বিষয়বস্তুতে চলুন

ন্যান্টি হেওয়ার্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ন্যান্টি হেওয়ার্ড
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
মোর্ন্যানটাউ হেওয়ার্ড
জন্ম (1977-03-06) ৬ মার্চ ১৯৭৭ (বয়স ৪৭)
উইটেনহেজ, পূর্ব কেপ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৭৪)
৯ ডিসেম্বর ১৯৯৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১১ আগস্ট ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫০)
১৮ আগস্ট ১৯৯৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই৯ এপ্রিল ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৫/৯৬ - ২০০৩/০৪ইস্টার্ন প্রভিন্স
২০০৩ওরচেস্টারশায়ার
২০০৪ - ২০০৫মিডলসেক্স
২০০৪ - ২০০৮ওয়ারিয়র্স
ডলফিন্স
২০০৮হ্যাম্পশায়ার
ডার্বিশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৬ ২১
রানের সংখ্যা ৬৬ ১২
ব্যাটিং গড় ৭.৩৩ ৩.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৪
বল করেছে ২৮২১ ৯৯৩
উইকেট ৫৪ ২১
বোলিং গড় ২৯.৭৯ ৪০.৮৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/৫৬ ৪/৩১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/- ৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ অক্টোবর ২০২০

মোর্ন্যানটাউ ন্যানটাউ হেওয়ার্ড (ইংরেজি: Nantie Hayward; জন্ম: ৬ মার্চ, ১৯৭৭) ইস্টার্ন কেপের উইটেনহেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষার্ধ্ব থেকে ২০০০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ডলফিন্স, ইস্টার্ন প্রভিন্স, নর্থ ওয়েস্ট, ওয়ারিয়র্স; ভারতীয় ক্রিকেটে চেন্নাই সুপারস্টার্স, কলকাতা টাইগার্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, মিডলসেক্স ও ওরচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ন্যান্টি হেওয়ার্ড

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

ড্যানিয়েল পাইনার টেকনিক্যাল হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। লালচে চুলের অধিকারী ছিলেন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ন্যান্টি হেওয়ার্ডের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসা-যাওয়ার পালায় অবস্থান করে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে চুক্তিবদ্ধ হন। জাতীয় দলে খেলার আশা ছেড়ে দেন। এপ্রিল, ২০০৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফিতে অংশ নেন।[] এছাড়াও, ঐ বছরের শেষদিকে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে কলকাতা টাইগার্সের সদস্য ছিলেন। ২০১২ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত ডার্বিশায়ারের পক্ষে খেলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ষোলোটি টেস্ট ও একুশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ন্যান্টি হেওয়ার্ড। ৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে, এ সফরে তিনি মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। ইংরেজ পরিবেশে তিনি নিজেকে একাত্মতা পোষণ করতে পারেননি। বোলিংয়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন ও সফরের মাঝামাঝি পর্যায়ে দূরত্ব কমিয়ে দেন। তাসত্ত্বেও, দলে ফিরে আসেন এবং নিজ দেশে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে মেলে ধরতে কিছুটা সচেষ্ট হন। প্রচণ্ড রৌদ্রের মধ্যেও ব্যাটিং উপযোগী পিচে ৪/৭৫ লাভ করেন। জানুয়ারি, ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।

জুন, ২০০৪ সালে নিজেকে আবারও দলে ফিরে আসার কথা জানান। ঐ বছরের শেষদিকে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়। ঐ সফরে দুই টেস্টে অংশ নিয়ে তিনি কেবলমাত্র চার উইকেট লাভ করেছিলেন।

মূল্যায়ন

[সম্পাদনা]

পিটার রবিনসন তার সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যে, তিনি যথার্থ পেস বোলিং করতেন, পর্যাপ্ত বাউন্স ও প্রচণ্ড উদ্যমতার সাথে খেলতেন।[] রবিনসন একটি নিবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন যে, স্পষ্টতঃই ন্যান্টি হেওয়ার্ডকে দক্ষিণ আফ্রিকার দূর্ধর্ষ বোলিং আক্রমণ পরিচালনায় অ্যালান ডোনাল্ডের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে মেনে নেয়া যেতে পারে।[]

তবে, আগস্ট, ২০০৪ সালের পর তাকে কোন টেস্ট কিংবা এপ্রিল, ২০০২ সালের পর কোন একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। স্টিভ ওয়াহ তার আত্মজীবনীর উপসংহারে মন্তব্য করেন যে, তার অনুপস্থিতিতে আমি আশ্চর্যান্বিত ... তিনি বিশ্বমানের ... অস্ট্রেলীয় শিবিরে তিনি আতঙ্কিত নাম, তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে উপেক্ষায় রেখেছেন।[]

পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]
টেস্টে ৫-উইকেট লাভ
# পরসংখ্যান খেলা প্রতিপক্ষ মাঠ শহর দেশ সাল
৫/৫৬ ১৩  পাকিস্তান কিংসমিড ক্রিকেট গ্রাউন্ড ডারবান দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০২
ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ অবদান ফলাফল
ভারত শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, শারজাহ ২৭ মার্চ, ২০০০ ১০-২-৩১-৪; ডিএনবি  দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে বিজয়ী।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Paceman Hayward signs for Ireland"BBC। মে ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-০১ 
  2. Robinson, Peter (জুন ২০০৪)। "Nantie Hayward"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০১-০৩ 
  3. Waugh, Steve (২০০৫)। STEVE WAUGH: Out of my comfort zone - the autobiography। Victoria: Penguin Group (Australia)। পৃষ্ঠা 626। আইএসবিএন 0-670-04198-X 
  4. "1999-2000 Coca-Cola Cup - 5th Match - India v South Africa - Sharjah" 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]