ত্রোংসা জেলা
ত্রোংসা জেলা ཀྲོང་གསར་རྫོང་ཁག | |
---|---|
জেলা | |
ভুটানের ত্রোংসা জেলার মানচিত্র | |
দেশ | ভুটান |
সদরদপ্তর | ত্রোংসা |
আয়তন | |
• মোট | ১,৮০৭ বর্গকিমি (৬৯৮ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১৭) | |
• মোট | ১৯,৯৬০ |
• জনঘনত্ব | ১১/বর্গকিমি (২৯/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিটিটি (ইউটিসি+৬) |
এইচডিআই (২০১৯) | ০.৬১৫[১] মধ্যম · ১০ম |
ওয়েবসাইট | www |
ট্রোংসা জেলা (জংখা: ཀྲོང་གསར་རྫོང་ཁག་) হল ভুটানের ২০টি জেলার একটি অন্যতম জেলা। এটি ভুটানের সবচাইতে কেন্দ্রীভূত জেলা এবং ভুটানের ভৌগোলিক কেন্দ্র এটির মধ্যে ত্রোংসা জং-এ অবস্থিত।
ভাষা
[সম্পাদনা]ত্রোংসা হল একটি ভাষাগতভাবে বৈচিত্র্যময় জেলা। ত্রোংসা জেলার উত্তর ও পূর্বের অধিবাসীরা বুমথাংখা ভাষায় কথা বলে থাকা এবং একদম দক্ষিণ-পূর্বে কিনারের দিকে খেংখা ভাষায় কথা লোকজন কথা বলে। নয়েনখা ভাষায় ত্রোংসা জেলার পশ্চিম অর্ধেক অংশ, ওয়াংডু ফোড্রাং ভাষায় ত্রোংসা জেলার সীমান্তে অধিবাসীরা কথা বলে থাকে। এছাড়াও উত্তর দিকে বরাবর এবং একই সীমান্তের ওপারের দিকে, লাখার কথকদের অস্তিত্ব এখনো রয়েছে। একদম দক্ষিণ দিকের অধিবাসীরা জাতীয় ভাষা জংখায় কথা বলা হয়ে থাকে। মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে অটোকথোনাস ওলেখার (কৃষ্ণ পর্বতমালা মনপা) ভাষায় কথা বলা ক্ষুদ্র সম্প্রদায়গুলি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।[২] ঐতিহাসিকভাবে, বুমথাংখা এবং এই ভাষায় কথা বলা অধিবাসীদের মধ্য ও পূর্ব ভুটানের নিকটবর্তী ভাষা কুর্তোপখা, মাংডুয়েপিখা এবং খেংখার ভাষাভাষীদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তথা সম্পর্ক রয়েছে, এই অনুসারে তারা "বুমথাং ভাষার" বিস্তৃত সংগ্রহের অংশ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। বুমথাং ভাষার সাথেও সম্পর্কিত নয়েনখা ভাষাটি আরও ভিন্নতর, অন্যদিকে ওলেখা কেবল দূরবর্তীভাবে সম্পর্কিত।[৩][৪][৫]
ভূগোল
[সম্পাদনা]ট্রংসা মোট ১৮০৭ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে অবস্থিত।[৬] এটি পশ্চিমে ওয়াংডু ফোড্রাং জেলা এবং পূর্বে বুমথাং জেলা দ্বারা সীমাবদ্ধ। দক্ষিণে এটি সিরাং, সারপাং এবং ঝেমগাং জেলার সীমানা।
প্রশাসনিক বিভাগ
[সম্পাদনা]ত্রোংসা জেলা পাঁচটি গ্রাম ব্লকে বিভক্ত (বা গেওগ):[৭]
পরিবেশ
[সম্পাদনা]ত্রোংসা জেলার অধিকাংশ জায়গা পরিবেশগতভাবে সুরক্ষিত। উত্তরে ওয়াংচুক সরক্ষিত উদ্যান (নুবির গেওগ) এবং জৈবিক করিডোর দ্বারা সংযুক্ত মধ্য, পশ্চিম এবং দক্ষিণে জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক জাতীয় উদ্যান (ল্যাংথিল এবং টাংসিবজির গেওগ), যার সবকটিই ভুটানের সংরক্ষিত এলাকা। জৈবিক করিডোরগুলিও দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে, যা পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে থ্রুমশিংলা জাতীয় উদ্যানের দিকে নিয়ে যায়।[৭][৮] জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক জাতীয় উদ্যানে ভুটানের কিছু বন্যপ্রাণী যেমন হিমালয়ান বিয়ার এবং হোয়াইট ল্যাঙ্গুর সংরক্ষণ করা হয়েছে।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Sub-national HDI - Area Database - Global Data Lab"। hdi.globaldatalab.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৩।
- ↑ van Driem, George L. (১৯৯৩)। "Language Policy in Bhutan"। London: SOAS। ২০১০-১১-০১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১৮।
- ↑ Schicklgruber, Christian (১৯৯৮)। Françoise Pommaret-Imaeda, সম্পাদক। Bhutan: Mountain Fortress of the Gods। Shambhala। পৃষ্ঠা 50, 53।
- ↑ van Driem, George (২০০৭)। "Endangered Languages of Bhutan and Sikkim: East Bodish Languages"। Moseley, Christopher। Encyclopedia of the World's Endangered Languages। Routledge। পৃষ্ঠা 295। আইএসবিএন 0-7007-1197-X।
- ↑ van Driem, George (২০০৭)। Matthias Brenzinger, সম্পাদক। Language diversity endangered। Trends in linguistics: Studies and monographs, Mouton Reader। 181। Walter de Gruyter। পৃষ্ঠা 312। আইএসবিএন 3-11-017050-7।
- ↑ ক খ Facts about Bhutan The Land of the Thunder Dragon (English ভাষায়)। Absolute Bhutan Books। ২০১৭। পৃষ্ঠা 328।
- ↑ ক খ "Chiwogs in Trongsa" (পিডিএফ)। Election Commission, Government of Bhutan। ২০১১। ২০১১-১০-০২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৭-২৮।
- ↑ "Parks of Bhutan"। Bhutan Trust Fund for Environmental Conservation online। Bhutan Trust Fund। ২০১১-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-২৬।