চংলং জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৭°০৭′৪৮″ উত্তর ৯৫°৪৪′২৪″ পূর্ব / ২৭.১৩০০০° উত্তর ৯৫.৭৪০০০° পূর্ব / 27.13000; 95.74000
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চংলং জেলা জেলা
অরুণাচল প্রদেশের জেলা
অরুণাচল প্রদেশে চংলং জেলার অবস্থান
অরুণাচল প্রদেশে চংলং জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যঅরুণাচল প্রদেশ
সদরদপ্তরচংলং
আয়তন
 • মোট৪,৬৬২ বর্গকিমি (১,৮০০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৪৭,৯৫১[১]
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৬১.৯%[১]
 • লিঙ্গানুপাত৯১৪[১]
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট
চংলং জেলার তুতসা নর্তক-নর্তকী

চংলং জেলা হল ভারতের অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা। এই জেলা লোহিত জেলার দক্ষিণে ও তিরপ জেলার উত্তরে অবস্থিত। ১৯৮৭ সালের ১৪ নভেম্বর তিরপ জেলাকে দ্বিখণ্ডিত করে এই জেলা গঠিত হয়েছিল।[২] ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, এই জেলা অরুণাচল প্রদেশের ১৬টি জেলার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল জেলা (পাপুম পারে জেলার পরেই)।[১]

ভূগোল[সম্পাদনা]

চংলং জেলার আয়তন ৪,৬৬২ বর্গকিলোমিটার (১,৮০০ মা),[৩] এই আয়তন ইন্দোনেশিয়ার লম্বক দ্বীপের প্রায় সমান।[৪]

চংলং জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। এই অঞ্চলে প্রচুর বন্যপ্রাণী দেখা যায়। জেলায় সমতল ও উচ্চভূমি দুইই আছে। সমতলের বেশিরভাগই দিহিং উপত্যকার অংশ। এখানে মাঝেমধ্যেই বন্যা হয়। নামদাফা জাতীয় উদ্যান এই জেলায় অবস্থিত।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

দিহিং শহর জেলার প্রধান মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র। তিনসুকিয়া, দুমদুমা, ডিগবইডিব্রুগড় শহরে এখানকার মিষ্টি জলের মাছের যথেষ্ট চাহিদা আছে।

প্রশাসনিক বিভাগ[সম্পাদনা]

অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ৫টি আসন এই জেলায় অবস্থিত: বরদুমসা, মিয়াও, নামপং, চংলং দক্ষিণ ও চংলং উত্তর। এগুলি সবই অরুণাচল পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অংশ।[৫]

চংলং জেলা চারটি মহকুমায় বিভক্ত: চংলং, মিয়াও, জয়রামপুর ও বরদুমসা।

পরিবহন[সম্পাদনা]

এই জেলার রাস্তাঘাটের অবস্থা ভাল নয়। অয়েল ইন্ডিয়া নির্মিত রাস্তাটিই এখানকার প্রধান সড়কপথ।

জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, চংলং জেলার জনসংখ্যা ১৪৭,৯৫১।[১] roughly equal to the nation of Saint Lucia.[৬] জনসংখ্যার হিসেবে এই জেলার স্থান ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ৫৯৮তম।[১] জেলার জনঘনত্ব ৩২ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৮৩ জন/বর্গমাইল)।[১] ২০০১-২০১১ দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৭.৯৬%।[১] জেলার লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ জন পুরুষে ৯১৪ জন নারী।[১] জেলার সাক্ষরতার হার ৬১.৯%।[১]

তুতসা, তাংসা, নোকট, চাকমা, সিংফো ও লিসু উপজাতির মানুষেরা এই জেলার প্রধান অধিবাসী। এছাড়া কিছু তিব্বতি জাতির মানুষও বাস করেন।[৭][৮] হাজং ও বোড়ো উপজাতির মানুষও এখানে দেখা যায়।

ভাষা[সম্পাদনা]

জেলার প্রায় ৩০,০০০ মানুষ বিপন্ন সিনো-তিব্বতীয় ভাষায় কথা বলেন। এঁরা মূলত জেলার দক্ষি-পূর্বাঞ্চলে বাস করেন।[৯]

পর্যটন[সম্পাদনা]

জয়রামপুরের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কবরখানা এবং ভারত-মায়ানমার সীমান্তের সীমান্তশহর নামপংপাংসাউ গিরিপথ জেলার প্রধান দ্রষ্টব্য স্থল। এছাড়া বরদুমসার তিয়াস ও সিংফো উপজাতির সংস্কৃতিও পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। মিয়াও শহরের কাছে নামদাফা ব্যাঘ্র প্রকল্প রয়েছে।

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. "District Census 2011"। Census2011.co.in।  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "districtcensus" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  2. Law, Gwillim (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Districts of India"Statoids। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  3. Srivastava, Dayawanti et al. (ed.) (২০১০)। "States and Union Territories: Arunachal Pradesh: Government"। India 2010: A Reference Annual (54th সংস্করণ)। New Delhi, India: Additional Director General, Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting (India), Government of India। পৃষ্ঠা 1113আইএসবিএন 978-81-230-1617-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১ 
  4. "Island Directory Tables: Islands by Land Area"United Nations Environment Program। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮। ১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-১১Lombok 4,625km2  horizontal tab character in |উক্তি= at position 7 (সাহায্য)
  5. "Assembly Constituencies allocation w.r.t District and Parliamentary Constituencies"। Chief Electoral Officer, Arunachal Pradesh website। ১৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১১ 
  6. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২০১১-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Saint Lucia 161,557 July 2011 est.  line feed character in |উক্তি= at position 12 (সাহায্য)
  7. Tibetans in Miao Elect Settlement Officer ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ মার্চ ২০০৭ তারিখে. Tibet.net (24 October 2003).
  8. Religion & CultureReligion & Culture
  9. M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Galo: A language of India"Ethnologue: Languages of the World (16th edition সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]