রাহুল আনন্দ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রাহুল আনন্দ
বাঁশি বাজাচ্ছেন রাহুল আনন্দ
বাঁশি বাজাচ্ছেন রাহুল আনন্দ
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামরাহুল আনন্দ
জন্ম(১৯৭৬-০৬-৩০)৩০ জুন ১৯৭৬
হবিগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ
ধরনলোকসঙ্গীত
পেশাসংগীত শিল্পী
বাদ্যযন্ত্রবাঁশি ঢোল হারমোনিয়াম দোতারা
কার্যকাল২০০৬-বর্তমান
ওয়েবসাইটwww.jolergaan.com

রাহুল আনন্দ (জন্ম- ৩০ জুন ১৯৭৬) বাংলাদেশের একজন সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘জলের গান’ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। তিনি তার গাওয়া গানের মধ্যে- রঙের গান, ও ঝরা পাতা, পাখির গান, বৃষ্টির গান, বকুল ফুল, বাউলা বাতাস ও দূরে থাকা মেঘ ব্যাপক জনপ্রিয়।[১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

রাহুল আনন্দের জন্ম বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলায়। তিনি তার নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার স্কুল জীবন কেটেছে নারায়ণগঞ্জে। এরপর আবার কলেজ জীবন সিলেটে। সেখানেই তার থিয়েটারে যুক্ত হওয়া। কলেজ জীবন শেষ করে রাহুল আনন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর রাহুল আরণ্যক নাট্যদলে যুক্ত হন। এরপর সহশিল্পীদের সঙ্গে গড়ে তোলেন নিজেদের নাট্যদল ‘প্রাচ্যনাট’।[৩] এই থিয়েটারে কাজের সময়েই অনেক গানের মানুষের সঙ্গে রাহুল আনন্দের বন্ধুত্ব হয়। আস্তে আস্তে গানের দিকে ঝুঁকতে থাকেন তিনি। এরপর ২০০৬ সালে ‘জলের গান’ নাম নিয়ে নতুন গানের গানের দলের যাত্রা শুরু করেন রাহুল আনন্দ ও তার সহশিল্পীরা।[১] রাহুল আনন্দ মূলত একাধিক বাদ্যযন্ত্র যেমন- বাঁশি, ঢোল, দোতারা, হারমোনিয়াম ইত্যাদি বাঁজাতে পারদর্শী।[৪] এছাড়াও তিনি ও তার গানের দল জলের গান নিজেদের বানানো বাদ্যযন্ত্র দিয়েই সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন।[১]


উল্লেখযোগ্য পারফর্মেন্স[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ সফরে এসে ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ মাঝরাতে ‘জলের গান’-এর প্রতিষ্ঠাতা, গায়ক, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দের বাড়িতে যান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। সেখানে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় কাটান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। রাহুল জানান, এক সঙ্গীত শিল্পীর বাড়িতে এসেছিলেন আরেকজন সঙ্গীতশিল্পী। তাই তাদের মধ্যে মিউজিক নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে।[৫]

জলের গানের স্টুডিও পরিদর্শন করেন মাক্রোঁ। তার আসা উপলক্ষে রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাড়ি সাজে সাজানো হয়েছিল।[১]

রাহুল বলেন, "শিল্পী ও শিল্পের প্রতি আগ্রহ থেকে আমার স্টুডিওতে এসেছিলেন এমানুয়েল মাক্রোঁ। আমি তাঁর সামনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সংস্কৃতি বিনিময় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে।" রাহুল আনন্দ ছাড়াও বাংলাদেশের আরও তিন শিল্পী আশফিকা রহমান, কামরুজ্জামান স্বাধীনআফরোজা সারার সঙ্গে কথা বলেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি। [৬]

পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

রাহুল আনন্দ তার স্ত্রী ঊর্মিলা শুক্লা[৭] ও একমাত্র ছেলে তোতাকে নিয়ে ধানমণ্ডি বত্রিশ নাম্বারের একটি বাড়িতে বসবাস করছেন!

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জলের গানের রাহুল!"আনন্দ আলো। ২০১৮-১২-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২৫ 
  2. "জলের গানের রাহুল আনন্দ"কালের কণ্ঠ। ২০১৫-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২৫ 
  3. "শুভ জন্মদিন রাহুল আনন্দ"ক্যাম্পাস টুডে। ২০২০-০৬-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২৫ 
  4. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ফেসবুকে রাহুল আনন্দের 'পাতাকাহিনি'"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২৫ 
  5. "মধ্যরাতে জলের গান খ্যাত রাহুলের স্টুডিওতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট, কী উপহার দিলেন?"Eisamay। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৬ 
  6. "জলের গান"উইকিপিডিয়া। ২০২৩-০৮-২৭। 
  7. "সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রাহুল আনন্দ"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২২-০৬-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২৫