মহাশক্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১৩ নং লাইন: | ১৩ নং লাইন: | ||
শাক্তধর্মে মহাশক্তিকেই সর্বোচ্চ ঈশ্বর মনে করা হয়। তবে [[বৈষ্ণবধর্ম|বৈষ্ণব]] ও [[শৈবধর্ম|শৈবধর্মে]] মহাশক্তি হলেন [[পুরুষ (হিন্দুধর্ম)|পুরুষের]] নারীশক্তি [[প্রকৃতি]]। বৈষ্ণবধর্মের সর্বোচ্চ ঈশ্বর বিষ্ণুর প্রকৃতি হলেন [[লক্ষ্মী]] এবং শৈবধর্মের কেন্দ্রীয় দেবতা [[শিব|শিবের]] প্রকৃতি হলেন [[পার্বতী]]।<ref>Tiwari, Path of Practice, p. 55</ref> |
শাক্তধর্মে মহাশক্তিকেই সর্বোচ্চ ঈশ্বর মনে করা হয়। তবে [[বৈষ্ণবধর্ম|বৈষ্ণব]] ও [[শৈবধর্ম|শৈবধর্মে]] মহাশক্তি হলেন [[পুরুষ (হিন্দুধর্ম)|পুরুষের]] নারীশক্তি [[প্রকৃতি]]। বৈষ্ণবধর্মের সর্বোচ্চ ঈশ্বর বিষ্ণুর প্রকৃতি হলেন [[লক্ষ্মী]] এবং শৈবধর্মের কেন্দ্রীয় দেবতা [[শিব|শিবের]] প্রকৃতি হলেন [[পার্বতী]]।<ref>Tiwari, Path of Practice, p. 55</ref> |
||
শাক্ত বিশ্বাস অনুযায়ী, মহাশক্তি কেবলমাত্র সৃষ্টির কারণই নন, তিনি জগতের সকল পরিবর্তনেরও মূল কারণ। মহাশক্তির আদি ও অন্ত নেই। এই সর্বাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ রূপটি হল [[কুণ্ডলিনী]] শক্তি, সাধারণত পুরান অনুসারে দেবী পার্বতী। |
শাক্ত বিশ্বাস অনুযায়ী, মহাশক্তি কেবলমাত্র সৃষ্টির কারণই নন, তিনি জগতের সকল পরিবর্তনেরও মূল কারণ। মহাশক্তির আদি ও অন্ত নেই। এই সর্বাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ রূপটি হল [[কুণ্ডলিনী]] শক্তি, সাধারণত পুরান অনুসারে দেবী পার্বতী। পুরাণে মহাশক্তি পূর্বে আদি পরাশক্তি পার্বতী থেকে ভিন্ন ছিলো কিন্তু দেবী মহাশক্তির ( চন্ডী) শিব প্রাপ্তির আশা হলে ব্রহ্মা শিব পত্নী পার্বতীর কথাবলে মহাশক্তি পার্বতীকে তাচ্ছিল্য করলে ব্রহ্মা মহাশক্তি কে মহামায়া পার্বতীর রূপ বর্ণনা করেন তিনি তাকে বলেন এই জগতে সব দেবী পার্বতী আদি পরাশক্তি মহামায়ার ইচ্ছা ধিন তার সৃষ্টিও তার ইচ্ছা তে ঘটেছে তখন দেবী মহাশক্তি আদি পরাশক্তি পার্বতী কে স্মরণ করলে দেবী মহামায়া পার্বতী তাকে বিশ্বরূপ দর্শন দেন দেবী মহাশক্তি নিজেকে আদি পরাশক্তি পার্বতীর অংশ করে নিতে বলেন দেবী পার্বতী তাই করেন তার পর দেবী পার্বতী মহাশক্তি নামে অভিহিত হন |
||
== আরও পড়ুন == |
== আরও পড়ুন == |
০৩:৪৭, ২ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মহাশক্তি,পার্বতী |
---|
হিন্দু শাক্তধর্মে মহাশক্তি (দেবনাগরী সংস্কৃত: महाशक्ति) জগত সৃষ্টির আদি কারণ এবং জগতের প্রধান শক্তি। হিন্দুধর্মে তাকে দিব্য জননীর স্থান প্রদান করা হয়।
শাক্তধর্মে মহাশক্তিকেই সর্বোচ্চ ঈশ্বর মনে করা হয়। তবে বৈষ্ণব ও শৈবধর্মে মহাশক্তি হলেন পুরুষের নারীশক্তি প্রকৃতি। বৈষ্ণবধর্মের সর্বোচ্চ ঈশ্বর বিষ্ণুর প্রকৃতি হলেন লক্ষ্মী এবং শৈবধর্মের কেন্দ্রীয় দেবতা শিবের প্রকৃতি হলেন পার্বতী।[১]
শাক্ত বিশ্বাস অনুযায়ী, মহাশক্তি কেবলমাত্র সৃষ্টির কারণই নন, তিনি জগতের সকল পরিবর্তনেরও মূল কারণ। মহাশক্তির আদি ও অন্ত নেই। এই সর্বাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ রূপটি হল কুণ্ডলিনী শক্তি, সাধারণত পুরান অনুসারে দেবী পার্বতী। পুরাণে মহাশক্তি পূর্বে আদি পরাশক্তি পার্বতী থেকে ভিন্ন ছিলো কিন্তু দেবী মহাশক্তির ( চন্ডী) শিব প্রাপ্তির আশা হলে ব্রহ্মা শিব পত্নী পার্বতীর কথাবলে মহাশক্তি পার্বতীকে তাচ্ছিল্য করলে ব্রহ্মা মহাশক্তি কে মহামায়া পার্বতীর রূপ বর্ণনা করেন তিনি তাকে বলেন এই জগতে সব দেবী পার্বতী আদি পরাশক্তি মহামায়ার ইচ্ছা ধিন তার সৃষ্টিও তার ইচ্ছা তে ঘটেছে তখন দেবী মহাশক্তি আদি পরাশক্তি পার্বতী কে স্মরণ করলে দেবী মহামায়া পার্বতী তাকে বিশ্বরূপ দর্শন দেন দেবী মহাশক্তি নিজেকে আদি পরাশক্তি পার্বতীর অংশ করে নিতে বলেন দেবী পার্বতী তাই করেন তার পর দেবী পার্বতী মহাশক্তি নামে অভিহিত হন
আরও পড়ুন
- Shakti and Shakta, by John Woodroffe, Published by Forgotten Books, 1910. আইএসবিএন ১-৬০৬২০-১৪৫-X.
- Hymns to the Goddess, Translated by John George Woodroffe, Ellen Elizabeth (Grimson) Woodroffe, Published by Forgotten Books, 1952 (org 1913). আইএসবিএন ১-৬০৬২০-১৪৬-৮.
- Hymn to Kali:Karpuradi Stotra, by Sir John Woodroffe. Published by Forgotten Books. 1922. আইএসবিএন ১-৬০৬২০-১৪৭-৬.
- McDaniel, June (২০০৪)। Offering Flowers, Feeding Skulls: Popular Goddess Worship in West Bengal। New York: Oxford University Press।
- Datta, Reema and Lowitz, Lisa. Sacred Sanskrit Words, Stonebridge Press, Berkeley, 2005.
- Feuerstein, Georg. The Shambhala Encyclopedia of Yoga, Shambhala Publications, Boston, 2000
- Tiwari, Bri. Maya. The Path of Practice: A Woman's Book of Ayurvedic Healing, Motilal Banarsidass Press, 2002
- Shakti : Multidisciplinary Perspectives on Women’s Empowerment in India/edited by Ranjana Harish and V. Bharathi Harishankar. New Delhi, Rawat, 2003, আইএসবিএন ৮১-৭০৩৩-৭৯৩-৩.
পাদটীকা
- ↑ Tiwari, Path of Practice, p. 55