বায়ুসেনা পদক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বায়ুসেনা পদক

রিবন
দেশ ভারত
পুরস্কারদাতা দেশ ভারতীয় বিমানবাহিনী
ধরন পদক
যোগ্যতা বিমানবাহিনীর সকল স্তর[১]
পুরস্কৃত হওয়ার কারণ বিমানবাহিনীর জন্য বিশেষ তাৎপর্য আনে এমন দায়িত্ব বা সাহসী অসামান্য কাজের জন্য এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়[১]
পরিসংখ্যান
প্রথম পুরস্কৃত ১৬০
পদকপ্রাপ্ত এক হাজারের অধিক
পূর্ববর্তী
পরবর্তী (উর্ধতন) যুদ্ধ সেবা পদক
সমমান নৌসেনা পদক
সেনা পদক
পরবর্তী (অধীনস্থ) বিশিষ্ট সেবা পদক

বায়ুসেনা পদক একটি সামরিক সম্মাননা পুরস্কার যা ভারতীয় বিমানবাহিনীতে বীরত্বের জন্য প্রদান করা হয়। এটি সাধারণত শান্তিকালীন সময়ে অসামান্য কাজের জন্য প্রদান করা হয়। তবে এটি শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে সাহসী কাজের জন্য ও বিরোধের সময় অসামান্য কাজের জন্যও প্রদান করা হয়।

মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে এবং পরবর্তী পুরস্কার জন্য একটি বায়ু সেনা পদক দণ্ড দেয়া হয়।

ভিএম ১৯৬০ সালে রাষ্ট্রপতি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬১ সাল থেকে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। গত দশক বা তারও বেশি সময়ে পুরস্কারগুলিকে দুটি বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। একটি হল বায়ু সেনা পদক (সাহস) এবং অন্যটি বায়ু সেনা পদক (কর্তব্য)।

বর্ণনা[সম্পাদনা]

সম্মুখে: পদ্ম ফোটার মতো দেখতে সুচ আকৃতিসহ চারটি সজ্জিত রৌপ্য তারকা। কেন্দ্রে জাতীয় প্রতীক। যেটি একটু হুকের মধ্যে বুঝালো এবং সাধারণত প্রান্তে নাম এবং তারিখ থাকে।

বিপরীত: ডানা প্রসারিত একটি হিমালয়ান ঈগল এবং উপরে এবং নীচে হিন্দিতে "বায়ু সেনা পদক" বা "বিমানবাহিনী/পদক" লেখা খোদিত রয়েছে।

ফিতা: ৩০  মিমি, পর্যায়ক্রমে ২ মিমি তির্যক (নীচে বাম থেকে উপরের ডানদিকে) ধূসর এবং কমলা-জাফরানের ফিতে।

প্রাপকদের উদাহরণ[সম্পাদনা]

পুরস্কারটি আরও ভালভাবে বুঝতে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার হরচাঁদ সিং গিলকে দ্বিতীয় বার পুরস্কার দণ্ড দেওয়ার নমুনা:

"১৯৫৩ সালের অক্টোবরে আসাম রাইফেলসের একটি সমন্বিত সৈন্যদল এবং একটি বেসামরিক প্রশাসনিক দলের উপর সশস্ত্র ট্যাগিনরা আক্রমণ করেছিল এবং কিছু কর্মকর্তা ও জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। সৈন্যদের এয়ারল্যান্ডিংয়ের জন্য ডাকোটাসের কমান্ডে ছিলেন স্কোয়়াড্রন লিডার এইচএস গিল। উপলব্ধ দুটি ছোট ছোট অবতরণ ভুমিতে কর্মী এবং জোগান নামানোর কাজ ছিল কঠিন । অসুবিধা সত্ত্বেও স্কোয়াড্রন লিডার গিল তাঁর উৎসাহ, সীমাহীন শক্তি এবং ব্যক্তিগত সাহসের সাথে ডোপরিজোতে অবতরণের মূল অংশটি সম্পাদন করেছিলেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে, এয়ারলিফট করাটি সম্ভব হয়েছিল যা অসম্ভব বলে মনে হয়েছিল, বাস্তবে পরিণত হয়েছিল। তিনি সর্বোচ্চ আদেশের দায়িত্বের প্রতি সাহস ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছিলেন।"

স্কোয়াড্রন লিডার এইচএস গিল ভারতের পাঞ্জাবের মুল্লানপুরে ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]