ক্লাইভ হাল্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্লাইভ হাল্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামক্লাইভ গ্রে হাল্স
জন্ম২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৫
এম্পাঞ্জেনি, কোয়াজুলু-নাটাল
মৃত্যু২৮ মে, ২০০২
ডারবান, কোয়াজুলু-নাটাল, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২১)
১০ জানুয়ারি ১৯৬৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৫
রানের সংখ্যা ৩০ ৩২১
ব্যাটিং গড় - ১২.৮৩
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৯* ৩৫*
বল করেছে ৫৮৭ ৫৫৯৫
উইকেট ৮৩
বোলিং গড় ৪৩.৩৩ ৩১.৩০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৫০ ৫/৪৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ১৭/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

ক্লাইভ গ্রে হাল্স (ইংরেজি: Clive Halse; জন্ম: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৫ - মৃত্যু: ২৮ মে, ২০০২) কোয়াজুলু-নাটালের এম্পাঞ্জেনি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ক্লাইভ হাল্স

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৬৪-৬৫ মৌসুম পর্যন্ত ক্লাইভ হাল্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৮ বছর বয়সের পূর্বে বিদ্যালয় ত্যাগ করার অল্প কিছুদিন পর থেকে নাটালের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। ১৯৫৩ সালের নববর্ষের দিনে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হলেও ১৯৬০-৬১ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হননি। এ পর্যায়ে তার ফাস্ট-মিডিয়াম সুই বোলিংয়ে পরিপক্কতা আসে। দুই মৌসুম বাদে নাটাল দলের কারি কাপের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।

ডানহাতি ফাস্ট বোলার ও ডানহাতি নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ক্লাইভ হাল্স ১৭ বছর বয়সে ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে নাটালের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। পরবর্তী ১০ মৌসুমে তিনি মাত্র ১৬ খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পান। অনুশীলন করার সুবিধার্থে নিয়োগকর্তা তাকে প্রতিদিনই এক ঘণ্টা পূর্বে কাজ থেকে মুক্তি দিতেন।[১] ১৮.২৬ গড়ে ১৯ উইকেট নিয়ে নাটাল দলের কারি কাপের শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। এরফলে, পরবর্তী মৌসুমে অস্ট্রালেশিয়া সফরের জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ক্লাইভ হাল্স। সবগুলো টেস্টই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ১০ জানুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। ঐ সফরে রাজ্য দলের খেলাগুলোয় সাধারণমানের খেলা প্রদর্শন এবং টেস্টে পিটার পোলকজো প্যাট্রিজের উদ্বোধনী বোলার হিসেবে আত্মপ্রকাশের পাশাপাশি ট্রেভর গডার্ডএডি বার্লো’র মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ের ফলে তাকে তৃতীয় টেস্টের পূর্ব-পর্যন্ত দলের বাইরে অবস্থান করতে হয়। ড্র হওয়া ঐ খেলায় তিনি দুই উইকেট লাভ করেন। এরপর অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে তিন উইকেট পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩/৫০ নিয়ে জয়সূচক উইকেট পান। এটিই তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল।[২] পঞ্চম টেস্টে তিনি এক উইকেট লাভ করেন।

কিন্তু, নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পরবর্তী তিন টেস্টে চারজন পেস বোলার যুক্ত করেন দল নির্বাচকমণ্ডলী। ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। ঐ তিন টেস্টের কোনটিতেই তিনি আউট হননি।[৩] এ সফরে তিনি তেমন সুবিধে করতে পারেননি। আশাপ্রদ খেলা উপহার দিতে না পারলেও তিন টেস্টে তিনি অংশ নেন।

অবসর[সম্পাদনা]

অবসর গ্রহণের পূর্বে আরও এক মৌসুম খেলেন তিনি। এ সময়ে তিনি তার সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমের শুরুতে নাটালের সদস্যরূপে ট্রান্সভালের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৫/৪৯।[৪] এরফলে, দক্ষিণ আফ্রিকান একাদশের সদস্যরূপে বাদ-বাকী একাদশের বিপক্ষে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশ নেন। রোডেশিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান তুলেন অপরাজিত ৩৫। [৫] এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকান আমন্ত্রিত একাদশের সদস্যরূপে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পান।[৬]

তবে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের কোনটিতেই তাকে দলে রাখা হয়নি কিংবা ১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এরপর তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।

২৮ মে, ২০০২ তারিখে ৬৭ বছর বয়সে কোয়াজুলু-নাটালের ডারবান এলাকায় ক্লাইভ হাল্সের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Wisden 2006, pp. 1508-9.
  2. Australia v South Africa, Adelaide 1963-64
  3. "South Africa in Australia and New Zealand, 1963-64", Wisden 1965, pp. 818-42.
  4. Natal v Transvaal 1964-65
  5. Rhodesia v Natal 1964-65
  6. South African Invitation XI v MCC 1964-65

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]