চীনা মহাকাশ কর্মসূচি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাম থেকে ডান দিকে, উপর থেকে নিচে:দীর্ঘ অভিযাত্রা ১ রকেট তুংফাংহুং ১-কে পরিবহন করছে, দীর্ঘ অভিযাত্রা ৫বি-এর উৎক্ষেপণ, ইউথু চন্দ্র বিচরণ যান, চাঁদের দূরবর্তী পার্শ্বে ছাং-ও ৪ অবতরণ যান,, মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে চুরুং বিচরণ যান, শেনচৌ ১৪-এর চালকদল মহাকাশে যাত্রা করছে, থিয়েনকুং মহাকাশ কেন্দ্রটির স্বয়ংক্রিয় রোবটচালিত বাহুসমূহ, চীনা মহাকাশচারী মহাকাশে পদচারণ সম্পাদন করছেন।

টেমপ্লেট:History of science and technology in China

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মহাকাশ কর্মসূচি বলতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার দ্বারা মহাকাশে পরিচালিত কর্মকাণ্ডসমূহকে বোঝায়। চীনা মহাকাশ কর্মসূচটির মূল ১৯৫০-এর দশকে প্রোথিত, যখন নব্য মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে চীন তার প্রথম নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট কর্মসূচির বিকাশ শুরু করে। প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও পরবর্তীতে (চীন-সোভিয়েত বিচ্ছেদের পরে) সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির প্রত্যুত্তরে এই কর্মসূচিগুলির কাজ হাতে নেওয়া হয়। সোভিয়েত স্পুতনিক ১ ও মার্কিন এক্সপ্লোরার ১ কৃত্রিম উপগ্রহগুলির সফল উৎক্ষেপণের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে চীনও ১৯৭০ সালের এপ্রিল মাসে তার প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ তুংফাংহুং ১ দীর্ঘ অভিযাত্রা ১ রকেটের পিঠে করে উৎক্ষেপণ করে এবং ভূ-কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনকারী ৫ম রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জন করে।

চীন বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় মহাকাশ কর্মসূচিগুলির একটির অধিকারী। দীর্ঘ অভিযাত্রা রকেট পরিবার ও নিজ সীমান্তের অভ্যন্তরে অবস্থিত চারটি মহাকাশ বন্দরের (চিওছুয়ান মহাকাশ বন্দর, থাই-ইউয়েন মহাকাশ বন্দর, শিছাং মহাকাশ বন্দরওয়েনছাং মহাকাশ বন্দর) প্রদানকৃত মহাকাশ উৎক্ষেপণ সক্ষমতার সুবাদে চীন প্রতি বছর সর্বোচ্চ বা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ভূ-কক্ষপথে উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করে থাকে। দেশটি একটি কৃত্রিম উপগ্রহের বহর পরিচালনা করে, যেটি বহুসংখ্যক যোগাযোগ, পথনির্দেশক, দূরানুধাবন ও বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে গঠিত।[১] চীনের মহাকাশ কর্মকাণ্ডের আওতা নিম্ন ভূ-কক্ষপথ থেকে চাঁদ হয়ে মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে।[২] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাশাপাশি চীন স্বাধীনভাবে মানব মহাকাশ যাত্রার সক্ষমতাবিশিষ্ট তিনটি দেশের একটি।

বর্তমানে চীনের পরিচালিত সিংহভাগ মহাকাশ কর্মকাণ্ড ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসনগণমুক্তি বাহিনীর কৌশলগত সহায়তা বাহিনী। শেষোক্তটি চীনের সামরিক বাহিনী তথা গণমুক্তি বাহিনীর মহাকাশচারী বাহিনী ও চীনা গভীর মহাকাশ জালকব্যবস্থাটিকে পরিচালনা করে।[৩][৪] প্রধান কর্মসূচিগুলির মধ্যে আছে চীনের মানববাহী মহাকাশ কর্মসূচি, পেইতৌ পথনির্দেশক কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবস্থা , চীনের চন্দ্রানুসন্ধান কর্মসূচি, কাওফেন পর্যবেক্ষণচীনের গ্রহানুসন্ধান কর্মসূচি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চীন অনেকগুলি অভিযান পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে আছে ছাং-ও ৩, ছাং-ও ৪, ছাং-ও ৫, থিয়েনওয়েন-১থিয়েনকুং মহাকাশ কেন্দ্র


আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "How is China Advancing its Space Launch Capabilities?"Center for Strategic and International Studies। নভেম্বর ৫, ২০১৯। 
  2. Myers, Steven Lee (২০২১-১০-১৫)। "The Moon, Mars and Beyond: China's Ambitious Plans in Space"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৩ 
  3. Kania, Elsa B.; Costello, John (২০২১-০২-২৩)। "Seizing the commanding heights: the PLA Strategic Support Force in Chinese military power"। Journal of Strategic Studies (ইংরেজি ভাষায়)। 44 (2): 218–264। আইএসএসএন 0140-2390এসটুসিআইডি 219449682ডিওআই:10.1080/01402390.2020.1747444 
  4. Pollpeter, Kevin; Chase, Michael; Heginbotham, Eric (২০১৭)। The Creation of the PLA Strategic Support Force and Its Implications for Chinese Military Space Operations (ইংরেজি ভাষায়)। RAND Corporationআইএসবিএন 978-0-8330-9872-6ডিওআই:10.7249/rr2058অবাধে প্রবেশযোগ্য 

টেমপ্লেট:Public-sector space agencies টেমপ্লেট:Chinese space program টেমপ্লেট:Shenzhou program টেমপ্লেট:Tiangong space station

টেমপ্লেট:S&T in China

টেমপ্লেট:China topics