ওয়াং ওচেওনচুকগুক জেওন
ওয়াং ওচেওনচুকগুক জেওন | |
হাঙ্গুল | 왕오천축국전 |
---|---|
হাঞ্জা | 往五天竺國傳 |
সংশোধিত রোমানীকরণ | Wang ocheonchukguk jeon |
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়া | Wang ochʼŏnchʼukkuk chŏn |
ওয়াং ওচেওনচুকগুক জেওন (হাঙ্গুল: 왕오천축국전, হাঞ্জা: 往五天竺國傳, কোরীয় উচ্চারণ: [waːŋotɕʰʌntɕʰukk͈uktɕ͈ʌn]) কোরীয় বৌদ্ধ পরিব্রাজক হায়েচো দ্বারা বিরচিত ভ্রমণ কাহিনী।
রচনা
[সম্পাদনা]কোরীয় বৌদ্ধ পরিব্রাজক হায়েচো তাঁর ভারত ভ্রমণ কালে চীনা ভাষায় ওয়াং ওচেওনচুকগুক জেওন বা ভারতের পাঁচ রাজ্যে তীর্থের স্মৃতিকথা নামে এই ভ্রমণ কাহিনী রচনা করেন। এই ভ্রমণ কাহিনী থেকে জানা যায়, সমুদ্রপথে ভারতে পৌঁছে তিনি মগধ, কুশীনগর, বেনারস হয়ে লুম্বিনী যান। সেখান থেকে কাশ্মীর হয়ে রেশম পথ ধরে পশ্চিম দিকে যাত্রা করে করাশর হয়ে ৭২৯ খ্রিষ্টাব্দে চীন ফিরে আসেন।[১][২] কাশ্মীরের উত্তর পূর্বে অবস্থিত তিনটি রাজ্য সম্বন্ধে তিনি বলেন যে এই রাজ্যগুলি … তিব্বতের শাসনাধীনে ......... দেশটি ছোট ও সরু, এবং পর্বত ও উপত্যকাগুলি এবড়ো খেবড়ো। সেখানে মঠ ও সন্ন্যাসী আছে, এবং মানুষ ত্রিশরণ বিশ্বাসের সঙ্গে আরাধনা করেন। তিব্বত রাজ্যের পূর্বে, মঠ একেবারেই নেই, এবং বুদ্ধের শিক্ষা সেখানে অপরিচিত; কিন্তু এই দেশগুলিতে, মানুষেরা হু জাতির; তাই তাঁরা বিশ্বাসী।[ক][৩]
রিজভির মতে এই উক্তি প্রমাণ করে যে অষ্টম শতাব্দীর শুরুর দিকে লাদাখ তিব্বতের অধীনে থাকলেও সেখানকার মানুষ তিব্বতী ছিলেন না।[৩] এই বইতে তিনি সেই সময়ে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের অধঃপতনের কথা উল্লেখ করেন।
আবিষ্কার
[সম্পাদনা]বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ডানহুয়াং পুঁথির মধ্যে এই ভ্রমণ কাহিনীর পুঁথি আবিষ্কৃত হয়। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসী অভিযাত্রী পল পেলিওট এই পুঁথি কিনে নেন ও বর্তমানে এটি ফ্রান্সের জাতীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত করে রাখা আছে। (Pelliot chinois 3532)[৪]
পুথির বিবরণ
[সম্পাদনা]রচনাটি তিন খন্ডের হলেও সমগ্র প্রথম খন্ড ও শেষ খন্ডের শেষ ভাগের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই পুঁথিতে ২২৭টি লাইনে ৫৮৯৩ চীনা অক্ষর রয়েছে। পুঁথিটি ৩৫৮.৬ সেন্টিমিটার লম্বা ও ২৮.৫ সেন্টিমিটার চওড়া।[৪]
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ under the suzerainty of the Tibetans. . . . The country is narrow and small, and the mountains and valleys very rugged. There are monasteries and monks, and the people faithfully venerate the Three Jewels. As to the kingdom of Tibet to the East, there are no monasteries at all, and the Buddha's teaching is unknown; but, in [these] countries, the population consists of Hu; therefore, they are believers. (Petech, The Kingdom of Ladakh, p. 10).
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Yang, Han-sung et al. (1984). The Hye Cho's Diary: Memoir of the Pilgrimage to the Five Regions of India (1984). Translation, text and editing by Yang, Han-sung et al. Religions of Asia series (Berkeley, Calif.); no. 2. UNESCO Collection of Representative Works. Berkeley, Calif.: Asian Humanities Press; Seoul: Po Chin Chai. আইএসবিএন ০-৮৯৫৮১-০২৪-৭.
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Sen, Surendranath (1956). India Through Chinese Eyes: Sir William Meyer Endowment Lectures 1952–53. University of Madras.
- ↑ GR Vol. III (2001): Grand dictionnaire Ricci de la langue chinoise. 7 Volumes. (2001). Instituts Ricci (Paris – Taipei). আইএসবিএন ২-২২০-০৪৬৬৭-২
- ↑ ক খ Rizvi, Janet. (1996). Ladakh: Crossroads of High Asia. Second Edition. Oxford India Paperbacks. 3rd Impression 2001. আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৪৫৪৬-৪.
- ↑ ক খ The Korea Times 06-29-2010
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Fully digitized "Wang ocheonchukguk jeon" on International Dunhuang Project website[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]