ট্রেভর ফ্রাঙ্কলিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ট্রেভর ফ্রাঙ্কলিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামট্রেভর জন ফ্রাঙ্কলিন
জন্ম (1962-03-18) ১৮ মার্চ ১৯৬২ (বয়স ৬২)
মাউন্ট ইডেন, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৩)
২৫ আগস্ট ১৯৮৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১ মার্চ ১৯৯১ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৪৫)
১৭ মার্চ ১৯৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই১০ ডিসেম্বর ১৯৮৮ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২১ ১৪৮ ৬১
রানের সংখ্যা ৮২৮ ২৭ ৭,৭৯৪ ১,৩৯২
ব্যাটিং গড় ২৩.০০ ৯.০০ ৩৩.৩০ ২৪.০০
১০০/৫০ ১/৪ ০/০ ১৩/৪০ ১/৬
সর্বোচ্চ রান ১০১ ২১ ১৮১ ১০২
বল করেছে ৯১ ৫৪
উইকেট
বোলিং গড় ৫১.০০ ৫০.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/২১ ১/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮/– ০/– ৭৯/– ১৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ অক্টোবর ২০২০

ট্রেভর জন ফ্রাঙ্কলিন (ইংরেজি: Trevor Franklin; জন্ম: ১৮ মার্চ, ১৯৬২) অকল্যান্ডের মাউন্ট ইডেন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শুরুরদিক থেকে শুরু করে ১৯৯০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ট্রেভর ফ্রাঙ্কলিন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত ট্রেভর ফ্রাঙ্কলিনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। লিকলিকে গড়নের অধিকারী ট্রেভর ফ্রাঙ্কলিন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে খেলতেন। তিনি কেবলমাত্র একমুখী শটে ব্যাটিং করতে অভ্যস্ত ছিলেন। এছাড়াও, নিস্পৃহতার সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনের কারণে পরিচিতি লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একুশটি টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ট্রেভর ফ্রাঙ্কলিন। ২৫ আগস্ট, ১৯৮৩ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১ মার্চ, ১৯৯১ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯০ সালে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম ও একমাত্র শতরানের ইনিংসের সন্ধান পেয়েছিলেন। এ শতরানের জন্যে তিনি সাত ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করেছিলেন। ১০১ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়াও, এ সফরে টানটনে সমারসেটের বিপক্ষে ১০৩ রান তুলেন।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

সবমিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ২৬.৪৪ গড়ে দূর্বলমানের স্ট্রাইক রেট গড়েন।[১] ২১ টেস্ট শেষে প্রতি ১০০ বলে মাত্র ২৭ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ সংগ্রহটি ওভারপ্রতি ১.৬ রান তোলার সমতুল্য ছিল। এরফলে, ক্রিস টাভারে’র ৩৩ ও জিমি অ্যাডামসের ৩৮ রানের চেয়ে তাকে সর্বাপেক্ষা ধীরগতিসম্পন্ন খেলোয়াড়ে পরিণত করে। তাসত্ত্বেও, বিরক্ত দর্শক ও বোলারদের কাছে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। কেননা, তিনি প্রায়শঃই আঘাতের কবলে থাকতেন।

১৯৯১-৯২ মৌসুমে ডেভিড লরেন্সের সাথে থাক্কা খেলে তার হাতে চোট পান। ১৯৮৬ সালে গ্যাটউইক বিমানবন্দরে মোটরচালিত লাগেজ ট্রলির দিকে দৌঁড়ে যাবার প্রাক্কালে রহস্যময় আঘাতের কবলে পড়েন। এ পর্যায়ে তাকে ১৮ মাস ক্রিকেট খেলার বাইরে অবস্থান করতে হয়।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]