নবদ্বীপের মন্দির ও দর্শনীয় স্থানসমূহ
নবদ্বীপের মন্দির ও দর্শনীয় স্থানসমূহ পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ। শাক্ত, বৈষ্ণব ও শৈব সংস্কৃতির ঐকান্তিক সংমিশ্রণে নবদ্বীপ ঐতিহাসিক পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে।[১] পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহর ঘোষণা করেছে। গুপ্ত বৃন্দাবন নামে খ্যাত মন্দিরনগরী নবদ্বীপ ধর্মীয়ক্ষেত্রের পাশাপাশি সংস্কৃত ও ন্যায়চর্চার প্রাণকেন্দ্র হওয়ায় এখানে দর্শনীয় স্থান হিসেবে মন্দির ছাড়াও পণ্ডিত ব্যক্তিদের জন্মভিটে, টোলবাড়ি, সমাধিপীঠ বর্তমান।
হেরিটেজ তালিকাভুক্ত মন্দির ও দর্শনীয় স্থানসমূহ | |
---|---|
ধরন | সংখ্যা |
মন্দির | ৩৪ |
জন্মভিটে | ২ |
স্মৃতিসৌধ | ৪ |
রাজবাড়ি | ১ |
বিল্ডিং | ৭ |
ঘাট | ১০ |
পরিপার্শ্ব | ৪ |
সর্বমোট | ৬২ |
একাদশ শতাব্দী বা তার পূর্বে সৃষ্ট গঙ্গাবিধৌত নতুন দ্বীপ তথা নবদ্বীপ গঙ্গার ভাঙনে বারবার বিধ্বস্ত হওয়ায় এই প্রাচীন জনপদের অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন বর্তমানে বিলুপ্তপ্রাপ্ত হয়েছে। নবদ্বীপের পশ্চিমসীমায় অবস্থিত পারডাঙ্গার (বর্তমানে পারডাঙ্গা হাইল্যান্ড কলোনি নামে পরিচিত) উঁচু ঢিপিটি পূর্বে বৌদ্ধস্তূপ ছিল।[২] এই স্থানটি রেনেল সাহেবের মানচিত্রে চিহ্নিত আছে। দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ ১১৯৯ বঙ্গাব্দের ১ অগ্রহায়ণ নবদ্বীপের উত্তরসীমায় রামচন্দ্রপুরে (বর্তমানে প্রাচীন মায়াপুর) গোবিন্দ-গোপীনাথ-কৃষ্ণচন্দ্র ও মদনমোহনের বিগ্রহ স্থাপনা করে কালো পাথরের ৬০ ফুট উঁচু যে নবরত্ন মন্দির নির্মাণ করেন, সেটি ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে গঙ্গার ভাঙনে ধ্বংস হয়ে যায়।[৩][৪]
নবদ্বীপের মন্দির শৈলীতে বৈষ্ণবীয় মঠ স্থাপত্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও বাংলার মন্দির স্থাপত্যের রত্ন, চালা ও দালান রীতির মন্দির দেখা যায়। বিরল রীতির মন্দির শৈলীর মধ্যে নবদ্বীপ মহাপ্রভু বাড়ির পুরাতন পরিত্যক্ত পীড়ারীতির মহাপ্রভু মন্দির ও পোড়ামাতলায় অবস্থিত অষ্টকোণাকৃতির শিখর রীতির ভবতারণ শিব মন্দিরটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই মন্দির সম্পর্কে নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদের সম্পাদক শান্তিরঞ্জন দেব বলেছেন- ভবতারণ শিবমন্দিরের স্থাপত্য বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। অষ্টকোণাকার, আচ্ছাদিত বারান্দা সমেত এই শিবমন্দিরটি ব্যতিক্রমী নির্মাণশৈলী বহন করছে।[৫] অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে নির্মিত বড় আখড়ার নাটমন্দিরটি দৃষ্টিনন্দিত কারুকার্জে পরিপূর্ণ। নাটমন্দিরের লৌহস্তম্ভগুলোর শিল্পনৈপুণ্যে চোখে পরার মতো।
মন্দির ও দর্শনীয় স্থানসমূহ
[সম্পাদনা]নবদ্বীপের হেরিটেজ তালিকাভুক্ত ও অন্যান্য মন্দির ও দর্শনীয় স্থানগুলো হলো-
নাম | অবস্থান | স্থাপনকাল | বর্ণনা / ইতিহাস |
---|---|---|---|
মহাপ্রভু পাড়া, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৫.৪″ উত্তর ৮৮°২২′৯.২″ পূর্ব / ২৩.৪১২৬১১° উত্তর ৮৮.৩৬৯২২২° পূর্ব |
১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ (বর্তমান মন্দির)[৭] | ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দিরের বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী পূজিত শ্রীবিগ্রহ নবদ্বীপের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। মহাপ্রভুর সন্ন্যাস গ্রহণের পর বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী স্বপ্নাদেশ পেয়ে বংশীদাস নবীন ভাস্করকে ডেকে প্রভুর বাড়ির নিম গাছটি দিয়ে মহাপ্রভুর এক অপরূপ দারুবিগ্রহ নির্মাণ করান। বিগ্রহের পাদদেশে খোদিত আছে বংশীর প্রাণধন গৌরাঙ্গ সুন্দর।[৮] নির্মাণকাল ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দ। | |
পোড়ামাতলা, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৩৮.১১″ উত্তর ৮৮°২২′১২.৯৬″ পূর্ব / ২৩.৪১০৫৮৬১° উত্তর ৮৮.৩৭০২৬৬৭° পূর্ব |
১৮২৫ খ্রিস্টাব্দ | নদীয়ারাজ মহারাজা রাঘব ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপের গঙ্গার ধারে মন্দিরসহ প্রকাণ্ড এক গণেশ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর ১০০ বছর পর গঙ্গার ভাঙনের কারণে বিগ্রহ অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পণ্ডিতবর্গের বিধানে বিগ্রহটিকে ১২ বছর মাটির নিচে রাখা হয়। পরবর্তীতে বিগ্রহটিকে মাটি থেকে তোলার সময় গণেশের শুঁড়টি ভেঙে গেলে মহারাজ গিরিশচন্দ্রের আদেশে কোনো এক অজ্ঞাত শিল্পী গণেশ মূর্তি থেকে মহারাজের আরাধ্যা দেবী আনন্দময়ীর প্রতিমা তৈরি করেন এবং দেবীমূর্তির নামকরণ হয় ভবতারিণী মাতা।[৯] ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা গিরিশচন্দ্র পোড়ামাতলায় দালানের উপর চারচালা মন্দির নির্মাণ করে দেবীকে প্রতিষ্ঠিত করেন। | |
পোড়ামাতলা, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৩৭.৮″ উত্তর ৮৮°২২′১২.৯″ পূর্ব / ২৩.৪১০৫০০° উত্তর ৮৮.৩৭০২৫০° পূর্ব |
অজানা | পোড়ামা নবদ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। দেবী পোড়ামা বা বিদগ্ধজননী নামে পরিচিতা। বটবৃক্ষমূলে দুটি ইটের উপর সংস্থাপিত ঘটে দক্ষিণাকালিকার ধ্যানে দেবীর নিত্য পূজা হয়। পোড়ামাতার প্রাচীনত্ব সম্পর্কে কোনো সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। কোনো এক সময়ে বটবৃক্ষ অগ্নিদগ্ধ হলে সেই স্থান পোড়াবটতলা ও দেবী পোড়ামা বা বিদগ্ধজননী নামে খ্যাত হয় মনে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।[১০] আবার অনেকে পড়ুয়ার মা অর্থে বিদ্যাদেবী বা নীল সরস্বতী মনে করেন। সারাবছর দক্ষিণাকালিকার ধ্যানে পূজা হলেও সরস্বতী পুজোর দিন নীল সরস্বতীর ধ্যানে দেবীর পূজা হয়।[১১] | |
পোড়ামাতলা, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৩৭.৭″ উত্তর ৮৮°২২′১২.৭″ পূর্ব / ২৩.৪১০৪৭২° উত্তর ৮৮.৩৭০১৯৪° পূর্ব |
১৮২৫ খ্রিস্টাব্দ | গৌরীপট্ট সংবলিত ব্রাহ্মণ্য-সংস্কৃতির প্রথম শিব মূর্তিটি ১৬৮৩ থেকে ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজা রুদ্র রায় স্থাপন করেছিলেন।[১২] সেইসময় শিবমূর্তিটি রাঘবেশ্বর শিব নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দের গঙ্গার ভাঙনে মন্দিরসহ মূর্তিটি গঙ্গাগর্ভে নিমজ্জিত হলে রাজা গিরিশচন্দ্র ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে পোড়ামাতলায় শিব মূর্তিটি ভবতারণ নামে পুন:স্থাপিত করেন, যা বর্তমানে ভবতারণ শিব নামে পরিচিত।[৯] | |
প্রাচীন মায়াপুর (পূর্বনাম রামচন্দ্রপুর), নবদ্বীপ ২৩°২৫′৩৫.০″ উত্তর ৮৮°২২′১৪.৪″ পূর্ব / ২৩.৪২৬৩৮৯° উত্তর ৮৮.৩৭০৬৬৭° পূর্ব |
১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ | অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ব্রজমোহন দাস বাবাজি নবদ্বীপ শহরের উত্তরে রামচন্দ্রপুরে অসংখ্য কূপ খননের মাধ্যমে গৌরাঙ্গ-জন্মস্থান নির্ণয় করেন।[১৩] ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট নবরত্ন এই মন্দিরটি ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়। গৌড়ীয় মন্দিরশৈলীর এই মন্দিরের শিখর চূড়াটি বৃহদাকৃতির হলেও অন্যান্য ৮টি চূড়া ক্ষীণাকার। | |
মালঞ্চপাড়া, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৭.২৫″ উত্তর ৮৮°২১′৩৫.৪৬″ পূর্ব / ২৩.৪১৩১২৫০° উত্তর ৮৮.৩৫৯৮৫০০° পূর্ব |
চৈতন্যদেবের দ্বিতীয় স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী এখানে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মভিটের এই মন্দিরে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী ও মহাপ্রভুর অতিসুন্দর দারুবিগ্রহ বর্তমান। | ||
মণিপুর, নবদ্বীপ ২৩°২৩′৫১.৪″ উত্তর ৮৮°২১′৫২.২″ পূর্ব / ২৩.৩৯৭৬১১° উত্তর ৮৮.৩৬৪৫০০° পূর্ব |
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দ (১৯২১ খ্রিস্টাব্দে নবনির্মিত সমতল ছাদে অনুমহাপ্রভুর বিগ্রহ স্থানান্তরিত হয়) | কাঁঠালকাঠ নির্মিত মণিপুরী ঘরানার অনুমহাপ্রভুর বিগ্রহ ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে এখানে মণিপুর রাজপরিবার দ্বারা পূজিত হয়ে আসছে।[১৪] দোলযাত্রা ও রাস পূর্ণিমায় এখানে অতিসাড়ম্বরে পূজার্চনা হয় ও মণিপুরি নৃত্য পরিবেশিত হয়।[১৫] | |
বড়ালঘাট, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৩৯.৬৩″ উত্তর ৮৮°২২′২১.১৭″ পূর্ব / ২৩.৪১১০০৮৩° উত্তর ৮৮.৩৭২৫৪৭২° পূর্ব |
১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপের কাংস-ব্যবসায়ী গুরুদাস দাস ভাগীরথী তীরে ২৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এবং টেরাকোটার কারুকার্যযুক্ত বারোটি আটচালা শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, যা দ্বাদশ শিব মন্দির নামে পরিচিত।[১৬] মন্দির গাত্রের দেওয়ালে অঙ্কিত ফুল-লতা-পাতার কারুকার্যের সৌন্দর্যের জন্য এই মন্দির বিশেষ ভাবে পরিচিত। | |
বুড়োশিবতলা, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪০.৯″ উত্তর ৮৮°২১′৫০″ পূর্ব / ২৩.৪১১৩৬১° উত্তর ৮৮.৩৬৩৮৯° পূর্ব |
সপ্তদশ শতাব্দী, (বর্তমান মন্দির আনু. ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয়) | নবরত্ন মন্দিরশৈলীর এই মন্দিরটি ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে তারাপ্রসন্ন চূড়ামণির চেষ্টায় নির্মিত হয়। আদি মন্দিরটি সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে নির্মিত হয়। মন্দিরের বুড়োশিব মূর্তিটি প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন। নরহরি চক্রবর্তী রচিত শ্রীশ্রীগৌরচরিত চিন্তামণি[১৭] এবং বিজয় সেনের তীর্থমঙ্গল গ্রন্থে বুড়োশিবের সুস্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায়।[১৮] শিবলিঙ্গের উপর গালা দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে চোখ মুখ অঙ্কিত আছে। এখানে শৈব সংস্কৃতির অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে গাজন, চরক, শিবের বিয়ে, শিবরাত্রি উল্লেখযোগ্যভাবে পালিত হয়। | |
গানতলা রোড, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৭.১″ উত্তর ৮৮°২২′১৯.৭″ পূর্ব / ২৩.৪১৩০৮৩° উত্তর ৮৮.৩৭২১৩৯° পূর্ব |
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধ | বড় আখরা নবদ্বীপের প্রথম বৈষ্ণব আখরা। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে তোতা রামদাস বাবাজি কর্তৃক এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বড় আখড়ার নাটমন্দিরটি ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে মাধবচন্দ্র দত্ত নির্মাণ করেন। | |
শ্রীবাস অঙ্গন রোড, নবদ্বীপ ২৩°২৪′২৭.০৫″ উত্তর ৮৮°২২′২০.৫৯″ পূর্ব / ২৩.৪০৭৫১৩৯° উত্তর ৮৮.৩৭২৩৮৬১° পূর্ব |
১৯০৬ খ্রিস্টাব্দ | দৃষ্টিনন্দিত কারুকার্য সংবলিত এই মন্দিরটি চরণদাস বাবাজি প্রতিষ্ঠা করেন। সুন্দরভাবে সাজানো এই মন্দির চত্ত্বরে গৌর-নিতাই, রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ ছাড়াও চরণদাস বাবাজির পূর্ণ সমাধি মন্দির রয়েছে। | |
শ্রীবাস অঙ্গন রোড, নবদ্বীপ ২৩°২৪′২৯.৫১″ উত্তর ৮৮°২২′১৮.৫১″ পূর্ব / ২৩.৪০৮১৯৭২° উত্তর ৮৮.৩৭১৮০৮৩° পূর্ব |
১৮৭০ খ্রিস্টাব্দ | তোতা রামদাস বাবাজির শিষ্য লছমন দাস পুরাণগঞ্জের রাধী কলুর ভিটায় ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে শ্রীবাস অঙ্গন প্রতিষ্ঠা করেন। এই অঙ্গন গঙ্গাগর্ভে নিমজ্জিত হলে নবদ্বীপের কংস ব্যবসায়ী গুরুদাস দাস ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান শ্রীবাস অঙ্গন প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে মাতা বসুধা ও মাতা জাহ্নবাসহ নিত্যানন্দ প্রভু এবং পঞ্চতত্ত্ব ছাড়াও ৩৭ জন চৈতন্য পরিকরের সুষমামণ্ডিত দারুবিগ্রহ পূজিত হয়। | |
শ্রীবাস অঙ্গন রোড, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৩০.২৩″ উত্তর ৮৮°২২′১৭.৩২″ পূর্ব / ২৩.৪০৮৩৯৭২° উত্তর ৮৮.৩৭১৪৭৭৮° পূর্ব |
তিনফুট উচ্চতা বিশিষ্ট অষ্টধাতুর অপরূপ গৌরাঙ্গ মূর্তি ছাড়াও এখানে কাষ্ঠনির্মিত গৌরনিতাই, বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী, শ্রীকৃষ্ণের সুন্দর বিগ্রহ রয়েছে। | ||
হরিসভাপাড়া, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৩৯.৩৮″ উত্তর ৮৮°২২′০৫.৩″ পূর্ব / ২৩.৪১০৯৩৮৯° উত্তর ৮৮.৩৬৮১৩৯° পূর্ব |
১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দ[১৯] | হরিসভা মন্দির হল ব্রজনাথ বিদ্যারত্নের পুত্র, মথুরানাথ পদরত্নের টোল বাড়ি। ব্রজনাথ ও তাঁর পুত্র বৈষ্ণবীয় আন্দোলনের জন্য যে হরি ভক্তি প্রদায়িনী সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটাই বর্তমানে হরিসভা মন্দির নামে পরিচিত। এই মন্দিরের মৃত্তিকা নির্মিত বিগ্রহটি নবদ্বীপে অবস্থিত চৈতন্য মহাপ্রভুর তৃতীয় প্রাচীন বিগ্রহ। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রজনাথ বিদ্যারত্নের অনুরোধে নবদ্বীপের রাম-সীতা পাড়ার বিহারী পাল (কুম্ভকার) দ্বারা এই বিগ্রহ নির্মিত হয়। চৈতন্য মহাপ্রভুর এই বিগ্রহ নাটুয়া গৌর (নৃত্যরত গৌরাঙ্গ) নামে পরিচিত। | |
আগমেশ্বরীপাড়া, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৬.৩″ উত্তর ৮৮°২২′০৩.১″ পূর্ব / ২৩.৪১২৮৬১° উত্তর ৮৮.৩৬৭৫২৮° পূর্ব |
আনু. ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ (বর্তমান মন্দির ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে সংস্কৃত) | বর্তমানে আগমেশ্বরীপাড়ায় যেখানে আগমেশ্বরী মন্দিরটি অবস্থিত ওই অঞ্চলটি কৃষ্ণানন্দের সময়ে কিছুটা ঝোপঝার জঙ্গলাকীর্ণ আর কিছুটা গোপ-সম্প্রদায়ের বাস। আগমেশ্বরী মন্দিরটি পঞ্চমুণ্ডীর আসনের উপর নির্মিত। আনুমানিক ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দের শেষ দিকে ছোট আকারের মন্দির নির্মিত হয়েছিল। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে মন্দির সংস্কার করে নতুন করে গড়ে তোলা হয়। এই পঞ্চমুণ্ডীর আসনেই সাধনা করে কৃষ্ণানন্দ আগমসিদ্ধ হয়ে আগমবাগীশ হয়ে ওঠেন। | |
কানাই বলাই মন্দির | উডবার্ন রোড, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪২.৩৩″ উত্তর ৮৮°২২′২২.৮৮″ পূর্ব / ২৩.৪১১৭৫৮৩° উত্তর ৮৮.৩৭৩০২২২° পূর্ব |
মন্দিরের মন্দিরগাত্রে অঙ্কিত ফুল, লতাপাতার কারুকার্য খুবই দৃষ্টিনন্দিত। এখানে ভেঁপু-বাঁশি ধরে থাকা বলরাম ও কৃষ্ণের বিগ্রহ বর্তমান। | |
মহানির্ব্বাণ মঠ | দিয়ারাপাড়া, নবদ্বীপ ২৩°২৪′০০.৯৫″ উত্তর ৮৮°২১′৫০.২৭″ পূর্ব / ২৩.৪০০২৬৩৯° উত্তর ৮৮.৩৬৩৯৬৩৯° পূর্ব |
১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ (মঠ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে) | ৩০-৩৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই মন্দিরের মূল চূড়াটি বিশালাকার ও গম্বুজাকৃতির। নবরত্ন এই মন্দিরের অন্য আটটি চূড়া ক্ষুদ্রাকার। বিরল-রীতির এই মন্দিরের প্রধান চূড়ায় অর্ধ-প্রস্ফূটিত পদ্মফুল রয়েছে। |
রাধা মদনমোহন জীউর মন্দির | ব্রজানন্দ গোস্বামী রোড, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৪.৬২″ উত্তর ৮৮°২২′২২.০৯″ পূর্ব / ২৩.৪১২৩৯৪৪° উত্তর ৮৮.৩৭২৮০২৮° পূর্ব |
১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ | রাধা মদন মোহন মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ, গৌরনিতাই গোপাল, জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার সুন্দর বিগ্রহ রয়েছে। ১৯৩৭-৩৮ খ্রিষ্টাব্দে কাজী নজরুল ইসলাম এই মন্দিরের গানের আসরে দুর্গমগিরি কান্তর মরু দুস্তর পারাবার। গানের সুর তুলেছিলেন। এখানে নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত মেহগনি কাঠের চেয়ার সযত্নে রক্ষিত আছে।[২০] |
নিতাই বাড়ি | যোগনাথ তলা, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৭.৭″ উত্তর ৮৮°২২′১৪.৬″ পূর্ব / ২৩.৪১৩২৫০° উত্তর ৮৮.৩৭০৭২২° পূর্ব |
বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর কয়েকজন সেবাইত যোগনাথতলায় মহাপ্রভুর আদলে নিত্যানন্দ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন। এই মন্দির একলা নিতাই বাড়ি নামেও পরিচিত। অঙ্গরাগের শেষ দিন বিভিন্ন রূপে নিত্যনন্দকে সাজানো হয়। নবদ্বীপে নিত্যানন্দের আবির্ভাব তিথিতে এখানে মহোৎসব হয়।[২১] | |
মালঞ্চপাড়া, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৩৫.৮৬″ উত্তর ৮৮°২১′৪৪.৪৩″ পূর্ব / ২৩.৪০৯৯৬১১° উত্তর ৮৮.৩৬২৩৪১৭° পূর্ব |
অষ্টাদশ শতাব্দী | অষ্টাদশ শতাব্দীর নবদ্বীপের বিশিষ্ট নৈয়ায়িক, পণ্ডিত ও এবং আদর্শ শিক্ষক বুনো রামনাথ এই স্থানে চতুস্পাঠী স্থাপন করে শিক্ষাদান করতেন। বুনো রামনাথের ভিটেতে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার নবদ্বীপ তথা ভারতের সুপ্রাচীন শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে ওঠে। পাইকপাড়ার রাজা ইন্দ্রচন্দ্র সিংহের সভাপতিত্বে এবং অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় দেশের পণ্ডিতমণ্ডলী এবং সংস্কৃতের অধ্যাপকদের নিয়ে সংস্কৃত চর্চাকে পুনঃজাগরণের উদ্দেশ্যে বঙ্গ বিবুধ জননী সভা স্থাপন করা হয়েছিল। | |
রানী রাসমণি কাছারিবাড়ি | উডবার্ন রোড, (গোকুলানন্দ ঘাট), নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৮.১১″ উত্তর ৮৮°২২′২৫.৩৫″ পূর্ব / ২৩.৪১৩৩৬৩৯° উত্তর ৮৮.৩৭৩৭০৮৩° পূর্ব |
আনু. ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দ | নবদ্বীপের জমিদারি পাওয়ার পর রানী রাসমণি জমিদারি রক্ষা ও খাজনা আদায়ের জন্য এই কাছারি বাড়ি তৈরি করেন। এখানে রানী রাসমণি সেবিত রাধাগোবিন্দ জিউ ও গৌরাঙ্গ জিউর মন্দির বর্তমান।[২২] |
রানীর ঘাট, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪১.৭″ উত্তর ৮৮°২২′৩৩.৮″ পূর্ব / ২৩.৪১১৫৮৩° উত্তর ৮৮.৩৭৬০৫৬° পূর্ব |
রাধা কৃষ্ণের যুগল বিগ্রহসহ গৌর নিতাইয়ের অপরূপ বিগ্রহ এখানে রয়েছে। রানীর ঘাটের কাছে অবস্থিত এই পঞ্চরত্ন মন্দির খুবই দৃষ্টিনন্দিত। | ||
বলদেব আখড়া | যোগনাথ তলা, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৮.১১″ উত্তর ৮৮°২২′১৭.২১″ পূর্ব / ২৩.৪১৩৩৬৩৯° উত্তর ৮৮.৩৭১৪৪৭২° পূর্ব |
নবদ্বীপে নিত্যনন্দকে বলদেব রূপে পূজার রীতি রয়েছে। এই বলদেব আখড়ায় অনেক বছর ধরে নিত্যানন্দপ্রভুর বলদেব বিগ্রহ পুজো হয়ে আসছে। এখানে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে দোলযাত্রা পালিত হয়। | |
গানতলা রোড, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪৪.১২″ উত্তর ৮৮°২২′২০.২২″ পূর্ব / ২৩.৪১২২৫৫৬° উত্তর ৮৮.৩৭২২৮৩৩° পূর্ব |
১৯০৪ খ্রিস্টাব্দ | নবদ্বীপে নিত্যনন্দকে বলদেব রূপে পূজা করা হয়। এই বলদেব জিউ মন্দিরে শতাধিক বছর ধরে নিত্যানন্দপ্রভুর বলদেব বিগ্রহ পুজো হয়ে আসছে। এখানে আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে দোলযাত্রা ও ঝুলন যাত্রা পালিত হয়।[২৩] | |
গোরাচাঁদের আখড়া | ব্রজানন্দ গোস্বামী রোড, নবদ্বীপ ২৩°২৪′৪২.৫″ উত্তর ৮৮°২২′১৭.৩″ পূর্ব / ২৩.৪১১৮০৬° উত্তর ৮৮.৩৭১৪৭২° পূর্ব |
এখানে গৌর ও নিতাইয়ের অপরূপ যুগল বিগ্রহ বর্তমান। ঝুলন পূর্ণিমা রাধাকৃষ্ণের উৎসব হলেও নবদ্বীপ তথা গোরাচাঁদের আখড়ায় মহাপ্রভুর ঝুলন হয়। এই মন্দিরে কোন ভেট লাগে না। |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Das, Nilanjana (২০০৫)। Economics of Religion (ইংরেজি ভাষায়)। Vista International Publishing House। পৃষ্ঠা ২১। আইএসবিএন 978-81-89526-36-8। ৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২১।
- ↑ রায়, মোহিত (১৯৭৫)। বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিয়কুমার; দাশ, সুধীররঞ্জন, সম্পাদকগণ। নদীয়া জেলার পুরাকীর্তি। কলকাতা: পুর্ত (পুরাতত্ত্ব) বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পৃষ্ঠা ৪৩।
- ↑ সমাচার দর্পণ। ১৮২০-০২-১৯। ''মোং নবদ্বীপের উত্তর পারে রামচন্দ্রপুরে দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ যে দেবালয় করিয়া দেব সংস্থাপন করিয়াছিলেন সংপ্রতি সে দেবালয়ের মন্দির সকল ভগ্নপ্রায় হইয়াছে''
- ↑ Duff, Alexander (১৮৪৬)। The Calcutta Review: July - December। VI। Calcutta: Calcutta University press। পৃষ্ঠা 423।
Gunga Govind Singh erected a temple over 60 feet high, which was washed away 25 years ago by the river; it was at Ramchandrapur...
- ↑ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস (২০১৯-০৭-৩০)। "প্রাচীন মন্দির ঢেকেছে বটের ঝুরিতে"। www.anandabazar.com। ২০২১-০৩-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৪।
- ↑ "WEST BENGAL HERITAGE COMMISSION, Report July 2019" (পিডিএফ)। West Bengal Heritage Commission, Government of West Bengal। পৃষ্ঠা 4। ২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২১।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব (২০১৬-০৭-০৮)। "সংস্কার নবদ্বীপের মহাপ্রভু মন্দিরের"। www.anandabazar.com। ২০২১-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫।
- ↑ গোস্বামী, ডঃ কানন বিহারী। বাঘনাপাড়া সম্প্রদায় ও বৈষ্ণব সাহিত্য। কলকাতা: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ১৭০।
- ↑ ক খ সংবাদদাতা, নিজস্ব (২০১৭-০৩-৩১)। "ভবতারিণী মন্দির সংস্কারে ভক্তেরাই"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ২০২১-০৩-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৪।
- ↑ রাঢ়ী, কান্তিচন্দ্র (১৯৩৭)। দত্ত, জিতেন্দ্রিয়; দত্ত, ফণিভূষণ, সম্পাদকগণ। নবদ্বীপ মহিমা:অর্থাৎ নবদ্বীপের প্রাচীন ও আধুনিক বিবরণ (দ্বিতীয় সংস্করণ)। নবদ্বীপ: নবদ্বীপ মহিমা কার্যালয়: অমিয় গোপাল দত্ত। পৃষ্ঠা ১০০।
- ↑ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিত হালদার ও দেবাশিস (২০১৫-০১-২৬)। "পেশোয়ার কাণ্ডের প্রতিবাদ কৃষ্ণনগরের সরস্বতী পুজোয়"। www.anandabazar.com। ২০২১-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫।
- ↑ গেরেট, জে. এইচ. (১৯১০)। Nadia District Gazeteers। কলকাতা: বেঙ্গল সেক্রেটারিয়েট বুক ডিপো। পৃষ্ঠা ১৫৫।
- ↑ ভট্টাচার্য, তরুণ; মজুমদার, দিব্যজ্যোতি, সম্পাদকগণ (১৯৯৭)। পশ্চিমবঙ্গ: নদিয়া জেলা সংখ্যা ১৪০৪। পশ্চিমবঙ্গ সরকার: তথ্য অধিকর্তা: তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। পৃষ্ঠা ৫৫।
- ↑ সংবাদদাদাতা, নিজস্ব (২০১৭-০৯-২৩)। "ভাগ্যচন্দ্র স্মরণে মিশে গেল নবদ্বীপ-মণিপুর"। www.anandabazar.com। ২০২১-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫।
- ↑ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস (২০১৮-১১-২৫)। "ভাগ্যচন্দ্রেরই উদ্ভাবন বহু নৰ্তকীর রাসনৃত্য"। www.anandabazar.com। ২০২১-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫।
- ↑ রায়, মোহিত (১৯৭৫)। বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিয়কুমার; দাশ, সুধীররঞ্জন, সম্পাদকগণ। নদীয়া জেলার পুরাকীর্তি। কলকাতা: পুর্ত (পুরাতত্ত্ব) বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পৃষ্ঠা ৪৫–৪৬।
- ↑ রাঢ়ী, কান্তিচন্দ্র (১৯৩৭)। দত্ত, জিতেন্দ্রিয়; দত্ত, ফণিভূষণ, সম্পাদকগণ। নবদ্বীপ মহিমা:অর্থাৎ নবদ্বীপের প্রাচীন ও আধুনিক বিবরণ (দ্বিতীয় সংস্করণ)। নবদ্বীপ: নবদ্বীপ মহিমা কার্যালয়: অমিয় গোপাল দত্ত। পৃষ্ঠা ১০১।
- ↑ সেন, বিজয়রাম (১৯১৫)। বসু, নগেন্দ্রনাথ, সম্পাদক। তীর্থ-মঙ্গল। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মন্দির। পৃষ্ঠা ৩০।
- ↑ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস (২০১৭-০৪-১৯)। "ছুটছে শহর, নিশ্চুপে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য"। www.anandabazar.com। ২০২১-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৫।
- ↑ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস। "সে কালে রাধারানি দেবী নিজে হাতে খাওয়াতেন নজরুলকে"। www.anandabazar.com। ২০২১-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৪।
- ↑ "নবদ্বীপে নিত্যানন্দর আবির্ভাব তিথিতে মহোৎসব"। bartamanpatrika.com। ২০১৯-০২-১৯। ২০২১-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৪।
- ↑ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস (২০১৯-০১-০৮)। "ইতিহাস বুকে নিস্তব্ধ রানির কাছারি বাড়ি"। www.anandabazar.com। ২০২১-০২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৭।
- ↑ "আজ নবদ্বীপে পালিত হবে বলদেবচন্দ্রের আবির্ভাব তিথি গানতলা বলদেব মন্দিরে হবে ভক্তদের ভিড়"। bartamanpatrika.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৮-১৩।