এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট
আয়োজক | এএফসি |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৬৭ | (এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব টুর্নামেন্ট হিসেবে)
অঞ্চল | এশিয়া |
দলের সংখ্যা | ২৪টি দল (লিগ পর্যায়) |
উন্নীত | ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় কাপ |
সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা | এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু (২য় স্তর) এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ (৩য় স্তর) |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | আল আইন (২য় শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল দল | আল-হিলাল (৪টি শিরোপা) |
ওয়েবসাইট | www.the-afc.com |
২০২৪–২৫ এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট |
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট (সংক্ষেপে এসিএল এলিট) হল একটি বার্ষিক মহাদেশীয় ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতা যা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন দ্বারা আয়োজিত হয় এবং এশিয়ার শীর্ষ-বিভাগের ফুটবল ক্লাবগুলি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এটি এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব প্রতিযোগিতা, যা জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন (কিছু জাতির জন্য, এক বা একাধিক রানার্স-আপ) তাদের জাতীয় অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারা খেলে।[১]
১৯৬৭ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব টুর্নামেন্ট হিসাবে প্রবর্তিত, প্রতিযোগিতাটি এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপ এবং এশিয়ান সুপার কাপের একীভূতকরণের পরে ২০০২ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হিসাবে পুনরায় ব্র্যান্ড করা হয়। ২০২৪ সালে এটিকে আবার বর্তমান নামে পুনঃব্র্যান্ড করা হয়েছিল।
প্রতিযোগিতার লিগ পর্বে মোট ২৪টি ক্লাব প্রতিযোগিতা করে, যা পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে বিভক্ত (প্রতিটি ১২টি দল)। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটের বিজয়ী দল ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় কাপ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে এবং এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট লিগ পর্বের পরবর্তী সংস্করণের জন্যও যোগ্যতা অর্জন করে যদি তারা ইতিমধ্যে তাদের ঘরোয়া পারফরম্যান্সের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন না করে।
প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল ক্লাব আল-হিলাল মোট চারটি শিরোপা নিয়ে আসে। আল আইন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, ২০২৪ সালের ফাইনাল ইয়োকোহামা এফ. মারিনোসকে পরাজিত করেছিলেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৭-২০০২
[সম্পাদনা]প্রতিযোগিতাটি ১৯৬৭ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব টুর্নামেন্ট হিসাবে চালু হয়েছিল। তখন অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন ফরম্যাটে বিশেষ করে নকআউট ফরম্যাটে খেলা হত। সে সময়ের সবচেয়ে সাফল্যজনক দুটি ক্লাব হল ইসরায়েলের মাকাবি তেলআবিব ও হাপোয়েল তেলআবিব। ১৯৭১ সালের পরে পেশাদারিত্ব ও জনপ্রিয়তার অভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে এ প্রতিযোগিতা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
১৯৯০-৯১ মরসুমে একটি চূড়ান্ত খেলা ফরম্যাটে ফিরে এলে সেটি বাংলদেশের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম-এ আয়োজিত হয়। দক্ষিণ এশীয় কোনো দেশের এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন এটাই প্রথম ও একমাত্র।
সংক্ষিপ্ত ফলাফল
[সম্পাদনা]এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব টুর্নামেন্ট (১৯৬৭–১৯৭২)
[সম্পাদনা]মৌসুম | বিজয়ী দল | ফলাফল | রানার্স-আপ |
---|---|---|---|
১৯৬৭ | হাপোয়েল তেল আবিব | ২–১ | সেলাঙ্গোর |
১৯৬৯ | ম্যাকাবি তেল আবিব | ১–০ (অ.স.প.) |
ইয়াংজি |
১৯৭০ | তাজ তেহরান | ২–১ | হাপোয়েল তেল আবিব |
১৯৭১ | ম্যাকাবি তেল আবিব | ওয়াকওভার | আলিয়াত আল-শোর্টা |
১৯৭২ | বাতিল |
এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ (১৯৮৫–২০০২)
[সম্পাদনা]মৌসুম | বিজয়ী দল | রানার্স-আপ |
---|---|---|
১৯৮৫-৮৬ | দিয়ায়ু রয়্যালস্ | আল-আহলি |
১৯৮৬ | ফুরুকাওয়া ইলেকট্রিক | আল-হিলাল |
১৯৮৭ | ইয়োমিউরি এফসি | |
১৯৮৮-৮৯ | আল-সাদ | আল-রশিদ |
১৯৮৯-৯০ | লিয়াওনিং | ইয়োকোহামা এফসি |
১৯৯০-৯১ | এস্টেঘলাল এফসি (তাজ তেহরান) |
লিয়াওনিং |
১৯৯১ | আল-হিলাল | এস্টেঘলাল এফসি |
১৯৯২-৯৩ | পাস তেহরান | আল-শাবাব |
১৯৯৩-৯৪ | থাই ফার্মার্স ব্যাঙ্ক | ওমান ক্লাব |
১৯৯৪-৯৫ | আল-আরবি | |
১৯৯৫ | সেওংনাম ইলহা চুন্মা | আল-নাসির |
১৯৯৬-৯৭ | পোহাং স্টিলার্স | সেওংনাম ইলহা চুন্মা |
১৯৯৭-৯৮ | ডালিয়ান ওয়ান্ডা | |
১৯৯৮-৯৯ | জুবিলো ইওয়াতা | এস্টেঘলাল এফসি |
১৯৯৯-২০০০ | আল-হিলাল | জুবিলো ইওয়াতা |
২০০০-০১ | সুওন স্যামসাং ব্লুউইংস | |
২০০১-০২ | আনইয়াং এলজি চিতা |
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (২০০২–২০২৪)
[সম্পাদনা]মৌসুম | বিজয়ী দল | রানার্স-আপ |
---|---|---|
২০০২-০৩ | আল-আইন | বিইসি তেরো সাসানা এফসি |
২০০৪ | আল-ইত্তিহাদ | সেওংনাম ইলহা চুন্মা |
২০০৫ | আল-আইন | |
২০০৬ | জেওনবুক হুন্দাই | আল-কারামাহ |
২০০৭ | উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস | সেপাহান এফসি |
২০০৮ | গাম্বা ওসাকা | অ্যাডিলেড ইউনাইটেড |
২০০৯ | পোহাং স্টিলার্স | আল-ইত্তিহাদ |
২০১০ | সেওংনাম ইলহা চুন্মা | জোব আহান |
২০১১ | আল-সাদ | জেওনবুক হুন্দাই |
২০১২ | উলসান হুন্ডাই | আল-আহলি |
২০১৩ | কুয়াংচৌ এভারগ্রান্ড | এফসি সিউল |
২০১৪ | ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্স | আল-হিলাল |
২০১৫ | কুয়াংচৌ এভারগ্রান্ড | আল-আহলি |
২০১৬ | জেওনবুক হুন্দাই | আল-আইন |
২০১৭ | উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস | আল-হিলাল |
২০১৮ | কাশিমা অ্যান্টলার্স | পার্সেপোলিস |
২০১৯ | আল-হিলাল | উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস |
২০২০ | উলসান হুন্ডাই | পার্সেপোলিস |
২০২১ | আল-হিলাল | পোহাং স্টিলার্স |
২০২২ | উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস | আল-হিলাল |
২০২৩–২৪ | আল-আইন | ইয়োকোহামা এফসি |
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট (২০২৪–বর্তমান)
[সম্পাদনা]মৌসুম | বিজয়ী দল | রানার্স-আপ |
---|---|---|
২০২৪-২৫ |
পুরস্কার মূল্য
[সম্পাদনা]২০২৪–২৫ মৌসুম থেকে শুরু করে প্রাইজমানির বণ্টন নিম্নরূপ:[২]
রাউন্ড | দল | পরিমান | |
---|---|---|---|
প্রতি দল | মোট | ||
ফাইনাল (বিজয়ী) | ১ | $১০ মিলিয়ন | |
ফাইনাল (রানার্স-আপ) | ১ | $৪ মিলিয়ন | |
সেমি-ফাইনাল | ৪ | $৬,০০,০০ | $২.৪ মিলিয়ন |
কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৮ | $৪,০০,০০০ | $৩.২ মিলিয়ন |
রাউন্ড অব ১৬ | ১৬ | $২,০০,০০০ | $৩.২ মিলিয়ন |
লিগ পর্ব | ২৪ | $৮,০০,০০০ | $১৯.২ মিলিয়ন |
মোট | ২৪ | $৪২ মিলিয়ন |
পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]দেশ অনুযায়ী
[সম্পাদনা]দেশ | শিরোপা | রানার্স-আপ | মোট |
---|---|---|---|
দক্ষিণ কোরিয়া | ১২ | ৭ | ১৯ |
জাপান | ৭ | ৫ | ১২ |
সৌদি আরব | ৬ | ৯ | ১৫ |
ইরান | ৩ | ৬ | ৯ |
গণচীন | ৩ | ২ | ৫ |
ইসরায়েল | ৩ | ১ | ৪ |
কাতার | ২ | ১ | ৩ |
থাইল্যান্ড | ২ | ১ | ৩ |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | ২ | ৩ | ৫ |
অস্ট্রেলিয়া | ১ | ১ | ২ |
ইরাক | ০ | ২ | ২ |
মালয়েশিয়া | ০ | ১ | ১ |
ওমান | ০ | ১ | ১ |
সিরিয়া | ০ | ১ | ১ |
অঞ্চল অনুযায়ী
[সম্পাদনা]ফেডারেশন (অঞ্চল) | শিরোপা | মোট | |
---|---|---|---|
ইএএফএফ (পূর্ব এশিয়া) | পূর্ব জোন | ২২ | ২৫ |
এএফএফ (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) | ৩ | ||
ডব্লিউএএফএফ (পশ্চিম এশিয়া) | পশ্চিম জোন | ১০ | ১৩ |
সিএএফএ (মধ্য এশিয়া) | ৩ | ||
সাফ (দক্ষিণ এশিয়া) | ০ |
- নোট: ইসরায়েলি ক্লাবগুলির ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭১ এর শিরোপা জয়লাভ গণনা করা হয়নি।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "AFC Champions League: The drama, the glory..."। the-AFC.com (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৯ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১২।
- ↑ The AFC Hub (১৯ জুন ২০২৪)। AFC Champions League Elite™ 2024/25। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২৪ – YouTube-এর মাধ্যমে।