উইলিয়াম হোয়াইসল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উইলিয়াম হোয়াইসল
১৯২৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে উইলিয়াম হোয়াইসল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামউইলিয়াম উইলফ্রিড হোয়াইসল
জন্ম৩১ অক্টোবর, ১৮৮৭
উডবোরা, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১১ নভেম্বর, ১৯৩০
নটিংহাম, ইংল্যান্ড
ডাকনামডজার
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২৩)
১৬ জানুয়ারি ১৯২৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১৬ আগস্ট ১৯৩০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৭১
রানের সংখ্যা ২০৯ ২১৫৯২
ব্যাটিং গড় ২৯.৮৫ ৩৮.৭৬
১০০/৫০ -/২ ৫১/১০৩
সর্বোচ্চ রান ৭৬ ২৪৮
বল করেছে ১৬ ২০১
উইকেট -
বোলিং গড় - ৩৩.৩৩
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - ৩/৪৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৭/- ৩১৭/১৫
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

উইলিয়াম উইলফ্রিড হোয়াইসল (ইংরেজি: William Whysall; জন্ম: ৩১ অক্টোবর, ১৮৮৭ - মৃত্যু: ১১ নভেম্বর, ১৯৩০) নটিংহ্যামশায়ারের উডবোরায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। সচরাচর তিনি ডজ হোয়াইসল নামে পরিচিতি লাভ করেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯২৫ থেকে ১৯৩০ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ডজার হোয়াইসল নামে পরিচিত উইলিয়াম হোয়াইসল

ডানহাতি ব্যাটসম্যান উইলিয়াম হোয়াইসল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে খুব কমই সফলতা পেয়েছেন। তবে, যুদ্ধের পর ১৯২০-এর দশকে নিজের ব্যাটিংয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন। নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ধারাবাহিকভাবে উত্তরোত্তর সফলতা লাভ করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯২৯ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ী নটিংহ্যামশায়ারের শীর্ষ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি ২,০৭৯ রান তুলে গ্লুচেস্টারশায়ারের আলফ্রেড ডিপারের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।[১] এরফলে পুনরায় ইংরেজ দলে খেলার জন্য আমন্ত্রণ লাভ করেন।

১৯২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ইংল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্যরূপে মনোনীত হন। দলে তিনি বিকল্প উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তিন টেস্টে অংশগ্রহণ করেন উইলিয়াম হোয়াইসল। ১৬ জানুয়ারি, ১৯২৫ তারিখে অ্যাডিলেডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। অ্যাডিলেডে ৭৫ ও মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৭৬ রানের মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন তিনি।

১৯৩০ সালের অ্যাশেজ সিরিজের ফলাফল নির্ধারণী খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অংশ নেন। তবে তার এ অংশগ্রহণ সফলতার মুখ দেখেনি। খেলায় তিনি মাত্র ১৩ ও ১০ রান তুলেন। এছাড়া ফিল্ডিংয়েও তার সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল না। ঐ খেলায় তার দল ইনিংসের ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯২৫ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদায় ভূষিত হন তিনি।

এর মাত্র দুই মাস পরই উইলিয়াম হোয়াইসলের দেহাবসান ঘটে। নৃত্য উপযোগী মেঝেতে পিছলিয়ে পড়ে যান ও কনুইয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। ক্রমাগত রক্তক্ষরণের ফলে সৃষ্ট বিষক্রিয়ায় দুই সপ্তাহ পর ১১ নভেম্বর, ১৯৩০ তারিখে নটিংহামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Batting and Fielding in County Championship 1929 (Ordered by Runs)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১১ 
  2. Frindall, Bill (২০০৯)। Ask BeardersBBC Books। পৃষ্ঠা 215আইএসবিএন 978-1-84607-880-4 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]