অজিত পাই
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অজিত মনোহর পাই | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বোম্বে, মহারাষ্ট্র, ব্রিটিশ ভারত | ২৮ এপ্রিল ১৯৪৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১২০) | ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
অজিত মনোহর পাই (উচ্চারণ (সাহায্য·তথ্য); হিন্দি: अजित पाई; জন্ম: ২৮ এপ্রিল, ১৯৪৫) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করতেন অজিত পৈ নামে পরিচিত অজিত পাই।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]
১৯৬৮-৬৯ মৌসুম থেকে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুম পর্যন্ত অজিত পাইয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। নিখুঁতভাব বজায় রেখে ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। দীর্ঘদেহের অধিকারী অজিত পাই বলকে নিচ থেকে নিজের সমান উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারতেন।
উদ্বোধনী বোলার ও কার্যকরী নিচেরসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন অজিত পাই। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফিতে বোম্বে দলের পক্ষে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় অজিত পাইয়ের। প্রথম তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় ১১ উইকেট লাভের পর দিলীপ ট্রফিতে পশ্চিম অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে মনোনীত হন। চ্যাম্পিয়নশীপের উভয় খেলায় ভূমিকা রাখেন। ঐ মৌসুমে ২৫.৮০ গড়ে ১২৯ রান তুলেছিলেন।[১] এছাড়াও, ২৩.২১ গড়ে ২৩ উইকেট পান।[২]
সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ সালে দিলীপ ট্রফির খেলায় পশ্চিম অঞ্চলের সদস্যরূপে মধ্য অঞ্চলের বিপক্ষে ৭/৪২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।[৩] ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে আবারও তিনি পশ্চিম অঞ্চল ও বোম্বে দলের চ্যাম্পিয়নশীপের বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। দিলীপ ট্রফিতে আর না খেললেও ১৯৭০-৭১ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফিতে বোম্বের সদস্যরূপে সৌরাষ্ট্র দলের বিপক্ষে অসাধারণ খেলা উপহার দেন। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে বোম্বের সংগৃহীত ২৬৫ রানের মধ্যে তিনি করেন ৯১ রান। বল হাতে নিয়ে ৫/২২ ও ৬/৩০ লাভ করে বোম্বে দলকে ইনিংস ও ৮২ রানের জয় এনে দেন।[৪] আরও একবার বোম্বে দলকে রঞ্জী ট্রফির শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন।
১৯৭০-৭১ মৌসুমের পর তার বোলিং দূর্বলতর হতে থাকে। তাসত্ত্বেও, ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে দুইবার রঞ্জী ট্রফির শিরোপা বিজয়ী বোম্বে দলের পক্ষে খেলেছিলেন। ২৮.১১ গড়ে ৩১০ রান তুলেন ও দশ খেলায় ১৮ ক্যাচ তালুবন্দী করেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে বিহারের বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলাটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বশেষ খেলা ছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে মুম্বইয়ে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলা উপহার দেয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ সালের শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। নিজ শহরে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। সিরিজের প্রথম টেস্টে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। প্রথম ইনিংসে ১৭ ওভারে ২/২৯ লাভ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র দুই ওভার বোলিং করার সুযোগ লাভ করেছিলেন। ঐ খেলায় তার দল জয় পায়।[৫]
বিস্ময়করভাবে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। দ্বিতীয় টেস্টের জন্যে দল নির্বাচকমণ্ডলী বোলিং আক্রমণ শক্তিশালীকরণে অল-রাউন্ডার রুসি সুর্তি ও সৈয়দ আবিদ আলীকে বোলিং উদ্বোধনে নামায় এবং শ্রীনিবাসন ভেঙ্কটরাঘবনকে দিয়ে স্পিন আক্রমণের পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় ও তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। আরও ভীষণ আশ্চর্য্যের বিষয় হলো তাকে আর জাতীয় দলে না নেয়া। এভাবেই অজিত পাইয়ের আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- অশোক গন্দোত্রা
- চন্দ্রশেখর গদকড়ি
- বাংলা ক্রিকেট দল
- এক টেস্টের বিস্ময়কারী
- ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অজিত পাই (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অজিত পাই (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)