বিদিত লাল দাস
বিদিত লাল দাস | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ৮ অক্টোবর ২০১২ স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৭৪)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | ইংরেজি সাহিত্য |
পেশা | গায়ক, সঙ্গীতজ্ঞ |
দাম্পত্য সঙ্গী | কনক রানী দাস (বি. ১৯৬৮) |
সন্তান | বিশ্বদীপ লাল দাস (পুত্র) |
পিতা-মাতা | বিনোদ লাল দাস (পিতা) প্রভা রানী দাস (মাতা) |
বিদিত লাল দাস (১৫ জুন, ১৯৩৮ – ৮ অক্টোবর, ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার।[১] তিনি হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, ও গিয়াস উদ্দিনসহ অনেক লোকসঙ্গীত শিল্পীদের গানের সুর করেছেন। তার সুরকৃত উল্লেখযোগ্য গানসমূহ হল "মরিলে কান্দিসনে আমার দায়", "সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী", " প্রান কান্দে মন কান্দে রে", "কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো ", " বিনোদিনী গো তর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি", ও "আমি কেমন করে পত্র লিখি"।
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
বিদিত লাল ১৯৩৮ সালের ১৫ জুন সিলেটের শেখঘাটে সম্ভ্রান্ত জমিদার লাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার দাদা বঙ্ক বিহারী দাস ছিলেন স্থানীয় জমিদার। তিনি একজন পকজ বাধক ছিলেন। তার পরিবার ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির সাথে যুক্ত ছিল। বিদিতের পিতা বিনোদ লাল দাস ছিলেন আসাম সংসদের একজন সংসদ সদস্য এবং মাতা প্রভা রানী দাস। বিদিত তার ভাই বোনদের মধ্যে পঞ্চম। ওস্তাদ প্রনেশ দাসের কাছে তার সঙ্গীতের হাতেখড়ি। পরে তিনি ভারতের ওস্তাদ পরেশ চক্রবর্তীর নিকট সঙ্গীত চর্চা করেন।[৩]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
বিদিত লাল ১৯৬০ এর দশকের একজন অন্যতম বেতার গায়ক। কর্মজীবনে তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের সুর করেছেন। তার সুরকৃত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো", "সিলেট প্রথম আজান ধ্বনি", "প্রাণ কান্দে মোর", "মরিলে কান্দিসনে আমার দায়", "সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী", ও "আমি কেমন করে পত্র লিখি"। এছাড়া তিনি হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, ও গিয়াস উদ্দিনের গানে সুর করেছেন।[৩] তিনি সিরাজউদ্দৌলা, দ্বীপান্তর, তপসী, প্রদীপশিখা, বিসর্জন, ও সুরমার বাঁকে বাঁকে নাটকের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]
বিদিত লাল দাস ১৯৬৮ সালে কনক রানী দাসের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পত্তির একমাত্র সন্তান বিশ্বদীপ লাল দাস।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
বিদিত লাল মুত্রথলী ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন। ২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অবস্থায় তাকে সিলেটের এলাইড ক্রিটিক্যাল কেয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল।[৪] অবস্থার অবনতি ঘটলে ২১ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৫] ৪ অক্টোবর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।[৪] ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[৬] সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর চালিবন্দরস্থ শশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।[৪]
সম্মাননা[সম্পাদনা]
- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গুণীজন পুরস্কার
- কলকাতায় ভারতীয় লোক সংবর্ধনা
- সিলেট লোকসঙ্গীত পরিষদ পুরস্কার
- নজরুল একাডেমি পুরস্কার
- রাগীব রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে পদক
- বাংলাদেশ শিল্পকলাএকাডেমি গুনীজন সংবর্ধনা
- জাতীয় রাধারমণ দত্ত পদক (মরনোত্তর)
- হাসন রাজা পদক (মরনোত্তর)
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "বিদিত লাল দাস আর নেই"। দৈনিক প্রথম আলো। ৮ অক্টোবর ২০১২। ৩ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "শিল্পী বিদিত লাল দাস আর নেই"। গ্লোবাল নিউজ নেটওয়ার্ক। ৮ অক্টোবর ২০১২। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ "কিংবদন্তিতুল্য সুরস্রষ্টা বিদিত লাল দাস আর নেই"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৯ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "লোকসংগীতের মুকুটহীন সুরসম্রাট বিদিত লাল দাস আর নেই"। দেশে বিদেশে। ৮ অক্টোবর ২০১২। ৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "শিল্পী বিদিত লাল দাস গুরুতর অসুস্থ"। যায়যায়দিন। ৩ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Recalling Bidit Lal Das"। দ্য ডেইলি স্টার। ৯ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।