পশ্চিম সিয়াং জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৮°২৪′ উত্তর ৯৪°৩৩′ পূর্ব / ২৮.৪০০° উত্তর ৯৪.৫৫০° পূর্ব / 28.400; 94.550
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পশ্চিম সিয়াং জেলা
অরুণাচল প্রদেশের জেলা
অরুণাচল প্রদেশে পশ্চিম সিয়াংয়ের অবস্থান
অরুণাচল প্রদেশে পশ্চিম সিয়াংয়ের অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যঅরুণাচল প্রদেশ
সদরদপ্তরআলং
আয়তন
 • মোট৮,৩২৫ বর্গকিমি (৩,২১৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,১২,২৭২
 • জনঘনত্ব১৩/বর্গকিমি (৩৫/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৬৭.৬%[১]
 • লিঙ্গানুপাত৯১৬[১]
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
সায়োম নদী

পশ্চিম সিয়াং জেলা হল ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। ১৯৮৯ সালে এই জেলার একটি অংশ নিয়ে পূর্ব সিয়াং জেলা গঠিত হয়।[২]

ভূগোল[সম্পাদনা]

পশ্চিম সিয়াং জেলার সদর শহর হল আলং। এই জেলার আয়তন ৮,৩২৫ বর্গকিলোমিটার (৩,২১৪ মা)।[৩] এই আয়তন ক্রিট দ্বীপের প্রায় সমান।[৪]

বিভাগ[সম্পাদনা]

অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার সাতটি আসন এই জেলায় অবস্থিত: লিরোমোবা, লিকাবালি, বাসার, আলং পশ্চিম, আলং পূর্ব, রুমগং ও মেচুকা। প্রথম ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র অরুণাচল পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র ও মেচুকা বিধানসভা কেন্দ্র অরুণাচল পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।[৫]

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, পশ্চিম সিয়াং জেলার জনসংখ্যা ১১২,২৭২।[১] এই জনসংখ্যা গ্রেনাডা রাষ্ট্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৬] ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলার জনসংখ্যা ৬১২তম।[১] জেলার জনঘনত্ব ১৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩৪ জন/বর্গমাইল) ।[১] ২০০১-২০১১ দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৮.০৪%।[১] পশ্চিম সিয়াং জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯১৬ জন নারী।[১] জেলার সাক্ষরতার হারf ৬৭.৬২%.[১]

আদি, মেম্বা ও খাম্বা উপজাতির মানুষেরা এই জেলায় বাস করেন। আদি উপজাতির মানুষেরা দোনয়ি-পোলো ধর্মের অনুগামী। তবে কেউ কেউ ব্যাপ্টিস্ট খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছে। মেম্বা ও খাম্বা উপজাতির মানুষেরা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের অনুগামী। মেম্বা উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের তিব্বতি বৌদ্ধ মন্দির মেচুকা গোম্পা বিখ্যাত।

ভাষা[সম্পাদনা]

সিনো-তিব্বতি ভাষা গোষ্ঠীর আদি ভাষা এখানকার অন্যতম প্রধান ভাষা। এই ভাষা তিব্বতি ও লাতিন হরফে লেখা হয়।[৭] একই ভাষাগোষ্ঠীর বিলুপ্তপ্রায় ভাষা গালোও এখানকার অন্যতম প্রধান ভাষা।[৮]

উদ্ভিদ ও প্রাণী[সম্পাদনা]

এই জেলায় প্রচুর বন্যপ্রাণী দেখা যায়। মিশমি টাকিন, স্নো লেপার্ড, রেড পান্ডা ও মাস্ক ডিয়ারের মতো দুষ্প্রাপ্য প্রাণী এবং ব্লিদস ট্র্যাগোপানের মতো দুষ্প্রাপ্য পাখি দেখা যায়।[৯] এছাড়া দেখা যায় উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি।[১০]

১৯৯১ সালে পশ্চিম সিয়াং জেলায় কানে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য স্থাপিত হয়। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ৫৫ কিমি (২১.২ মা)।[১১]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. "District Census 2011" (ইংরেজি ভাষায়)। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  2. Law, Gwillim (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Districts of India"Statoids (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  3. Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Arunachal Pradesh: Government"। India 2010: A Reference Annual (ইংরেজি ভাষায়) (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1113আইএসবিএন 978-81-230-1617-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  4. "Island Directory Tables: Islands by Land Area" (ইংরেজি ভাষায়)। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি 2। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮। ১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  5. "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies" (ইংরেজি ভাষায়)। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১ 
  6. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১ 
  7. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Adi: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (ইংরেজি ভাষায়) (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  8. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Galo: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (ইংরেজি ভাষায়) (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  9. Choudhury, Anwaruddin (2008) Survey of mammals and birds in Dihang-Dibang biosphere reserve, Arunachal Pradesh. Final report to Ministry of Environment & Forests, Government of India. The Rhino Foundation for nature in NE India, Guwahati, India. 70pp.
  10. Choudhury,Anwaruddin (2007).A new flying squirrel of the genus Petaurista Link from Arunachal Pradesh in north-east India. The Newsletter and Journal of the RhinoFoundation for nat. in NE India 7: 26–34, plates.
  11. Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Arunachal Pradesh" (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]