এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ
আয়োজক | এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন |
---|---|
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৬৭ | (২০০২ থেকে বর্তমান ফরম্যাটে)
অঞ্চল | এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া (এএফসি) |
দলের সংখ্যা | ৪০ (গ্রুপ পর্ব) (২৪ অ্যাসোসিয়েশন) |
সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা | ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এএফসি কাপ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | আল-আইন (২য় শিরোপা) |
সবচেয়ে সফল দল | আল-হিলাল (৪টি শিরোপা) |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
২০২৩–২৪ এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ |
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ (সাধারণত এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ হিসাব বেশি পরিচিত) এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কর্তৃক আয়োজিত একটি বাৎসরিক মহাদেশীয় ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতা। ২০০২ সাল থেকে এ প্রতিযোগিতা এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের পরিবর্তে চালু করা হয়, যা ১৯৮৫ সালে চালু হয়েছিল এবং যেটি ছিল ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত চলা ৪ বছর পরপর অনুষ্ঠিত এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব টুর্নামেন্টের পরিবর্তিত প্রতিযোগিতা। এটি কনমেবল কোপা লিবের্তাদোরেস এবং কনকাকাফ, ক্যাফ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ওএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের সমপর্যায়ের এশিয়ার সবচেয়ে গৌরবজনক ক্লাব প্রতিযোগিতা।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৭-২০০২
[সম্পাদনা]প্রতিযোগিতাটি ১৯৬৭ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব টুর্নামেন্ট হিসাবে চালু হয়েছিল। তখন অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন ফরম্যাটে বিশেষ করে নকআউট ফরম্যাটে খেলা হত। সে সময়ের সবচেয়ে সাফল্যজনক দুটি ক্লাব হল ইসরায়েলের মাকাবি তেলআবিব ও হাপোয়েল তেলআবিব। ১৯৭১ সালের পরে পেশাদারিত্ব ও জনপ্রিয়তার অভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে এ প্রতিযোগিতা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
১৯৯০-৯১ মরসুমে একটি চূড়ান্ত খেলা ফরম্যাটে ফিরে এলে সেটি বাংলদেশের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম-এ আয়োজিত হয়। দক্ষিণ এশীয় কোনো দেশের এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন এটাই প্রথম ও একমাত্র।
সংক্ষিপ্ত ফলাফল
[সম্পাদনা]এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন ক্লাব টুর্নামেন্ট (১৯৬৭-১৯৭২)
[সম্পাদনা]মরসুম | বিজয়ী দল | ফলাফল | রানার্স-আপ |
---|---|---|---|
১৯৬৭ | হাপোয়েল টেল আভিভ | ২–১ | সেলাঙ্গর |
১৯৬৯ | মাক্কাবি টেল আভিভ | ১–০ (অ.স.প.) |
ইয়াংজি এফসি |
১৯৭০ | তাজ তেহরান | ২–১ | হাপোয়েল টেল আভিভ |
১৯৭১ | মাক্কাবি টেল আভিভ | ওয়াকওভার | আল-শর্টা |
১৯৭২ | বাতিল |
এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ (১৯৮৫-২০০২)
[সম্পাদনা]মরসুম | বিজয়ী দল | রানার্স-আপ |
---|---|---|
১৯৮৫-৮৬ | দিয়ায়ু রয়্যালস্ | আল-আহলি |
১৯৮৬ | ফুরুকাওয়া ইলেকট্রিক | আল-হিলাল |
১৯৮৭ | ইয়োমিউরি এফসি | |
১৯৮৮-৮৯ | আল-সাদ | আল-রশিদ |
১৯৮৯-৯০ | লিয়াওনিং | ইয়োকোহামা এফসি |
১৯৯০-৯১ | এস্টেঘলাল এফসি (তাজ তেহরান) |
লিয়াওনিং |
১৯৯১ | আল-হিলাল | এস্টেঘলাল এফসি |
১৯৯২-৯৩ | পাস তেহরান | আল-শাবাব |
১৯৯৩-৯৪ | থাই ফার্মার্স ব্যাঙ্ক | ওমান ক্লাব |
১৯৯৪-৯৫ | আল-আরবি | |
১৯৯৫ | সেওংনাম ইলহা চুন্মা | আল-নাসির |
১৯৯৬-৯৭ | পোহাং স্টিলার্স | সেওংনাম ইলহা চুন্মা |
১৯৯৭-৯৮ | ডালিয়ান ওয়ান্ডা | |
১৯৯৮-৯৯ | জুবিলো ইওয়াতা | এস্টেঘলাল এফসি |
১৯৯৯-২০০০ | আল-হিলাল | জুবিলো ইওয়াতা |
২০০০-০১ | সুওন স্যামসাং ব্লুউইংস | |
২০০১-০২ | আনইয়াং এলজি চিতা (এফসি সিউল) |
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ (২০০২-বর্তমান)
[সম্পাদনা]মরসুম | বিজয়ী দল | রানার্স-আপ |
---|---|---|
২০০২-০৩ | আল-আইন | বিইসি তেরো সাসানা এফসি |
২০০৪ | আল-ইত্তিহাদ | সেওংনাম ইলহা চুন্মা |
২০০৫ | আল-আইন | |
২০০৬ | জেওনবুক হুন্ডাই মোটর্স | আল-কারামাহ |
২০০৭ | উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস | সেপাহান এফসি |
২০০৮ | গাম্বা ওসাকা | অ্যাডিলেড ইউনাইটেড |
২০০৯ | পোহাং স্টিলার্স | আল-ইত্তিহাদ |
২০১০ | সেওংনাম ইলহা চুন্মা | জোব আহান |
২০১১ | আল-সাদ | জেওনবুক হুন্ডাই মোটর্স |
২০১২ | উলসান হুন্ডাই | আল-আহলি |
২০১৩ | কুয়াংচৌ এভারগ্রান্ড | এফসি সিউল |
২০১৪ | ওয়েস্টার্ন সিডনি ওয়ান্ডারার্স | আল-হিলাল |
২০১৫ | কুয়াংচৌ এভারগ্রান্ড | আল-আহলি |
২০১৬ | জেওনবুক হুন্ডাই মোটর্স | আল-আইন |
২০১৭ | উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস | আল-হিলাল |
২০১৮ | কাশিমা অ্যান্টলার্স | পার্সেপোলিস |
২০১৯ | আল-হিলাল | উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস |
২০২০ | উলসান হুন্ডাই | পার্সেপোলিস |
২০২১ | আল-হিলাল | পোহাং স্টিলার্স |
২০২২ | উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস | আল-হিলাল |
২০২৩–২৪ | আল-আইন | ইয়োকোহামা এফ মারিনোস |
পুরস্কার মূল্য
[সম্পাদনা]২০২০ এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে এ পুরস্কার মূল্য দেওয়া হচ্ছে:[১][২]
পর্ব | পার্স | পরিবহণ ভর্তুকি |
---|---|---|
প্রাথমিক পর্ব | — | $৪০,০০০ |
প্লে অফ পর্ব | — | $৪০,০০০ |
গ্রুপ পর্ব | জয়: $৫০,০০০ | $৬০,০০০ |
ড্র: $১০,০০০ | ||
১৬ দলের পর্ব | $১০০,০০০ | $৬০,০০০ |
কোয়ার্টার ফাইনাল | $১৫০,০০০ | $৬০,০০০ |
সেমিফাইনাল | $২৫০,০০০ | $৬০,০০০ |
ফাইনাল | বিজয়ী: $৪ মিলিয়ন | $১২০,০০০ |
রানার্সআপ: $২ মিলিয়ন |
পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]দেশ অনুযায়ী
[সম্পাদনা]দেশ | শিরোপা | রানার্স-আপ | মোট |
---|---|---|---|
দক্ষিণ কোরিয়া | ১২ | ৭ | ১৯ |
জাপান | ৭ | ৫ | ১২ |
সৌদি আরব | ৬ | ৯ | ১৫ |
ইরান | ৩ | ৬ | ৯ |
গণচীন | ৩ | ২ | ৫ |
ইসরায়েল | ৩ | ১ | ৪ |
কাতার | ২ | ১ | ৩ |
থাইল্যান্ড | ২ | ১ | ৩ |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | ২ | ৩ | ৫ |
অস্ট্রেলিয়া | ১ | ১ | ২ |
ইরাক | ০ | ২ | ২ |
মালয়েশিয়া | ০ | ১ | ১ |
ওমান | ০ | ১ | ১ |
সিরিয়া | ০ | ১ | ১ |
অঞ্চল অনুযায়ী
[সম্পাদনা]ফেডারেশন (অঞ্চল) | শিরোপা | মোট | |
---|---|---|---|
ইএএফএফ (পূর্ব এশিয়া) | পূর্ব জোন | ২২ | ২৫ |
এএফএফ (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) | ৩ | ||
ডব্লিউএএফএফ (পশ্চিম এশিয়া) | পশ্চিম জোন | ১০ | ১৩ |
সিএএফএ (মধ্য এশিয়া) | ৩ | ||
সাফ (দক্ষিণ এশিয়া) | ০ |
- নোট: ইসরায়েলি ক্লাবগুলির ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭১ এর শিরোপা জয়লাভ গণনা করা হয়নি।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "AFC Reveals Details of Increased Club Competition Prize Money"। the-afc.com। AFC। ১০ ডিসেম্বর ২০১৫। ২৭ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "2016 AFC Champions League Competition Regulations" (PDF)। the-afc.com। AFC। ২৮ নভেম্বর ২০১৫।