ে রক্ত সারা দেহে প্রবাহিত করে। গড়পড়তায় একটি মানব হৃৎপিণ্ড প্রতি মিনিটে ৭২ বার স্পন্দিত হয়।
মানব হৃৎপিন্ড ৪টি মূল প্রকোষ্ঠে বিভক্ত, ডান অলিন্দ ও ডান নিলয় এবং বাম অলিন্দ ও বাম নিলয় । অলিন্দদ্বয় আন্তঅলিন্দ দেয়াল এবং নিলয়দ্বয় আন্তনিলয় দেয়াল দ্বারা পৃথক থাকলেও ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়ের মাঝে ট্রাইকাস্পিড কপাটিকা এবং বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়ের মাঝে বাইকাস্পিড কপাটিকার মাধ্যমে একমুখী সংযোগ বিদ্যমান ।
হৃৎপিন্ডের সর্ববামের নিম্নগামী ভোঁতা অংশকে এ্যাপেক্স বলে। হৃৎ স্পন্দন শোনার জন্য একটি স্টেথোস্কোপ সরাসরি এ্যাপেক্সের উপর স্থাপন করা যায়। এটি বাম মধ্য-ক্ল্যাভিকুলার রেখায় ৫ম ইন্টারকস্টাল স্থানের পেছনে অবস্থিত। স্বাভাবিক পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির হৃৎপিন্ডের ওজন ২৫০-৩৫০ গ্রাম (৯-১২ আউন্স)।
• প্লেটো মনে করতেন যেহেতু মস্তিষ্ক গোলাকার, গোলক একটি আদর্শ ঘনক, তাই এই মস্তিষ্কই চেতনার আধার। লিওনার্দোর আঁকা ছবিগুলো থেকে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলোর বিন্যাস সম্পর্কে আমরা অনেকটাই জানতে পারি। মস্তিষ্ক নিয়ে বিজ্ঞান-সম্মত পর্যবেক্ষণের এটাই প্রথম ধাপ।
• দেকার্তের মতে পশু ও মানুষের দেহের যান্ত্রিকতা তুলনীয়, কিন্তু অতুলনীয় হলো মানুষের মনন। এই মননই মানুষকে পশুর থেকে আলাদা করে। তিনি মনে করতেন মনন বা চেতনার উৎস মস্তিষ্কের পেছনের দিকে অবস্থিত পিনিয়াল গ্রন্থি।
• হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করে এবং যেহেতু রক্ত বিনা শরীর মৃত, তাই অ্যারিস্টটল মনে করতেন হার্টই সকল চেতন-শক্তির আধার।
এই দেহ বায়ু ২৪ ঘন্টায় ২১৬০০ বারে আসে যায় দম আপন ঘরে। ডান নাসিকায় ১০৫০০ বার, বাম নাসিকায় ১০৫০০ বার। ১০৫০০+১০৫০০=২১০০০ হাজার বার ডানে বামে আসা যাওয়া! দুই শ্বাস এক সমান চলে ৬০০ বার, ২১০০০+৬০০=২১৬০০ এক অচিন পাখির চলাচল। এই অচিন পাখি আসলে কি? এই অচিন পাখি অক্সিজেন ছাড়া এক মুহূর্ত বাঁচে না! এই অচিন পাখির নাম কি?
নব্বীবা ভক্তির বলে ৯০০ শত বার ঘন্টায় চলে, ৯+৬=১৫ হলে মিলিবে রতন, চার মঞ্জিল জয় করে সে ৪ সেকেন্ডে ১ বার ।
হযরত শাহ্ সুফি দরবেশ খোন্দকার পাঞ্জু সাঁইজির একটি পদের উদ্ধৃতি আছে। সেথায় উল্লেখ্য যে, মানবদেহের অমাবস্যা-পূর্ণিমারও যোগ বা লগ্ন আছে।
হলে পড়ে কম আর বেশি,
দমের কলে লাগাও ফাঁসি,
হাওয়া দমে চলছে মাটির ঘর,
৪৯ বায়ু আছে তার ভিতর,
যে জানে সেই হাওয়ার খবর,
তারেই ওলি আল্লা কয়।
জানো ১১ দরজায় ১১,
১৮ মোকামে বায়ু আছে ১৮.
৫ জাত ৭ সেফাত =১২
(১১+১৮+১২) =৪১ হয় ।।
বাকি ৮ জেনে হও মুমিন,
পঞ্চ ভুতে পঞ্চ বায়ু
কেউ বলে একিন,
রসিক সুজন কয়
ত্রিবেণীর ৩ চিনে
সাধন করতে হয়।।
তুমি যখন সূর্য কে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পার্শ্ব কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং অস্ত যায়,আবার তাদের থেকে পার্শ্ব কেটে বাম দিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত (সূরা কাহাফ-১৭)
শ্বাসের ডানে সূর্য মানে ডান নাসিকায় উদয়,
বামে চন্দ্র উদয়,
যেটা দেহ নামক গুহার ভিতর আসা যাওয়া করে।
বাতাশ দক্ষিনে বয় আবার উওরেও বয়,
বাতাশ চারিদিকে ঘুরে ঘুরে আবার তার নিজের জায়গায় ফিরে আসে।
হিন্দু শাস্ত্র: ৬.অধ্যায় উপদেশ! (ভগবদগীতা)
চঞ্চলং হি মনঃ কৃষ্ণ প্রমাথি বলবদ্দৃঢ়ম্৷
তস্যাহং নিগ্রহং মন্যে বায়োরিব সুদুষ্করম্৷৷
অর্থ: হে কৃষ্ণ, মন অত্যন্ত চঞ্চল প্রবল এবং শরীরও ইন্দ্রিয়াদি বিক্ষেপ্ত উৎপাদক, তাকে বৈষয়িক বাসনা থেকে নিবৃত্ত করা অত্যন্ত কঠিন। তাই এই মনকে নিগ্রহ করা বায়ুকে বশীভূত করার থেকেও কঠিন।
আদি বেদ শ্লোক= ৩১.
অহং বৈশ্বানরো ভূত্বা প্রাণিনাং দেহমাশ্রিতঃ৷
প্রাণাপানসমাযুক্তঃ পচাম্যন্নং চতুর্বিধম্৷৷
অর্থ: আমি জঠরাগ্নী রূপে প্রাণীগণের দেহ আশ্রয় করে প্রাণ ও অপ্রাণ বায়ুর সংযোগে চার প্রকার খাদ্য পরিপাক করি।
আদি বেদ শ্লোক =১৪.
ছোট্র একটি বীজ দানা,
যেমন সঠিক জল হাওয়া পেলে.
একটি বিশাল গাছের আকার নেয়।
তোমার ভিতরেও তেমন একটি বীজ দানা আছে,
তাকে সঠিক প্রশিক্ষণ দিলে,তোমার ভিতরের শক্তিকেও বিশাল আকারে পরিনত করবে?
তোমার আসল শক্তি তোমার হাতে পায়ে না,
তোমার ভিতরে, তোমার মনে, তোমাকে শক্তিশালী
সাধারণ চক্ষুতে বাহ্যিক দুনিয়াতে নয়, তোমার ভিতরের দুনিয়াতে হতে হবে।
অন্যমতে, পঞ্চ আত্মা ছয় রিপু আর অষ্ট শক্তি আছে এই ঘরে
দিন ফুরালে কেউ কারো না যার তার মতে যাবে ছেড়ে।।
পাঁচ পাঁচা পঁচিশের ঘরে তত্ত্ব চব্বিশ রয়
বাহির ভিতর দশ ইন্দ্রিয় আগেই জন্ম লয়
মনের পাছে জ্ঞানের উদয় হইতেছে এই ভবপুরে।।
বা
পঞ্চ আত্মা পঞ্চ প্রান, দশ ইন্দ্রিয় বিবেক জ্ঞান
ছয় লতিফা অতি মনোহর।
সাড়ে চব্বিশ চন্দ্র আছে, বারটি রয় দিবাকর।।
হাড়ের গাথুনি চামড়ার ছাউনি, জুইত গাথুনি কি সুন্দর ।।
কারিগর এই ঘরে আছে, আমীর উদ্দিন বলিতেছে
যৌবন থাকিতে তালাশ কর ।
আশেকে মাশুকে প্রেম, সর্বকুলে হয় অমর ।।
কি কৌশলে বান্দিয়াছে' এই যে দেহ ঘর..
জীবাত্মা, পরমাত্মা, বোধাত্মা, প্রেতাত্মা, আত্মারামেশ্বর-এগুলো নিয়ে পঞ্চ আত্মা।.
আমরা হ'লাম জীবাত্মা, চিম্নয় আত্মা, স্থুল জড় দেহ নই। আর জীবাত্মা হলো পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের নিত্য অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভগবান হচ্ছে পূর্ণ আর আত্মা তার অংশ। তাই জীবাত্মার নিত্য ধর্ম হচ্ছে ভগবানের সেবা করা, কেননা অংশের কাজ।
হলো পূর্ণের সেবা করা। মনের ধর্ম হলো সংকল্প ও বিকল্প এবং দেহের ধর্ম হলো ভোগ আর ত্যাগ। দেহের ছয়টি পরিবর্তন হলো জম্ম-বৃদ্ধি-স্হিতি-সন্তান-সন্ততি সৃষ্টি-ক্ষয়-মৃত্যু। জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের 'নিত্যদাস' শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত।
আত্মার আকার চুলের অগ্রভাগের দশ হাজার ভাগের এক ভাগ। তা এতই ক্ষুদ্র যে এই জড় চক্ষু দিয়ে বা যন্ত্রের সাহায্যে আত্মাকে দর্শন করা যায় না এ ছাড়া আত্মা জড় পদার্থ নয়, তাই জড়ীয় ইন্দ্রিয় ও যন্ত্র দিয়ে তা দেখা অসম্ভব।
এই জড় জগৎটি ভগবানের বহিরঙ্গা ত্রিগুনাত্মিকা মায়া শক্তির প্রকাশ। ভূমি, জল, বায়ু, অগ্নি, আকাশ, মন, বুদ্ধি এবং অহংকার; এই আটটি উপাদান নিয়ে এই জড় জগৎ তৈরী হয়েছে। পঞ্চ মহাভূত হচ্ছে; ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও বোম। ইন্দ্রিয় পাঁচটি বিষয় হলো; রূপ, রস, শব্দ, গন্ধ ও স্পর্শ।
পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় হচ্ছে; নাক, জিভ, চোখ, কান ও ত্বক। পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় হলো; বাক, পানি, পাদ, উপস্থ ও বায়ূ। জীবের স্হূল শরীরটি ভূমি, জল, বায়ূ, অগ্নি ও আকাশ দিয়ে তৈরী। এবং সূক্ষ শরীরটি মন, বুদ্ধি ও অহংকার নিয়ে গঠিত। জীবের প্রকৃত সমস্যা হলো; জম্ম, জরা, ব্যাধি ও মৃত্যু।
আমি বিশ্বাস করি এক পরমেশ্বরে। মানুষের দেহই তার বড়ো ধন। দেহের নিয়ন্ত্রণ করাটাও সাধনার কাজ। আমি পরমের সন্ধানে আছি। পরমকে পাইতে আকাশে বাতাসে ঘুরতে হয় না, সবার আগে নিজেরে চিনতে হয়। কেউই সহজে তা পারে না, ঈশ্বর প্রদত্ত জ্ঞানও দরকার। ইচ্ছা করলেই তাঁকে পাওয়া যায় না।
সর্বশেষ একটা বিষয় পরিষ্কার। জ্ঞান সকল অসাধ্যকে সাধন করতে পারে কিন্তু দেহ নয়। তাইতো অজ্ঞান না হয়ে টিকে থাকার মন নিয়ন্ত্রণ চর্চা প্রধান বিষয়। নশ্বর দেহ হতে কি চলে গেলে দেহ বিকল হয়ে যায়? তাই অবিনশ্বর মন পরিচর্যা জরুরী বিষয় কিন্তু সেটাই সব থেকে বেশি অবহেলিত, উপায়?
মানুষ কোথাও ভ্রমণ করলে চোখ বন্ধ করে সেখানে মুহূর্তে চলে যেতে পারে মুক্ত বিহঙ্গের মতই। তাই মন বা পাখির যদি কোন সীমারেখা না থাকে, তাহলে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের দেহর ক্ষেত্রে এত বাধা নিষেধ কেন? কেনই বা ধনী-গরীব দেশের নাগরিকরা বৈষম্যের শিকার হয়?
তেমনি ভাবে; অনুমান বা কল্পনা হতে বিজ্ঞানের জন্ম। প্রমাণিত বিষয় বিজ্ঞানে অন্তর্ভুক্ত ও অপ্রমানিত বিষয় ধর্ম ও দর্শন। তাই ধর্ম ও দর্শন ব্যাপক ও বিস্তৃত। সংগত কারনে; স্বল্প পরিসরে পঞ্চকোষ বা মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ বিষয়টি লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আগামীতে 'সাহিত্য কথা'র আসরের সময় সুযোগ হলে, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। আর সময়-সুযোগ হলে টিপ পঞ্চকোষ লিখবে নিশ্চয়। আগামীতে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাই মুক্ত বিশ্ব পঞ্চকোষ 💚💞..In the ‘Free World Ponchokosh' (পঞ্চকোষ) there is a beginning but no end... 🖋📚📖🖋 ⏱ টিপ পঞ্চকোষ (আলাপ) ০৩:২৫, ১৯ নভেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

জুলাই 2022[সম্পাদনা]

উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম! আপনি সম্ভবত কোন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছেন। তবে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, আলাপ পাতা যেমন কালিপদ বসু সাধারণত উক্ত নিবন্ধ উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট আলোচনার জন্য, উক্ত বিষয় নিয়ে সাধারণ আলোচনার জন্য নয়। কোন একটি বিষয় নিয়ে আপনার সাধারণ প্রশ্নের জন্য তথ্যকেন্দ্রে যান এবং নিবন্ধের আলাপ পাতার পরিবর্তে ওখানে করুন। ধন্যবাদ। বোরহান (আলাপ) ১৩:৩৭, ১৪ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

হ্যালো, এবং উইকিপিডিয়াতে স্বাগতম। আপনার তৈরি ব্যবহারকারী:টিপ পঞ্চকোষ পাতাটি উইকিপিডিয়া থেকে দ্রুত অপসারণ করা হয়েছে। এটি দ্রুত মুছে অপসারণের মানদণ্ডের ব্য৫ অনুচ্ছেদের অধীনে করা হয়েছে, কারণ পাতাটিতে লেখা, তথ্য, আলোচনা, এবং/অথবা কার্যকলাপগুলি উইকিপিডিয়ার লক্ষ্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত নয় বলে মনে হয়েছে। দয়া করে মনে রাখবেন যে উইকিপিডিয়া একটি বিনামূল্যের ওয়েব হোস্টিং পরিষেবা নয়। দ্রুত অপসারণের মানদণ্ডের অধীনে, এই জাতীয় পাতাগুলো যে কোনও সময় মুছে ফেলা হতে পারে।

অনুগ্রহ করে এই উদ্বেগের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাতাটি পুনরায় তৈরি করবেন না, তবে উইকিপিডিয়ার নীতি এবং নির্দেশিকা অনুসারে তথ্য যোগ করতে দ্বিধা করবেন না। যদি আপনি মনে করেন যে, এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত হয়নি, অথবা আপনি যদি ভবিষ্যত সূত্র বা উন্নতির স্বার্থে মুছে ফেলা পাতাটি পুনরুদ্ধার করতে চান, তাহলে আপনি অপসারণকারী প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, অথবা ইতোমধ্যে যদি তা করে থাকেন তবে, এখানে একটি অনুরোধ করতে পারেন। — ইয়াহিয়া (আলাপঅবদান) - ১১:৪৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

এটি যদি উইকিপিডিয়াতে আপনার তৈরি করা প্রথম নিবন্ধ হয়ে থাকে, তবে আপনি উইকিপিডিয়াতে প্রথম নিবন্ধের দিক-নির্দেশনা অবশ্যই পাঠ করে নিন।

আমরা আপনাকে নিবন্ধ উইজার্ড ব্যবহার করে নিবন্ধ তৈরি করতে উৎসাহিত করছি।

উইকিপিডিয়া আলোচনা:উইকিপ্রকল্প বাংলাদেশ/ইতিহাস পাতাটির বিষয়বস্তু অর্থহীন, বর্তমানে এখানকার তথ্যগুলো অসংলগ্ন এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ, এছাড়া পূর্বে কখনো এই পাতায় গঠনমূলক তথ্য ছিলো না। এর মাধ্যমে পাতাটির লেখার ধরন, ধ্বংসপ্রবণতা, তথ্যের ভুল ব্যাখ্যানিম্নমানের অনুবাদ, ইত্যাদি বোঝানো হচ্ছে। আপনি যদি পরীক্ষামূলকভাবে এই পাতাটি তৈরি করে থাকেন তবে অনুগ্ৰহ করে সকল পরীক্ষা নীরিক্ষা করার জন্য খেলাঘর ব্যবহার করুন।

অনুগ্রহ করে এই উদ্বেগের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাতাটি পুনরায় তৈরি করবেন না, তবে উইকিপিডিয়ার নীতি এবং নির্দেশিকা অনুসারে তথ্য যোগ করতে দ্বিধা করবেন না। যদি আপনি মনে করেন যে, এই পাতাটি অপসারণ করা উচিত হয়নি, তাহলে আপনি অপসারণকারী প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, অথবা ইতোমধ্যে যদি তা করে থাকেন তবে, উইকিপিডিয়া:অপসারণ পর্যালোচনা পাতায় একটি আলোচনা শুরু করতে পারেন। — ইয়াহিয়া (আলাপঅবদান) - ১১:৪৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

সেপ্টেম্বর ২০২২[সম্পাদনা]

থামুন আইকন
আপনাকে সম্পাদনা করা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধাদান করা হয়েছে কারণ আপনার সম্পাদনা দেখে মনে হয়েছে আপনি এখানে বিশ্বকোষ গঠন করতে আসেন নি। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার কাছে এই বাধা তুলে নেওয়ার জন্য ভালো কারণ রয়েছে, তাহলে আপনি আপনার আলাপ পাতায় এই লেখা যোগ করে বাধা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন: {{বাধা অপসারণ|কারণ=এখানে আপনার যুক্তি লিখুন ~~~~}}। — ইয়াহিয়া (আলাপঅবদান) - ১৮:২৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
টিপ পঞ্চকোষ (আলাপ) ১৩:১৭, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ (ইউটিসি)সুনির্দিষ্টভাবে জানতে পারলে সীমাবদ্ধতা ঠিক করে নিতে পারতাম[উত্তর দিন]