পঞ্চতত্ত্ব (বৈষ্ণবধর্ম)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পঞ্চতত্ত্ব, নবদ্বীপ.jpg

পঞ্চতত্ত্ব (Devanagari: पञ्चतत्त्व; IAST: pañca-tattva, সংস্কৃতে pañca মানে পাঁচtattva মানে সত্যতা বা বাস্তবতা) বলতে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্য-এ ঈশ্বরের বা পরম সত্যের পাঁচটি দিককে  ইঙ্গিত করে বা বোঝায়।[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম মতে, পঞ্চদশ শতকে পৃথিবীতে আবির্ভুত ঈশ্বরের (কৃষ্ণ) পাঁচটি অবতার হলেন পঞ্চতত্ত্ব। এরা হলেন চৈতন্য মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ, অদ্বৈত আচার্য, গদাধর পণ্ডিতশ্রীনিবাস ঠাকুর। এঁদের দ্বারা ভারতবর্ষে বিখ্যাত হরে কৃষ্ণ মন্ত্র ও শ্রীকৃষ্ণের ভক্তির (নিষ্ঠা) কথা ছড়িয়ে পরে।

মহর্ষি কৃষ্ণদৈপায়ন শ্রীবেদব্যাস প্রণীত (বৃহৎ সচিত্র) গরুড় পুরাণ(পৃষ্ঠা-39)দ্বাদশ অধ্যায় *পঞ্চতত্ত্বার্চন* বাসুদেব,সঙ্কর্ষন,অনিরূদ্ধ আর। প্রদুম্ন ও নারায়ণ রূপ যে তাঁহার। এই পাঁচজন দেবতা হলেন পঞ্চতত্ত্ব।

পঞ্চতত্বের মন্ত্র[সম্পাদনা]

গৌড়ীয় ঐতিহ্যে পঞ্চতত্ত্বেরর মন্ত্রে পাঁচজন সদস্যের নাম উল্লেখ আছে। এটি একটি ভক্তিমূলক মন্ত্র যাকে ধ্যানের (জপ) একটি উপায় হিসাবে গাওয়া হয়। প্রায়শই হরে কৃষ্ণ মন্ত্র গাওয়ার সময় এই মন্ত্র গাওয়া হয়ে থাকে। অনুগামীরা বিশ্বাস করে, এটি কলি যুগের একটি করুনাময় মন্ত্র।

[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Pancha Tattva (Vaishnavism) - Wikipedia"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১৯ 
  2. "The Hare Krsnas - Sadhana Practice - Mangala-arati Kirtana, Pancha Tattva Maha-Mantra"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১৯