আনন্দময়ী যুগল কালী ও শিব মন্দির, মুক্তাগাছা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জোড়া মন্দির
জোড়া মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দু
জেলাময়মনসিংহ জেলা
উৎসবদুর্গা পূজা, কালী পূজা, শিব পূজা
মালিকানাবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
অবস্থান
অবস্থানমুক্তাগাছা উপজেলা, ময়মনসিংহ জেলা, বাংলাদেশ
পৌরসভামুক্তাগাছা
দেশ বাংলাদেশ
স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠাতাবিমলা দেবী
অর্থায়নেবিমলা দেবী
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৮২০; ২০৩ বছর আগে (1820)
ভাঙন১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ
উচ্চতা (সর্বোচ্চ)১০০ ফুট

জোড়া মন্দির বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত প্রাচীন মন্দির ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মুক্তাগাছার মহারানী বিমলা দেবী স্মৃতি বহন করছে হিন্দু দেবতা শিব ও কালীর এই জোড়া মন্দির।[১] স্থানীয় এই মন্দিরটি ২০০ বছরের অধিক পুরনো।

বিবরণী[সম্পাদনা]

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা আট-আনী জমিদার বাড়ির সমসাময়িক কালে জোড়া মন্দির নামে পরিচিত এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে। মুক্তাগাছার জমিদার রঘুনন্দনের স্ত্রী মহারানী বিমলা দেবীর স্মৃতি বিজড়িত স্বর্ণকুণ্ডশোভিত কারুকার্যমন্ডিত আনন্দময়ী যুগল কালী ও শিব মন্দির। জানা যায়, বিমলা দেবী ১৮২০ সালে মন্দির দু’টি স্থাপন করেন।[১] এই মন্দির দুটি একই ভিত্তিপ্রস্তরের উপর পাশাপাশি অবস্থিত। একই আদলে নির্মিত মন্দির দুটি বর্গাকার পরিকল্পনায় নির্মিত। মন্দিরের ছাদের উপর অষ্টভূজ আকার একটি করে শিখর (রত্ন) রয়েছে। মন্দিরের সামনে প্রশস্ত বারান্দা এবং বারান্দা দিয়ে প্রবেশের জন্য প্রতিটি মন্দিরে তিনটি অর্ধবৃত্তাকার খিলান দরজা রয়েছে।[১] একই মাপের মন্দির দুটির উচ্চতা প্রায় একশত ফুট। শিব মন্দিরের ভিতরে রয়েছে বাবা বিশ্বনাথের মূর্তি ও কালী মন্দিরের রয়েছে মা কালীর মূর্তি। মন্দিরে অর্ন্তভূক্তি হিন্দু উৎসব দুর্গাপূজা, শিবকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তাগাছা উপজেলার, শহরের কলেজ রোড সংলগ্ন স্থানে মন্দিরজোড়া অবস্থিত। মুক্তাগাছা পৌরসভা থেকে মন্দির জোড়ার সর্বনিম্ন সড়ক দূরত্ব ৫০০ মিটার। মন্দিরের সামনে রয়েছে একটি দীঘি যা মন্দিরের সৌন্দর্য প্রসারিত করছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন মন্দির দুটিতে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। এতে করে মূল্যবান পাথরের তৈরি বিগ্রহ ধ্বংস হয়। এছাড়া মন্দিরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুন্ঠন করা হয়।বর্তমানে মন্দির দুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে পেছনের দিকে হেলে পড়েছে । বড় বড় অংশ নিয়ে খসে পড়ছে মন্দিরের প্লাস্টার।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ময়মনসিংহ বিভাগের পুরাকীর্তি"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]