বিষয়বস্তুতে চলুন

জাহানিয়া মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাহানিয়া মসজিদ
অবস্থান ভারত গৌড়, ভারত
প্রতিষ্ঠিত ১৫৩৫
স্থাপত্য তথ্য
ধরন সুলতানি স্থাপত্য

জাহানিয়া মসজিদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত একটি ইসলাম ধর্মীয় প্রাচীন স্থাপত্য।[] এই মসজিদটি পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় (প্রাচীনঃ গৌড় নগর) অবস্থিত।[] অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটির সাথে সুলতানি আমলে বাংলায় নির্মিত ঝিনাইদহের গলাকাটা মসজিদ, ঢাকার বাবা আদমের মসজিদ প্রভৃতির সাদৃশ্য রয়েছে।[] এই মসজিদকে কখনও কখনও ‘‘জন জন মিয়ার মসজিদ’’ বা ‘‘ঝনঝনিয়া মসজিদ’’ও বলা হয়।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

একটি সিরিজের অংশ
মসজিদ

স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলী
মসজিদের তালিকা
অন্যান্য

সুলতান গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহের শাসনামলে জনৈক বিবি মালতি এই মসজিদটি নির্মাণ করেন।[] মসজিদটি ১৫৩৫ সালে নির্মান করা হয়।[][] এই মসজিদটিকে ‘‘জাহানিয়া মসজিদ’’ নামে ডাকা হয়, যা মূলতঃ ‘জাহানগাস্ত’ নামীয় একজন সুফির নামের অপভ্রংশ।[]

নির্মান শৈলী

[সম্পাদনা]

এই মসজিদটিকে গৌড় অঞ্চলে সুলতানি আমলের সর্বশেষ নিদর্শন হিসাবে বিবেচনা করা হয়,[] যার সাথে মিল রয়েছে সুলতানি আমলে বা এর পরবর্তী সময়ে নির্মিত টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ, গৌড়ের কদম রসূল মসজিদ, ঝিনাইদহের গলাকাটা মসজিদ, ঢাকার বাবা আদমের মসজিদ প্রভৃতির।[][]

বিবরণ

[সম্পাদনা]

মসজিদটি ইটের তৈরি, যার বাইরের দিকের পরিমাপ ১৭.৫ মিটার × ১২.৮ মিটার এবং ভেতরের দিকের পরিমাপ ১২.২০ মিটার × ৮ মিটার।[] মসজিদের পূর্বদিকে তিনটি প্রবেশপথ এবং কোণগুলিতে অষ্টভুজাকৃতি মিনার রয়েছে।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "বাংলায় মুসলমান মসজিদ স্থাপত্য"। Rustic Enterprise Performance Management System। ৭ নভেম্বর ২০১৭। ৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৮ 
  2. আসহাবুর রহমান (এপ্রিল–জুন ২০০৮)। "বাংলার স্থাপত্য : সুলতানী যুগের মসজিদ"। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীনতুন দিগন্তঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "ঝিনাইদহের ঐতিহ্য গলাকাটা মসজিদ"উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ অনলাইন। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৮ 
  4. এ.বি.এম হোসেন (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাহানিয়া মসজিদ"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৮  ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]