মো. দবিরুল ইসলাম
অ্যাডভোকেট দবিরুল ইসলাম | |
---|---|
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমএলএ) | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৪ – ১৯৬২ | |
শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৬ – ১৯৬২ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৩ মার্চ ১৯২২ বামুনিয়া গ্রাম, ঠাকুরগাঁও মহকুমা, দিনাজপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১৩ জানুয়ারি ১৯৬১ বামুনিয়া গ্রাম, ঠাকুরগাঁও মহকুমা, দিনাজপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | আওয়ামী লীগ |
সন্তান | আহসান হাবীব বুলবুল, আহসান উল্লাহ ফিলিপ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজ |
অ্যাডভোকেট দবিরুল ইসলাম (১৩ মার্চ ১৯২২-১৩ জানুয়ারি ১৯৬১) ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমএলএ) ছিলেন।[১][২]
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
দবিরুল ইসলাম ১৩ মার্চ ১৯২২ সালে তৎকালীন বৃহত্তর দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমার বালিয়াডাঙ্গির বামুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লাহিড়ী এম.ই হাই স্কুল থেকে ১৯৩৮ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করে আইএ ও বিএপাশ করেন রাজশাহী কলেজে। ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।[৩]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]
দবিরুল ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে দিনাজপুরে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে সত্রিয় ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আন্দোলন জড়িয়ে পড়ায় শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্যদের সাথে তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কৃত হন।[১]
১৯৪৮ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রথম আহবায়ক কমিটিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও অলি আহাদ সহ ১৪ জন প্রতিনিধির সাথে তিনিও সদস্য নির্বাচিত হন।[৪]
৪ জানুয়ারি ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের প্রথম কাউন্সিলে তিনি ঢাকা জেলখানা থাকাবস্থায় ছাত্রলীগের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়ে ১৯৪৯-১৯৫৩ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৫২ সালের বাংলাভাষা আন্দোলনে সত্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং গ্রেফতার হন।[৫]
১৯৫৪ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঠাকুরগাঁও আসন থেকে মুসলিম লীগের নেতা নুরুল হক চৌধুরীকে পরাজিত করে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমএলএ) নির্বাচিত হন দবিরুল।[৬]
১৯৫৬ সালে আবু হোসেন সরকারের মন্ত্রিসভায় তিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারী সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পান।[৬]
মৃত্যু[সম্পাদনা]
দবিরুল ইসলাম ১৩ জানুয়ারি ১৯৬১ সালে ৩৮ বছর বয়সে তৎকালীন দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমার বালিয়াডাঙ্গির বামুনিয়া গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন।
স্মারক[সম্পাদনা]
দবিরুল ইসলামের স্মৃতি রক্ষায় ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ সাধারণ পাঠাগার চত্বরে তার একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।[৭][৮]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "কিংবদন্তি ছাত্রনেতা ও ভাষাসৈনিক দবিরুল ইসলাম | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩০।
- ↑ "ঠাকুরগাঁও জেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে স্মরণ করলেন না ছাত্রলীগের কেউ! | Purboposhchimbd"। Purboposchim। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩০।
- ↑ BanglaNews24.com। "ভাষা সৈনিক দবিরুল এখন ইতিহাস"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩০।
- ↑ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অসমাপ্ত আত্মজীবনী। বাংলাদেশ: দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড(ইউ পি এল)। পৃষ্ঠা ৩২৯। আইএসবিএন 9789845061957।
- ↑ ক খ "ভাষাসৈনিক দবিরুল ইসলামের স্মৃতি রক্ষার জন্য | চিঠিপত্র | The Daily Ittefaq"। archive1.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ভাষা সৈনিক দবিরুল এখন ইতিহাস"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "ভাষাসৈনিক দবিরুল ইসলামের জন্মশতবার্ষিকী"। একাত্তর টিভি। ১৪ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০২২।