শহীদ দিবস (ভারত)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভারতে, শহীদ দিবস (জাতীয় পর্যায়েও সর্বদায় দিবস হিসাবে পরিচিত) হিসাবে আলাদা আলাদা ছয়টি দিবসকে ঘোষণা করা হয়েছে। যারা জাতির জন্য আত্মোৎসর্গ করেছে, তাদের শহীদ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

৩০ জানুয়ারী[সম্পাদনা]

৩০ জানুয়ারী জাতীয় পর্যায়ে পালিত হয়ে থাকে। ১৯৪৮ সালে নাথুরাম গডসে কর্তৃক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর হত্যার স্মৃতি হিসাবে দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে।[১] শহীদ দিবসে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, এবং তিন বাহিনী প্রধান রাজ ঘাট স্মৃতিসৌধের সমাধিতে জড়ো হন এবং নানাবর্ণের ফুল দিয়ে সজ্জিত পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ১১টায় ভারতীয় শহীদদের স্মরণে দেশজুড়ে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা সর্ব-ধর্মের প্রার্থনা করার পর শ্রদ্ধা জানান।[২]

২৩ মার্চ[সম্পাদনা]

১৯৩১ সালের ২৩শে মার্চ লাহোরে (পাকিস্তান) ভগৎ সিং, সুখদেব থাপার এবং শিবরাম রাজগুরু মারা যাওয়ার বার্ষিকীকে শহীদ দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়।[৩]

১৯ মে[সম্পাদনা]

আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাঙালি হওয়া সত্ত্বেও আসাম সরকার রাজ্যের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে অসমীয়া ভাষাকে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিবাদ হিসেবে বাংলা ভাষা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বরাক উপত্যকায়, সিলেটি-ভাষী বাঙালি জনসংখ্যা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। মূল ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬১ সালের ১৯শে মে শিলচর রেলস্টেশনে, যেখানে রাজ্য পুলিশ কর্তৃক ১৫জন লোক শহীদ হয়। ১৯শে মে এখন "ভাষা শহীদ দিবস" হিসেবে স্বীকৃত।[৪]

২১ অক্টোবর[সম্পাদনা]

২১শে অক্টোবর পুলিশ শহীদ দিবস (বা পুলিশ স্মরণ দিবস), দেশব্যাপী সকল পুলিশ বিভাগ পালন করে। ১৯৫৯ সালের এই দিনে, চলমান চীন-ভারত সীমান্ত বিবাদের অংশ হিসাবে লাদাখের ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে একটি টহলরত কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীকে চীনা বাহিনী আক্রমণ করেছিল।[৫]

১৭ নভেম্বর[সম্পাদনা]

ওড়িশা, ১৭ নভেম্বর, "পাঞ্জাবের সিংহ" খ্যাত লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে, যিনি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের কাছ থেকে মুক্তির জন্য একজন ভারতীয় নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।[৬]

১৯ নভেম্বর[সম্পাদনা]

১৮২৮ সালের ১৯ নভেম্বর, মারাঠা-শাসিত রাজ্যের রাজকুমারী রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের জন্মদিন এই অঞ্চলে শহীদ দিবস হিসাবে পালন করা হয় এবং ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে যারা জীবন দিয়েছিল তাদের সম্মান জানায়, যার মধ্যে তিনিও একজন ছিলেন।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে from the Indian government Press Information Bureau
  2. Faisal, Mohammad (২৯ জানুয়ারি ২০১৮)। "Why India celebrates Martyr's Day, or Shaeed Diwas, on January 30"India Today। ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. "The muffled voice of rebellion"The Statesman। ২৯ মার্চ ২০১১। ৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ 
  4. Jha, Jitesh (২০ মে ২০১৪)। "Language Martyrs Day observed on 19 May in Barak Valley, Assam"Jagran Josh। ২০১৭-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  5. "Police Martyrs Day 21 October"Telangana News Paper। Bangalore। ২১ অক্টোবর ২০১৫। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. "Death anniversary of Lala Lajpat Rai" (পিডিএফ)। Government of Orissa। ২৩ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১১ 
  7. "Rani of Jhansi birthday"। South Asian Research Centre for Advertisement, Journalism, and Cartoons। ১৯ নভেম্বর ২০১০। ২৩ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১১