ফারুক হামিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফারুক হামিদ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
ফারুক হামিদ
জন্ম (1945-03-03) ৩ মার্চ ১৯৪৫ (বয়স ৭৯)
লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমানে - পাকিস্তান)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কতাহিরা হামিদ (ভগ্নী), খালিদ আজিজ (চাচাতো ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৪৮)
৪ ডিসেম্বর ১৯৬৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৩
রানের সংখ্যা ৫৪৬
ব্যাটিং গড় ১.৫০ ১৩.০০
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ৩৮
বল করেছে ১৮৪ ৫২১৩
উইকেট ১১১
বোলিং গড় ১০৭.০০ ২৫.২১
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/৮২ ৭/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং -/- ২৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ আগস্ট ২০২০

ফারুক হামিদ (উর্দু: فاروق حمید‎‎; জন্ম: ৩ মার্চ, ১৯৪৫) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে লাহোর ও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৬১-৬২ মৌসুম থেকে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত ফারুক হামিদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি উদ্বোধনী বোলার ছিলেন ফারুক হামিদ। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান ঈগলেটসের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন।

১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। অপরিবর্তিত অবস্থায় বোলিং করে ৭/১৬ পান ও ওয়েলিংটনকে ৫৩ রানে গুটিয়ে দিতে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।[১] ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে পিআইএ’র সদস্যরূপে পেশাওয়ারের বিপক্ষে খেলায় ৫/৩০ ও ৫/২০ পান।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ফারুক হামিদ। ৪ ডিসেম্বর, ১৯৬৪ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে পাকিস্তান দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে যান। এ সফরেই মেলবোর্নে তিনি তার একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। একই টেস্টে অভিষেক ঘটা ইয়ান চ্যাপেলের একমাত্র উইকেট দখল করেন তিনি।[৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত পাকিস্তানে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তার চাচাতো ভাই খালিদ আজিজও পাকিস্তানে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার বোন তাহিরা হামিদ ১৯৭৮ সালে পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট সংস্থা গঠনে ভূমিকা রাখেন ও প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।[৪][৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]