নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৮°০৮′৪০″ উত্তর ৯৫°৫০′৩০″ পূর্ব / ২৮.১৪৪৫৪৫° উত্তর ৯৫.৮৪১৭২২° পূর্ব / 28.144545; 95.841722
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা জেলা
অরুণাচল প্রদেশের জেলা
অরুণাচল প্রদেশে নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলার অবস্থান
অরুণাচল প্রদেশে নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যঅরুণাচল প্রদেশ
সদরদপ্তররোয়িং
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৫৩,৯৮৬[১]
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৭০.৪%[১]
 • লিঙ্গানুপাত৯০৯[১]
রোয়িংয়ের উত্তরে বড় গোলাই থেকে দিবাংয়ের দৃশ্য

নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলাটি দশম সর্বনিম্ন জনবহুল জেলা।[২]

১৯৮০ সালের জুন মাসে লোহিত জেলা ভেঙে দিবাং উপত্যকা জেলা গঠিত হয়[৩] এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিবাং উপত্যকা জেলা ভেঙে নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা গঠিত হয়।[৩] এই জেলার জেলা সদর হল রোয়িং[৪]

বিভাগ[সম্পাদনা]

অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ডাম্বুক ও রোয়িং আসনদুটি এই জেলায় অবস্থিত, যা অরুণাচল পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অংশ।[৫]

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, নিম্ন দিবাং উপত্যকার জনসংখ্যা ৫৩,৯৮৬[১], যা সেন্ট কিটস ও নেভিস রাষ্ট্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৬] জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলা ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ৬৩০তম স্থানের অধিকারী।[১] জেলার জনঘনত্ব ১৪ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩৬ জন/বর্গমাইল) [১] এবং ২০০১-২০১১ দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৭.০১%।[১] নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯১৯ জন নারী।[১] এই জেলার সাক্ষরতার হার ৭০.৩৮%.[১]

ভাষা[সম্পাদনা]

এই জেলায় লুপ্তপ্রায় সিনো-তিব্বতীয় ভাষাগোষ্ঠীর মিশমি ও আদি ভাষায় কথোপকথনকারী ৩০,০০০ মানুষ বাস করেন।[৭]

উদ্ভিদ ও প্রাণী[সম্পাদনা]

এই জেলায় বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্য পরিরক্ষিত হয়। এখানে মিশমি টাকিন, রেড গোরালের মতো দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির প্রাণীর পাশাপাশি দেখা যায় হাতি, বুনো জলমহিষ ইত্যাদি প্রাণীও। দুষ্প্রাপ্য স্ক্ল্যাটারস মোনাল্ম ব্লিথস ট্র্যাগোপান, রুফোস-নেকড হর্নবিল, বেঙ্গল ফ্লোরিক্যান, হোয়াইট-উইংড উড ডাক ইত্যাদি পাখিও দেখা যায়।[৮] এছাড়াও মিশমি পাহাড়ে উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি দেখা যায়।[৯]

১৯৮০ সালে এই জেলায় মেহাও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ২৮২ কিমি (১০৮.৯ মা)।[১০]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. "District Census 2011"। Census2011.co.in।  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "districtcensus" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  2. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  3. Law, Gwillim (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Districts of India"Statoids। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  4. "Official Website of the Lower Dibang Valley District"। ২৬ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  5. "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies"। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১ 
  6. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Saint Kitts and Nevis 50,314 July 2011 est.  line feed character in |উক্তি= at position 22 (সাহায্য)
  7. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Galo: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 
  8. Choudhury, Anwaruddin (2008) Survey of mammals and birds in Dihang-Dibang biosphere reserve, Arunachal Pradesh. Final report to Ministry of Environment & Forests, Government of India. The Rhino Foundation for nature in NE India, Guwahati, India. 70pp.
  9. Choudhury,Anwaruddin (2009).One more new flying squirrel of the genus Petaurista Link, 1795 from Arunachal Pradesh in north-east India. The Newsletter and Journal of the RhinoFoundation for nat. in NE India 8: 26–34, plates.
  10. Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Arunachal Pradesh"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]