বিষয়বস্তুতে চলুন

পিটার স্ট্রাইডম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পিটার স্ট্রাইডম
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
পিটার কনরাড স্ট্রাইডম
জন্ম১০ জুন, ১৯৬৯
সমারসেট ইস্ট, কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডাকনামস্ট্রাইকার
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৭৫)
১৪ জানুয়ারি ২০০০ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০০ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫৭)
২১ জানুয়ারি ২০০০ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই২৮ মার্চ ২০০০ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১০
রানের সংখ্যা ৩৫ ৪৮
ব্যাটিং গড় ১১.৬৬ ৯.৫৯
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩০ ৩৪
বল করেছে ৩৬ ২৫২
উইকেট -
বোলিং গড় - ১০৩.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - ১/১৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ৩/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ অক্টোবর ২০২০

পিটার কনরাড স্ট্রাইডম (ইংরেজি: Pieter Strydom; জন্ম: ১০ জুন, ১৯৬৯) কেপ প্রদেশের সমারসেট ইস্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ডারইস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন ‘স্ট্রাইকার’ ডাকনামে পরিচিত পিটার স্ট্রাইডম

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

গ্রে হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত পিটার স্ট্রাইডমের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৮৭ সালে ক্রিকেট জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এ পর্যায়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিদ্যালয় নিয়ে গড়া দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে বর্ডার প্রাদেশিক দলে খেলার সুযোগ পান।

কার্যকরী বামহাতি স্পিনার ও মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। তবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি কখনো নিজেকে প্রকৃত খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হননি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও দশটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন পিটার স্ট্রাইডম। ১৪ জানুয়ারি, ২০০০ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ তারিখে মুম্বইয়ে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

২০০০ সালে সেঞ্চুরিয়নে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস পরাজয়বরণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিতর্কিত টেস্টে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। অল-রাউন্ডার হিসেবে তিনি ঐ খেলায় অংশ নেন। তবে, কেবলমাত্র ছয় ওভার বোলিং করার সুযোগ পান ও ৩০ রান করে দলের পরাজয় রোধে এগিয়ে আসেন। এরপর নিজস্ব দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টেস্টে মুম্বইয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলেন। তিনি কোন বোলিং করেননি ও উভয় ইনিংসেই ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। এছাড়াও, তিনি দশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছিলেন।

বিতর্কিত ভূমিকা

[সম্পাদনা]

২০০০ সালে পাতানো খেলা কেলেঙ্কারীতে জড়িত থাকার অভিযোগ আসে। ভারতে সফরে অউন্মোচিত হানসি ক্রনিয়ের জুয়া কেলেঙ্কারীর বিষয়টি প্রকাশিত হয়নি। তবে, সেঞ্চুরিয়ন পার্ক টেস্ট খেলায় জুয়ায় সম্পৃক্ততায় তাকে দোষী করা হয়নি ও পরবর্তীতে সকল অভিযোগ থেকে তিনি মুক্তি পান।

ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[][] তবে, তৃতীয় রাউন্ড চলাকালে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রতিযোগিতাটি বাতিল হয়ে যায়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "2020 over-50s world cup squads"Over-50s Cricket World Cup। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০ 
  2. "Over-50s Cricket World Cup, 2019/20 - South Africa Over-50s: Batting and bowling averages"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০ 
  3. "Over-50s World Cup in South Africa cancelled due to COVID-19 outbreak"Cricket World। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]