আল-মুরাদিয়া মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল-মুরাদিয়া মসজিদ
আরবি: جامع المرادية
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
সক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানবাগদাদ, ইরাক ইরাক
স্থাপত্য
সাধারণ ঠিকাদারমুরাদ পাশা
সম্পূর্ণ হয়১৫৭০
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ
মিনার

আল-মুরাদিয়া মসজিদ (আরবি: جامع المرادية) বা মুরাদ পাশা মসজিদ (আরবি: جامع مراد باشا) ইরাকের বাগদাদ শহরের আল-রুসাফা জেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটি ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিপরীত পাশে আল-ময়দান চত্বরে এবং আল-আহমাদিয়া মসজিদউজবেক মসজিদের মধ্যবর্তী স্থানের একটি পুরনো দুর্গে অবস্থিত। মসজিদটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম দিকে নির্মিত।[১][২] মসজিদের মিনারটিকে অনেকে বাগদাদের সবচেয়ে সুন্দর মিনার বলে মনে করেন।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৫৬৬ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের মুরাদ পাশা মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করেন, যিনি সেই সময়ে বাগদাদের গভর্নর ছিলেন। এর নির্মাণকাজ ১৫৭০ সালে সম্পন্ন হয় এবং মুরাদ পাশার নামানুসারে "আল-মুরাদিয়া" নামকরণ করা হয়।[৩] একটি উদযাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। ১৬৮৬ সালে গভর্নর আহমেদ পাশা আলবু শানাক মসজিদের সাথে সংযুক্ত খানটি সংস্কার করেন এবং মসজিদের পরিষেবার জন্য একটি পানির পাইপ যুক্ত করেন। যা শেষবার ১৯০৩ সালে সংস্কার করা হয় এবং আজও বিদ্যমান।[১] মসজিদটি তার স্থাপত্য ও সাজসজ্জার কারণে বাগদাদের জনগণের কাছে গর্বের উৎস।[৪]

বর্তমানে মসজিদটিকে একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৯ সালের এমন একটি সময়ে যখন বাগদাদের অধিকাংশ ধর্মীয় ভবন অবহেলার শিকার হয় তখন এটি পুনর্নবীকরণ করা হয়।[৫]

বর্ণনা[সম্পাদনা]

১৯৩২ সালে আল-মুরাদিয়া মসজিদ (ডানে)।

মসজিদটি একটি বিস্তীর্ণ জমির উপর ইট ও প্লাস্টার দিয়ে নির্মাণ করা হয়। এর আয়তন প্রায় ১,১২৫ মিটার। এর চ্যাপেলটি আয়তাকার, দেয়াল পুরু এবং মিহরাবটি ১০ মিটার বড়। ভবনটি মার্বেলের চারটি নলাকার স্তম্ভের উপর সাতটি গম্বুজ দ্বারা নির্মিত, যা কেন্দ্রীয় খিলান দ্বারা সংযুক্ত। এই গম্বুজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো কেন্দ্রীয় গম্বুজ, যা চ্যাপেলের উপরে অবস্থিত। কেন্দ্রীয় গম্বুজটি গোলার্ধযুক্ত ও আকৃতিতে চ্যাপ্টা। গম্বুজের অভ্যন্তর কোরানের আয়াত দ্বারা সজ্জিত, যা গম্বুজের পরিধিজুড়ে ঘূর্ণায়মান। গম্বুজের বাইরের অংশটি নীল এবং সবুজ রঙ দ্বারা সজ্জিত। অন্য ছয়টি গম্বুজ আকারে ছোট।[৩] মসজিদের গম্বুজটিকে সাধারণত "চীনা গম্বুজ" ডাকনাম দেওয়া হয়, কারণ এর পরিধির প্রান্তটি চীনা স্থাপত্যের দানাদার প্রান্তের মতো দানাদার আকৃতির।[৪] গ্রীষ্মকালীন চ্যাপেলের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত মিনারটিও সজ্জিত। মসজিদের অভ্যন্তরে একটি সর্পিল সিঁড়ি রয়েছে, যা বেসিন অভিমুখী এবং একটি পাঁজরযুক্ত বাল্বের শীর্ষে থাকা মুকারনার সারির উপর গিয়ে শেষ হয়।[৩] মসজিদের মিনারটি একটি ঐতিহ্যবাহী বাগদাদী মিনার, যা উসমানীয় প্রভাবহীন আব্বাসীয় শৈলীতে নির্মিত।[৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "الگاردينيا - مجلة ثقافية عامة - بغداد الرشيد مدينة الجوامع والمساجد / الحلقة الأولى"www.algardenia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৭ 
  2. "تحميل كتاب تاريخ مساجد بغداد وآثارها ل محمود شكري الألوسي pdf"كتاب بديا (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৭ 
  3. فرنسيس, بشير يوسف। موسوعة المدن والمواقع في العراق - الجزء الأول (আরবি ভাষায়)। E-Kutub Ltd। আইএসবিএন 978-1-78058-262-7 
  4. "جامع المرادية في بغداد - موقع قسم الشؤون الدينية - العتبة العلوية المقدسة"tableegh.imamali.net। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৭ 
  5. "مساجد وكنائس بغداد تستجدي مآذنها وأجراسها الأولى"اندبندنت عربية (আরবি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৭