ফুলকুমার
ফুলকুমার | |
---|---|
![]() মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | আশিক মোস্তফা |
প্রযোজক | আশিক মোস্তফা |
চিত্রনাট্যকার | নুরুল আলম আতিক |
উৎস | শহীদুল জহির কর্তৃক "এই সময়" (১৯৯৩) |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | রাহুল আনন্দ |
চিত্রগ্রাহক | সমিরণ দত্ত |
সম্পাদক | সামির আহমেদ |
প্রযোজনা কোম্পানি | জলছবি মুভি ফ্যক্টরি |
পরিবেশক | সাবটেক্সট |
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ৫৮ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ফুলকুমার ১৬মিঃমিঃ এ নির্মিত ২০০২ সালের বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন আশিক মোস্তফা। ১৯৯৩ সালে রচিত শহীদুল জহিরের "এই সময়" গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন নুরুল আলম আতিক। অভিনয়ে ছিলেন জাইন জাফর, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, পারভিন কনা, আজাদ আবুল কালাম, শতাব্দী ওয়াদুদ ও সুমিতা দেবী প্রমুখ। যাদুবাস্তবতার অবয়বে এ দেশের সমাজ বাস্তবতার একটি নিখুঁত পর্যালোচনা এই চলচ্চিত্র যা ফুলকুমার তথা মোহাম্মদ সেলিম চরিত্রটির ব্যক্তিগত বেদনার কাহিনী, তার মাতৃমোহকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত। এটি একটি আধিকারিক পেটি বুর্জোয়া ঘোরে শিশুদের আগত বয়সের দর্শনীয় ও অবিচ্ছিন্ন অধ্যয়ন। এটি সুমিতা দেবী অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র।[১][২]
অভিনয়ে[সম্পাদনা]
- জেইন জাফর - সেলিম (বালক)
- কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় (ছোটন) - সেলিম (কিশোর)
- পারভিন কনা - শিরিন
- সুমিতা দেবী - দাদী
- আজাদ আবুল কালাম - আবু
- শাহেদ ইকবাল - হাবু
- শতাব্দী ওয়াদুদ - শফি
- তারেক শাহরিয়ার - মেজর সাহেব
- সোনিয়া জাফর - মেজরের স্ত্রী
- ঝুনা চৌধুরী - শিরিনের বাবা
- শিউলি আহমেদ - বাড়িওয়ালী
- সামির আহমেদ - বাড়িওয়ালীর ছেলে
- গিয়াস উদ্দিন সেলিম - বিবাহের কাজি
- নুরুল আলম আতিক - চোর
- অমিতাভ রেজা চৌধুরী - মৌলভি
- আকরাম খান - মৌলভি
নির্মাণ ও মুক্তি[সম্পাদনা]
পরিচালক আশিক মোস্তফা নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টসে অধ্যয়নকালীন স্নাতক পর্বের অংশ হিসেবে ১৬ মিমি প্রযুক্তিতে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন বাংলাদেশে, স্থানীয় কলাকুশলী নিয়ে। ২০০০ সালে নির্মিত এই ছবির মধ্য দিয়েই শুরু হয় জলছবি মুভি ফ্যাক্টরির যাত্রা, সুত্রপাত ঘটে বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন ধারার, বিকশিত হয় হয় নুরুল আলম আতিক, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আকরাম খান, সামির আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অনিমেষ আইচ, কৃষ্ণেন্দু চট্যোপাধ্যায় সহ একঝাক তরুণ নির্মাতা ও চলচ্চিত্রকর্মী যারা সকলেই এই চলচ্চিত্রটির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। ‘কাল্ট ক্ল্যাসিক’ হিসাবে বিবেচিত এই চলচ্চিত্রটি তখন অসংখ্য নবীন নির্মাতাদের অণুপ্রেরণা জুগিয়েছিল! [৩][৪][৫][৬]
চলচ্চিত্রটি ২০০২ সালের ১২ জুন বাংলাদেশে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিবুরন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, অ্যাথেন্স আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র ও ভিডিও উৎসব এবং ডালাসের এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়। একই বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়।
কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]
মোহাম্মদ সেলিমের মা নেই, আছে নিজের বাগানের ফুল। আর আছে স্বপ্নের এক দুনিয়া, যেখানে তার মা হাজির ফুলপরী হয়ে। ফুল বাগান সেলিমকে দেয় আনন্দ, আর তার মহল্লার মানুষকে দেয় এলার্জির মহামারি। বাগানের দিকে নজর যায় মহল্লার তিন হিরো আবু, হাবু আর শফি তিন ভাইয়ের। এলার্জি হটাতে বাগানের ওপর হামলা করে তারা। আবার সেই বাগানেই তারা ফিরে আসে ফুলের সন্ধানে। সেলিমের হাত দিয়ে ফুল পাঠায় শিরীনের কাছে, যার দিকে নজর রাখে মহল্লার আরো সব পান্ডা - মেজর সাব আর মওলানা সাব। সবার সব উপহার ফিরিয়ে দেয় শিরীন, রয়ে যায় শুধু সেলিমের বয়ে আনা ফুল। আর একদিন - কেবল ফুল নয়, ফুলকুমারকেই টেনে নেয় সে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ মারিয়া, শান্তা। "সেই শ্যামলবরণ মেয়েটি"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আশিক মোস্তফা (ইংরেজি)
- ↑ হালদার, মিঠু (১০ মার্চ ২০১৮)। "ট্যাম্পেয়ার উৎসবে 'ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স'"। প্রিয়। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Phulkumar (2002)" (ইংরেজি ভাষায়)। আইএমডিবি। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ অব্যান্ট-গার্ডেন ফুলের শিশু]
- ↑ ফুলকুমার - প্রথম আলো, ৩ অগাস্ট, ২০০২