উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৮°৪২′ উত্তর ৯৫°৪২′ পূর্ব / ২৮.৭০০° উত্তর ৯৫.৭০০° পূর্ব / 28.700; 95.700
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(দিবাং উপত্যকা জেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলা
অরুণাচল প্রদেশের জেলা
অরুণাচল প্রদেশে উচ্চ দিবাং উপত্যকার অবস্থান
অরুণাচল প্রদেশে উচ্চ দিবাং উপত্যকার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যঅরুণাচল প্রদেশ
সদরদপ্তরআনিনি
আয়তন
 • মোট৯,১২৯ বর্গকিমি (৩,৫২৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৭,৯৪৮[১]
 • পৌর এলাকা২৭.৫৫%
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৬৪.৮%[১]
 • লিঙ্গানুপাত৮০৮[১]
দিবাং উপত্যকা

উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলা ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি জেলা।[২] এই জেলাটি দিবাং নদী উপত্যকার নামে নামাঙ্কিত।[৩] এই জেলাটি আয়তনে অরুণাচল প্রদেশের বৃহত্তম জেলা হলেও, এটি দেশের সবচেয়ে কম জনসংখ্যা-বিশিষ্ট জেলা।[১]

১৯৮০ সালের জুন মাসে লোহিত জেলা ভেঙে দিবাং উপত্যকা জেলা গঠিত হয়,[৪] এবং ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিবাং উপত্যকা জেলা ভেঙে উচ্চ ও নিম্ন দিবাং উপত্যকা জেলা গঠিত হয়।[৪]

বিভাগ[সম্পাদনা]

অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার আনিনি আসনটি এই জেলায় অবস্থিত,যা অরুণাচল পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অংশ।[৫]

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, দিবাং উপত্যকা জেলার জনসংখ্যা ৭,৯৪৮,[১] যা নাউরু রাষ্ট্রের জনসংখ্যার প্রায় সমান।[৬] এটি ভারতের সবচেয়ে কম জনসংখ্যাবিশিষ্ট জেলা।[১] জেলার জনঘনত্ব ১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২.৬ জন/বর্গমাইল) ।[১] এই জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৮০৮ জন নারী,[১] এবং সাক্ষরতার হার ৬৪.৮%.[১]

মিশমি উপজাতির মানুষ এই জেলায় সংখ্যাগুরু।

ভাষা[সম্পাদনা]

এই জেলার অধিবাসীদের প্রধান ভাষা ইদু মিশমি, যা তিব্বতি ও লাতিন উভয় হরফেই লেখা হয়।[৭]

উদ্ভিদ ও প্রাণী[সম্পাদনা]

এই জেলায় বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্য পরিলক্ষিত হয়। মিশমি টাকিন, রেড গোরাল ও গোংশান মুন্টজ্যাকের মতো দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির প্রাণী এখানে দেখা যায়। পাখিদের মধ্যে দেখা যায় দুষ্প্রাপ্য স্ক্ল্যাটারস মোনাল প্রজাতির পাখি।[৮] এছাড়া এখানে উড়ুক্কু কাঠবিড়ালিও দেখা যায়।[৯]

১৯৯১ সালে উচ্চ দিবাং উপত্যকা জেলায় দিবাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য স্থাপিত হয়। এই অভয়ারণ্যের আয়তন ৪,১৪৯ কিমি (১,৬০১.৯ মা)।[১০]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. "Dibang Valley District Population Census 2011, Arunachal Pradesh literacy sex ratio and density"। Census Organization of India। ৩ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  2. National Portal of India : Know India : Districts of India. India.gov.in.
  3. History : Lower Dibang Valley ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ মে ২০১১ তারিখে. Roing.nic.in (16 December 2001).
  4. Law, Gwillim (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Districts of India"Statoids। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  5. "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies"। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১ 
  6. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১৮-১২-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Nauru 9,322 July 2011 est.  line feed character in |উক্তি= at position 6 (সাহায্য)
  7. "Mishmi: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮  অজানা প্যারামিটার |4301 editor= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  8. Choudhury, Anwaruddin(2008) Survey of mammals and birds in Dihang-Dibang biosphere reserve, Arunachal Pradesh. Final report to Ministry of Environment & Forests, Government of India. The Rhino Foundation for nature in NE India, Guwahati, India. 70pp.
  9. Choudhury,Anwaruddin (2009).One more new flying squirrel of the genus Petaurista Link, 1795 from Arunachal Pradesh in north-east India. The Newsletter and Journal of the RhinoFoundation for nat. in NE India 8: 26–34, plates.
  10. Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Arunachal Pradesh"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]