পাকিস্তানে ধর্ষণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নৃসংশ ধর্ষণ

ধর্ষণ পাকিস্তানে বিদ্যমান অপরাধগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি অপরাধ। পাকিস্তানে ধর্ষণের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে অনুমোদিত মুখতারান বিবির ধর্ষণকাণ্ডের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসে[১][২]ওয়ার এগেইনস্ট রেইপ (ডব্লিউএআর) সংগঠনটি পাকিস্তানে ধর্ষণের ব্যাপকতা এবং এ বিষয়ে সেদেশের পুলিশের অমনোযোগের বিষয়টি লক্ষ করেছে[৩]। নারী বিষয়াবলি সংক্রান্ত অধ্যাপক শাহলা হায়েরির মতে, পাকিস্তানে ধর্ষণ "প্রায়ই সংগঠিত এবং এতে রাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন ও কখনো কখনো প্রকাশ্য সমর্থন থাকে"[৪][৫]। আইনবিদ আসমা জাহাঙ্গীরের মতে, পাকিস্তানে কারারুদ্ধ নারীদের ৭২ শতাংশেরও বেশি শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার[৬]

উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি[সম্পাদনা]

২০০০ সাল থেকে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর অনেক পাকিস্তানি মহিলা ও বালিকা এ ব্যাপারে সরব হয়েছেন। নীরবে নির্যাত সহ্য করার প্রচলিত প্রথাকে ভেঙে তাঁরা সংবাদমাধ্যম এবং রাজনীতিবিদদের নিকট এ ব্যাপারে সহায়তা চেয়েছেন[৭]। ২০০৯ সালে পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশনের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪৬ শতাংশই হচ্ছেন সম্মানজনিত হত্যাকাণ্ড বা অনার কিলিং-এর শিকার[৮]

  • ২০০২ সালে ৩০ বছর বয়সী মুখতারান বিবির ভাইয়ের সঙ্গে উঁচু বর্ণের একজন নারীর যৌনসম্পর্ক থাকার অভিযোগ ওঠার পর একটি গ্রামপরিষদের নির্দেশে এর শাস্তিস্বরূপ তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়[৯]। যদিও ধর্ষিত হওয়ার পর তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে সমাজ ধারণা করেছিল[১০][১১][১২], মুখতারান এর পরিবর্তে সরব হন এবং মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনাটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক প্রচারণা লাভ করে। ২০০২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত মুখতারানকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জন ধর্ষকসহ ৬ ব্যক্তিকে মৃতূদণ্ডে দণ্ডিত করে। ২০০৫ সালে লাহোর উচ্চ আদালত 'অপর্যাপ্ত প্রমাণে'র যুক্তি প্রদর্শন করে সাজাপ্রাপ্ত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে মুক্তি দেয় এবং ষষ্ঠ ব্যক্তির সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। মুখতারান এবং পাকিস্তান সরকার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত রায়টি বাতিল করে আপিল শুনানি করে[১৩]। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টও অভিযুক্তদের মুক্তি প্রদান করে। মুখতারানের কাহিনী নিয়ে মোহাম্মেদ নকভির পরিচালনায় লজ্জা নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিচালিত হয়[১৪], যেটি অনেকগুলো পুরস্কার অর্জন করে[১৫]
  • ২০০৫ সালে একজন নারী অভিযোগ করেন যে, তাঁর স্বামীকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য পুলিশকে উৎকোচ প্রদান না করায় ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে গণধর্ষণ করেছে। একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি তিনজন পলাতক রয়েছে।
  • ফয়সালাবাদে ২৩ বছর বয়সী এক নারী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, তাঁর স্বামীকে পুলিশ জাল কাগজপত্র তৈরির মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে; তিনি আরো অভিযোগ করেন যে তিনি এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়ায় পুলিশপ্রধানের নির্দেশে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলেও গ্রেপ্তার করা হয় নি[১৬]
  • কাইনাত সুমরু নামে একজন ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর চার দিন ধরে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর প্রতিবাদের কারণে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁর গ্রামের বয়স্করা তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন এবং ধর্ষকরা এখনো মুক্ত থেকে তাঁকে হুমকি দিচ্ছে[১৭]
  • শাজিয়া খালিদকে পারভেজ মোশাররফের শাসনাসলে বেলুচিস্তানে ধর্ষণ করা হয়।
  • ২০১২ সালে সীমান্ত পুলিশের তিন সদস্যকে ১৫ থেকে ২১ বছর বয়সী পাঁচজন মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে রিমান্ডে নেয়া হয়। নির্যাতিতারা দাবি করেন যে, তাঁদেরকে দেরা গাজী খানের একটি অঞ্চল থেকে বন্দি করে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানোর সময় পুলিশ সদস্যরা দৃশ্যটি ভিডিও করে[১৮]
  • ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি বাহাওয়ালপুরে একটি ৯ বছর বয়সী মেয়েকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করা হয়[১৯]
  • ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে পেশোয়ারে একজন নারী গণধর্ষণের শিকার হন। পরবর্তীতে আদালত অভিযুক্তদের মুক্তি প্রদান করে[২০]
  • ২০১৩ সালের ২২ জুন লাহোরে একজন নারী ১৩ জন পুরুষের দ্বারা উপর্যূপরি গণধর্ষণের শিকার হন[২১]
  • ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর করাচিতে একটি পোলিও-আক্রান্ত মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়[২২]
  • ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে মুখতারান বিবি ২০০২ সালে যে জেলায় ধর্ষিত হয়েছিলেন সেই মুজাফফরগড় জেলাতেই একটি গ্রামপরিষদের নির্দেশে এক নারীকে গণধর্ষণ করা হয়[২৩]
  • ২০১৪ সালের ১৯ জুন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লায়াহ জেলায় ২১ বছর বয়সী এক নারীকে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়[২৪]
  • ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফয়সালাবাদে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মিঞা ফারুকের তিন ছেলে একটি অল্পবয়স্ক মেয়েকে অপহরণ ও গণধর্ষণ করে। পরে আদালত ধর্ষকদের মুক্তি প্রদান করে[২৫]

ঐতিহাসিক ঘটনা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আল বদর, আল শামস, রাজাকার প্রভৃতি আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ৪,০০,০০০[২৬] থেকে ৬,০০,০০০[২৭] পূর্ব পাকিস্তানি মহিলা ও বালিকাকে ধর্ষণ করে[২৮][২৯]

বিষয়াবলি[সম্পাদনা]

ওয়ার এগেইনস্ট রেইপ (ডব্লিউএআর) সংগঠনটি পাকিস্তানে ধর্ষণের ব্যাপকতা এবং এ ব্যাপারে পুলিশের অনীহা সম্পর্কে আলোকপাত করেছে[৩০]। ডব্লিউএআর একটি বেসরকারি সংগঠন এবং এটির লক্ষ্য হলো পাকিস্তানে ধর্ষণের সমস্যাটি আলোচিত করা; ১৯৯২ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬০টি ধর্ষণের মামলার মধ্যে ২০ শতাংশ ঘটনাতেই পুলিশ সদস্যরা জড়িত ছিল। ২০০৮ সালে সংগঠনটি দাবি করে যে, একজন গণধর্ষণের শিকার নারীকে তাঁর ওপর আক্রমণকারীদের শনাক্ত করায় সহযোগিতা করার সময়ে সংগঠনটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে একটি ধর্মীয় দলের সদস্যরা মারধোর করেছে[৩১]

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর চালানো একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, পাকিস্তানে প্রতি দুই ঘণ্টায় একটি ধর্ষণ[৩২] এবং প্রতি ঘণ্টায় একটি গণধর্ষণ[৩৩][৩৪] ঘটে, এবং দেশটির ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ নারী কোনো না কোনো ধরনের গৃহ নির্যাতনের শিকার[৩২]

নারী বিষয়াবলি সংক্রান্ত অধ্যাপক শাহলা হায়েরির মতে, পাকিস্তানে ধর্ষণ "প্রায়ই সুসংগঠিত এবং রাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন ও কখনো কখনো প্রত্যক্ষ অনুমোদনপ্রাপ্ত"[৫]। আইনজীবী এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত সংগঠন ওমেন'স অ্যাকশন ফোরাম-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা আসমা জাহাঙ্গীর ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে নারী কারাবন্দিদের নিয়ে করা একটি জরিপ সম্পর্কে জানিয়েছেন, কারাগারে থাকাকালে এসব নারীদের ৭২ শতাংশই ধর্ষিত হয়েছেন[৩৫]

শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন[সম্পাদনা]

পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলোতে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে[৩৬]রাওয়ালপিন্ডিইসলামাবাদে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন সম্পর্কে করা একটি জরিপ থেকে জানা যায়, ৩০০ শিশুর মধ্যে ১৭ শতাংশ ধর্ষণের শিকার এবং ১৯৯৭ সালে প্রতিদিন গড়ে একজন শিশু ধর্ষিত, গণধর্ষিত বা ধর্ষণের উদ্দেশ্য অপহৃত হয়[৩৭]। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ চ্যানেল ফোর "পাকিস্তানের লুকায়িত লজ্জা" নামক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করে[৩৮][৩৯], যেটিতে বিশেষত রাস্তার নিরাশ্রয় শিশুদের ওপর (যাদের ৯০ শতাংশই যৌন নির্যাতনের শিকার) যৌন নির্যাতনের ঘটনার ওপর আলোকপাত করা হয়।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়[সম্পাদনা]

পাকিস্তানে খ্রিস্টান, হিন্দু, শিখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর নির্যাতন ও ধর্ষণ একটি সাধারণ ঘটনা বলে জানা যায়[৪০][৪১][৪২][৪৩][৪৪]। নিষ্ক্রিয়তা, অভিযোগ গ্রহণে অস্বীকৃতি, ভীতিপ্রদর্শন এবং পুলিশ ও বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি এক্ষেত্রে আরো সমস্যার সৃষ্টি করেছে[৪৫][৪৬][৪৭][৪৮][৪৯][৫০][৫১]

আইনি ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

পাকিস্তানে ধর্ষণের ব্যাপকতার জন্য দেশটিতে নারীদের আইনি সুরক্ষার অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করা হয়[৫২]। ১৯৭৯ সালে পাকিস্তান হুদুদ অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে, যেটিতে ধর্ষণসহ সকল বিবাহ-বহির্ভূত যৌনসম্পর্ককে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়[৫৩]। হুদুদ অধ্যাদেশ জারি থাকাকালীন সময়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দেশটিতে নারী চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের ওপর প্রচুর ধর্ষণের ঘটনা লক্ষ করে[৩০]। ১৯৯২ সালে ১০৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে সংগঠনটি পুলিশ কর্তৃক নারী অভিযোগকারিণীদের ওপর শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে[৫৪]। ধর্ষণের মামলা দায়ের এবং বিচারসংক্রান্ত সমস্যাও প্রকট[৫০][৫১][৫৫][৫৬]

দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা]

মুখতারান বিবি তাঁর ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাঁর ঘটনার ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার পর পাকিস্তানে ধর্ষণের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসে[১][১৬]। এরপর তাঁকে দেশত্যাগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁকে যেতে না দেয়ার বিষয়টি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সাংবাদিকরা পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল পারভেজ মুশাররফের সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় তুলে ধরে, যখন মুশাররফ দাবি করছিলেন যে, তিনি 'মধ্যপন্থী ইসলামে'র প্রতিনিধি যা 'নারীদের অধিকারকে সম্মান করে' এবং অভিযোগ করছিলেন যে তাঁর দেশকে "ভুলভাবে এমন একটি স্থান হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে যেখানে নারীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যান্য সহিংসতা সাধারণ এবং সহ্যকৃত ঘটনা।" তিনি বলেন যে তিনি মুখতারানকে দেশত্যাগের অনুমতি প্রদান করেছেন এবং মন্তব্য করেন যে ধর্ষিত হওয়া বিদেশে ধনী হওয়ার জন্য "একটি টাকা কামানোর উপায়" হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর এই বক্তব্যের ফলে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয় এবং মুশাররফ পরবর্তীকালে এই মন্তব্য করার কথা অস্বীকার করেন।

২০১৩ সালের ২৯ মে পাকিস্তান সরকার ও আইন পরিষদকে ইসলামসংক্রান্ত বিষয়ে আইনি পরামর্শ দানকারী সাংবিধানিক সংস্থা কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডিয়োলজি ঘোষণা করে যে, ডিএনএ পরীক্ষা ধর্ষণ মামলাগুলোতে মূল প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হতে পারে না। কাউন্সিলটির একজন মুখপাত্রের মতে, ডিএনএ প্রমাণ বড়জোর অতিরিক্ত প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হতে পারে কিন্তু ধর্ষণ নির্ধারণের জন্য ইসলামি আইনগুলোকে প্রতিস্থাপিত করবে না[৫৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Laird, Kathleen Fenner (২০০৮)। Whose Islam? Pakistani Women's Political Action Groups Speak Out। Proquest। পৃষ্ঠা 101। আইএসবিএন 978-0-549-46556-0 
  2. Khan, Aamer Ahmed (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Pakistan's real problem with rape"। BBC 
  3. Karim, Farhad (১৯৯৬)। Contemporary Forms of Slavery in Pakistan। Human Rights Watch। পৃষ্ঠা 72। আইএসবিএন 978-1564321541 
  4. Reuters (১০ এপ্রিল ২০১৫)। "Lahore gets first women-only auto-rickshaw to beat 'male pests'"DAWN.COM। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  5. Haeri, Shahla (২০০২)। No Shame for the Sun: Lives of Professional Pakistani Women (1st সংস্করণ)। Syracuse University Press। পৃষ্ঠা 163। আইএসবিএন 978-0815629603 
  6. Goodwin, Jan (২০০২)। Price of Honor: Muslim Women Lift the Veil of Silence on the Islamic World। Plume। পৃষ্ঠা 51। আইএসবিএন 978-0452283770 
  7. Afsaruddin, Asma (২০০০)। Hermeneutics and Honor: Negotiating Female Public Space in Islamic/Ate Societies। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 55। আইএসবিএন 978-0-932885-21-0 
  8. Nosheen, Habiba; Schellmann, Hilke (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Refusing to Kill Daughter, Pakistani Family Defies Tradition, Draws Anger"The Atlantic 
  9. Greenberg, Jerrold S.; Clint E. Bruess; Sarah C. Conklin (১০ মার্চ ২০১০)। "Marital Rape"। Exploring the Dimensions of Human Sexuality (4th revised সংস্করণ)। Jones and Bartlett। আইএসবিএন 978-0-7637-7660-2 
  10. Kristof, Nicholas D. (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "Sentenced to Be Raped"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১২ 
  11. Masood, Salman (১৭ মার্চ ২০০৯)। "Pakistani Woman Who Shattered Stigma of Rape Is Married"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১২ 
  12. "Pakistani rape survivor turned education crusader honoured at UN"UN News Centre। United Nations। ২ মে ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১২ 
  13. "Pakistan rape acquittals rejected"। BBC News। ২৮ জুন ২০০৫। 
  14. Kenny, Joanne (২০ জানুয়ারি ২০০৬)। "Curtain rises on Showtime's fall slate"। C21 Media। 
  15. "Second Annual Television Academy Honors to Celebrate Eight Programs that Exemplify 'Television with a Conscience'"। Television Academy। ২০ অক্টোবর ২০০৯। 
  16. Khan, Aamer Ahmed (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Pakistan's real problem with rape"। BBC। 
  17. Crilly, Rob (২৬ ডিসেম্বর ২০১০)। "Pakistan's rape victim who dared to fight back"The Telegraph 
  18. "Pakistan policemen accused of drunken rape"New Zealand Herald। AFP। ২২ জুন ২০১২। 
  19. 9-year old Pakistani girl kidnapped and gang-raped RT News (January 5, 2013)
  20. Alleged Pakistan gag-rape victim to appeal acquittals Radio Free Europe (February 1, 2013)
  21. 13 being grilled over gang rape ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে The Nation, Pakistan (June 22, 2013)
  22. Polio-affected girl gang raped in Karachi আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে CNBC (July 18, 2013)
  23. Malik Tahseen Raza, 'Panchayat returns, orders ‘gang-rape’', Dawn, 31 January 2014
  24. "Pakistan woman raped and hanged from tree"The Times of IndiaAFP। ২১ জুন ২০১৪। 
  25. Nadeem, Azhar (১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Three Sons of PMLN Lawmaker Booked for Raping Teenager in Faisalabad"Pakistan Tribune। ১ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  26. Saikia, Yasmin (২০১১)। Heineman, Elizabeth D., সম্পাদক। Sexual Violence in Conflict Zones: From the Ancient World to the Era of Human Rights। University of Pennsylvania Press। পৃষ্ঠা 157। আইএসবিএন 978-0-8122-4318-5 
  27. Riedel, Bruce O. (২০১১)। Deadly embrace: Pakistan, America, and the future of the global jihad। Brookings Institution। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 978-0-8157-0557-4 
  28. Schmid, Alex (২০১১)। The Routledge Handbook of Terrorism Research। Routledge। পৃষ্ঠা 600। আইএসবিএন 978-0-415-41157-8 
  29. Tomsen, Peter (২০১১)। Wars of Afghanistan: Messianic Terrorism, Tribal Conflicts, and the Failures of Great Powers। Public Affairs। পৃষ্ঠা 240। আইএসবিএন 978-1-58648-763-8। ৩১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  30. Karim, Farhad (১৯৯৬)। Contemporary Forms of Slavery in Pakistan। Human Rights Watch। পৃষ্ঠা 72। আইএসবিএন 978-1-56432-154-1 
  31. "Rape case muddied by claims of 3 parties"। Daily Times। ২০ মার্চ ২০০৮। 
  32. Gosselin, Denise Kindschi (২০০৯)। Heavy Hands: An Introduction to the Crime of Intimate and Family Violence (4th সংস্করণ)। Prentice Hall। পৃষ্ঠা 13। আইএসবিএন 978-0136139034 
  33. Aleem, Shamim (২০১৩)। Women, Peace, and Security: (An International Perspective)। পৃষ্ঠা 64। 
  34. Foerstel, Karen (২০০৯)। Issues in Race, Ethnicity, Gender, and Class: Selections। Sage। পৃষ্ঠা 337। আইএসবিএন 978-1412979672 
  35. Jahangir, Asma; Jilani, Hina (১৯৯০)। The Hudood Ordinances: A Divine Sanction?। Lahore: Rhotas Books। পৃষ্ঠা 137। ; cited in Human Rights Watch (১৯৯২)। "Double Jeopardy: Police Abuse of Women in Pakistan" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 26। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  36. Gannon, Kathy (২১ নভেম্বর ২০১৭)। "Sexual abuse is pervasive in Islamic schools in Pakistan"Associated Press। ২১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৭ 
  37. Rasheed, Shaireen (২০০৪)। Jyotsna Pattnaik, সম্পাদক। Childhood In South Asia: A Critical Look At Issues, Policies, And Programs। Information Age। পৃষ্ঠা 183। আইএসবিএন 978-1-59311-020-8 
  38. "Pakistan's Hidden Shame"Channel 4। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  39. O'Connor, Coilin (৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "New Film Lays Bare 'Pakistan's Hidden Shame'"Radio Free Europe 
  40. "India Has A Rape Crisis, But Pakistan's May Be Even Worse"International Business Times। ১৩ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  41. "ASIA/PAKISTAN - Women in Pakistan: Christian girls raped by Muslims"Pontifical Mission Society। ১৯ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  42. "Targeting Hindu girls for rape"Express Tribune। ৪ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  43. "World Report 2013: Pakistan"Human Rights Watch। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  44. Sonwalkar, Prasun (১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Plight of Ahmadiyyas: MPs want British govt to review aid to Pakistan"Hindustan Times, London। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  45. "Christian woman gang raped by three Muslim men in Pakistan"Christianity Today। ২৬ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৬ 
  46. "Rape of Christian Girl in Pakistan Ignored by Police"Worthy News। ১১ আগস্ট ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৬ 
  47. "Pakistan Christian Community Outraged Following Rape of 12-Year-Old Girl by Muslim Men"Christian Post। ২২ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৬ 
  48. "Pakistan Christian Community Outraged Christian Woman Gang-Raped in Pakistan as Attacks Against Believers Escalate"Christian Post। ২৬ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৬ 
  49. "17-year-old Christian woman in Pakistan raped during Muslim celebration of Eid al-Fitr"Barnabas Fund News। ১৪ জুলাই ২০১৬। ১৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৬ 
  50. Javaid, Maham (২৮ জানুয়ারি ২০১৬)। "Pakistan's history of rape impunity"Al Jazeera 
  51. Ilyas, Faiza (১ আগস্ট ২০১৫)। "Woman speaks of forced conversion, denial to lodge FIR of rape, trafficking"Dawn 
  52. Datta, Rekha (২০১০)। Beyond Realism: Human Security in India and Pakistan in the Twenty-First Century। Lexington। পৃষ্ঠা 116। আইএসবিএন 978-0-7391-2155-9 
  53. Ross, Mary P.; Lori Heise; Nancy Felipe Russo (১৯৯৭)। Laura L. O'Toole, Jessica R. Schiffman, সম্পাদক। Gender Violence: Interdisciplinary Perspectives। New York University Press। পৃষ্ঠা 225। আইএসবিএন 978-0-8147-8041-1 
  54. "Police Abuse of Women in Pakistan"। ২১ জুন ১৯৯২। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  55. Childress, Sarah (৮ মে ২০১৩)। "The Stigma of Reporting a Rape in Pakistan"PBS 
  56. Ahmed, Beenish (১১ জানুয়ারি ২০১৩)। "Pakistan also has a rape problem"Global Post Public Radio website 
  57. "Rape cases: DNA tests not admissible as main evidence says CII"। tribune.com.pk। ৩০ মে ২০১৩।