কাজী আজহার আলী
কাজী আজহার আলী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমি ফেলো (২০০৬) |
কাজী আজহার আলী (মৃত্যু ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও সচিব। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও অবৈতনিক উপাচার্য ছিলেন এবং মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।[১] ২০০৬ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সদস্য ও হার্ট ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন।[২]
প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]
কাজী আজহার বাগেরহাটের ফকিরহাটস্থ সৈয়দ মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ১৯৫৬ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। পরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেন।[৩]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
কাজী আজহার ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোদদান করেন।[২] কার্মজীবনে তিনি রাজবাড়ী মহকুমা প্রশাসক, কুমিল্লা ও রংপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।[৩] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর তিনি বাংলাদেশের পাঁচটি মন্ত্রণালয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময় সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।[২] ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও অবদান রাখেন।[২]
গ্রন্থ[সম্পাদনা]
তিনি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:[৩]
- স্মৃতির পাতা থেকে
- তিনকাল
- ইতিহাসের অলিগলি (১৯৯০)
- আমার দেখা একুশে
- বাংলাদেশে জেলা প্রশাসক
- কাজের ফাঁকে ফাঁকে (২০০২)
- সেই সব দিনগুলি
- ঝড়ো হাওয়ার মাঝে
- মুক্তিযুদ্ধে আরেক ফ্রন্ট
মৃত্যু[সম্পাদনা]
কাজী আজহার ২০০৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৩]