দুই পৃথিবী (২০১০-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দুই পৃথিবী
দুই পৃথিবী চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকরাজ চক্রবর্তী
প্রযোজকশ্রীকান্ত মোহ্‌তা
চিত্রনাট্যকারএন.কে. সলিল
শ্রেষ্ঠাংশেজিৎ
দেব
কোয়েল মল্লিক
বর্খা বিশত সেনগুপ্ত
সুরকারজিৎ গাঙ্গুলী
সমিধ মুখোপাধ্যায়-ঋষি চন্দ
চিত্রগ্রাহকসোমিক মুখোপাধ্যায়
শীর্ষ রায়
সম্পাদকরবিরঞ্জন মিত্র
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস
মুক্তি
  • ১৪ অক্টোবর ২০১০ (2010-10-14)
স্থিতিকাল১৫০ মিনিট
দেশভারত
ভাষাবাংলা

দুই পৃথিবী রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ২০১০ সালের একটি বাংলা চলচ্চিত্র। ২০০৮ সালের তেলুগু চলচ্চিত্র গামিয়াম অভিনীত স্বর্ণনান্দ-আলারি নরেশ এর পুননির্মান এটি।[১]

কাহিনি[সম্পাদনা]

রাহুল রায় (জিৎ) তার ধনী বাবা অরূপ রায়ের (বি.ডি. মুখোপাধ্যায়) একমাত্র ছেলে। সে আরাম এবং বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত এবং তার কাছে জীবন একটি খেলামাত্র। সে একজন ভাগ্যবান চরিত্র যে সুখী জীবনযাপনে অভ্যস্ত এবং মেয়েদের কাছে জনপ্রিয়। রাহুল, নন্দিনী (কোয়েল মল্লিক) এর সাথে পরিচিত হয়। নন্দিনী একজন তরুণ ডাক্তার। রাহুল তার বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে যে সে নন্দিনীকে তার প্রেমে ফেলবে। রাহুল নন্দিনীকে এক নাচের অনুষ্ঠানের পর কফি খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।

নন্দিনী একজন অনাথ হওয়ায় সে দরিদ্র ব্যক্তিদের প্রতি অত্যন্ত দয়াময় এবং একজন ভাল সেবিকা। দরিদ্র ব্যক্তিদের সুখে-দুঃখে তাদের সাথে থাকে এবং তাদের সহায়তা করে। কিন্তু একজন ধনীব্যক্তি হওয়ায় রাহুল দরিদ্রদের ঘৃণা করে। তবে নন্দিনীর মুক্তমনের ব্যবহার তাকে দরিদ্রদের প্রতি দয়াময় করে তোলে। তারা ভাল বন্ধুত্ব করে ফেলে। একই সময়ে নন্দিনী রাহুল-এর সাথে একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলে। সে বলে যে সে রাহুলকে ভালবাসতে পারবে না কারণ সে তার মন বোঝে না। সে চায় রাহুলকে জীবনের বাস্তবতা বোঝাতে। সে বোঝে যে রাহুল তার বন্ধুদের সাথে চ্যালেঞ্জে জেতার জন্য এমনটা করছে। সে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়।

একটি পার্টির পর তার হোস্টেলে দিয়ে আসার সময় রাহুল নন্দিনীকে বোঝাতে চায় যে সে সত্যিই তাকে ভালবাসে। কিন্তু নন্দিনী তার কথা শোনে না। ক্রমে, রাহুল-এর দুর্ঘটনা হয়। এতে এক মহিলা মারা যায় এবং এক শিশু অনাথ হয়। নন্দিনী বেঁচে যায়, কিন্তু সে রাহুল-এর কাছ থেকে নিজেকে লুকিয়ে নেয়। রাহুল তাকে মোটরসাইকেলে করে খুঁজতে বের হয়।

এমতাবস্থায় সে মোটরসাইকেল চোর শিবু (দেব)র সাথে পরিচিত হয়। শিবু এক চোর হলেও মনের দিক থেকে খুব সরল। এই ভ্রমণে শিবু রাহুল-এর সঙ্গী হয়ে পড়ে। ভ্রমণে ক্রমে রাহুল-এর মনের পরিবর্তন হতে থাকে। সে জীবনের বাস্তবতা বুঝতে শেখে। মানুষের বিপদে, সুখ দুখে পাশে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করে। বুঝতে পারে গ্রামীণ জীবনের সারল্য। পথের উঁচু-নিচুতে সে পরিচিত হয় এক শিক্ষকের (মনোজ মিত্র) সাথে, যিনি অনাথ শিশুদের পড়ান। সে পরিচিত হয় অবসরগ্রহণকারী সামরিক কর্মকর্তা (দেবরঞ্জন নাগ), এক পতিতা (বরখা), যে কিনা ভালবাসার কাঙাল তার সঙ্গী শিবুর সাথে। এই সবকিছুই তার নিজের ব্যক্তিসত্ত্বাকেই চিনিয়ে দেয়। শিবু আর সে রাস্তায় বাইক দুর্ঘটনায় পড়লে শিবু সামান্য আহত হয়। যদিও হসপিটালে নন্দিনী শিবুর চিকিৎসা করে কিন্তু রাহুলের সাথে দেখা হয়না। শিবু নন্দিনী কে চেনেনা ফলত রাহুল জানতে পারেনা যে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাতেই নন্দিনী চিকিৎসা করছে। ইতিমধ্যে শিবু আর সে স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীদের সাথে গোলমালে জড়িয়ে পড়ে। শিবুর আকস্মিক মৃত্যু তাকে একজন সহৃদয় ও দায়িত্বশীল নাগরিকে পরিনত করে তোলে।শেষ পর্যন্ত রাহুল খুঁজে পায় নন্দিনীকে এবং জীবনের মানে।

প্রযোজনা[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটি শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ৪২তম অভিযান। এটি পরিচালকের ৫ম এবং দেব ও জিৎ-কোয়েল জুটির দশম চলচ্চিত্র। জিৎ-কোয়েলের সাথে রাজের এটাই প্রথম চলচ্চিত্র, ভেঙ্কটেশের সাথে ৪র্থ এবং চ্যালেঞ্জ (২০০৯) ও লে ছক্কা (২০১০)-এর পর দেবের সাথে তৃতীয় চলচ্চিত্র। এই প্রথমবারের মত বাংলার দুই সুপারহিট নায়ক দেব-জিৎ একত্রে অভিনয় করেছেন। প্রথমবারের মত বাংলা চলচ্চিত্র ৫০ মিলিয়ন বাজেটের ছবি করে। ২.৩.১০ তারিখে এর 'মহরত' অনুষ্ঠিত হয়। চলচ্চিত্রটির কলকাতা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চল যেমন লালগড় ও গোপিবল্লভপুর, পুরুলিয়া, বানতলা প্রভৃতি স্থানে দৃশ্যায়ন সম্পন্ন হয়। গানগুলোর দৃশ্যায়ণ হয় ইউরোপ-এ, ভালবাসা ভালবাসার পর (অস্ট্রিয়াতে শ্যুটিং হয়েছিল) এই প্রথমবারের মত। চলচ্চিত্রটি মূলত সোমক মুখোপাধ্যায়ই চিত্রধারণ করেন, কিন্তু তিনি সময় করে উঠতে না পারাতয় তার স্থানে বলিউডের আইটেম-গার্ল বর্খা বিশত, রাজনীতি চলচ্চিত্রে তার বিখ্যাত "ইশক বর্সে" নাচের জন্য বিখ্যাত; তিনি অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক জিৎ গাঙ্গুলীরই এই চলচ্চিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করবার কথা ছিল, কিন্তু পায়ের ব্যাথার কারণে তিনি কাজটি করতে পারেন না এবং তার জায়গায় ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত কাজটি শেষ করে। ১৯ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে "ও ইয়ারা ভে" গানের মাধ্যমে এর প্রথম লুক বাজারে আসে, যা চারজন বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রী অভিনীত গান। গানটি বিখ্যাত ভারতীয় বাংলা গানের চ্যানেল সঙ্গীত বাংলায় প্রচারিত হয়।

সংগীত[সম্পাদনা]

দুই পৃথিবী
কর্তৃক সংগীত
মুক্তির তারিখ১৭ অক্টোবর ২০১০ (2010-10-17)
শব্দধারণের সময়২০১০
ঘরানাচলচ্চিত্রের গান
সঙ্গীত প্রকাশনীভি. মিউজিক
প্রযোজকশ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস

চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন জিৎ গাঙ্গুলী এবং সমিধ মুখোপাধ্যায়-ঋষি চন্দ। প্রথম দুটি গান সমিধ-ঋষি পরিচালনা করলেও বাকিগুলো করেছেন জিৎঃ [২]

নং গান কণ্ঠশিল্পী কথা কোরিওগ্রাফার
"ইট্‌স অনলি পেয়ার" কুণাল গাঞ্জাওয়ালা, মোনালি ঠাকুর সমিধ মুখোপাধ্যায় বাবা যাদব
"পেয়ারেলাল" রিচা শর্মা, আনন্দ রাজ আনন্দ সমিধ মুখোপাধ্যায় ডি. শঙ্করাইয়া
"ও ইয়ারা ভে" কুণাল গাঞ্জাওয়ালা, বোনি চক্রবর্তী, জুন বন্দ্যোপাধ্যায়, মোনালি ঠাকুর প্রসেন বাবা যাদব
"বল না আর" শান, মোনালি ঠাকুর প্রসেন বাবা যাদব
"দুই পৃথিবী" রানা মজুমদার, তিমির বিশ্বাস প্রসেন রাজ চক্রবর্তী

সমালোচকদের গ্রহণ[সম্পাদনা]

রেটিং ও পর্যালোচনা[সম্পাদনা]

সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রের সমালোচনা ছিল ভাল। রোশনি মুখোপাধ্যায় দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া থেকে একে '****' রেটিং দেয়।[৩][৪] যাজেনি চক্রবর্তী হিন্দুস্তান টাইমস থেকে একে '***১/২' রেটিং দেয়।[৫] জাগোরি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভাবশালী বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে একে ৬.৫/১০ রেটিং দেয়।[৬] স্বপন মল্লিক দ্য স্টেটসম্যনা একে '**১/২', রেটিং দেয় কিন্তু বলেন যে এটি 'আশাকে পূর্ণ করেছে'।[৭] দ্য বেঙ্গল পোস্ট থেকে সুদীপ্তা দে একে সাধারণ বলেন কিন্তু এও উল্লেখ করেন যে চলচ্চিত্রর 'শক্ত সামাজিক বার্তা' আছে এবং 'রাজের গল্প বলার ধরন নিঃসন্দেহে ভাল' বলেন।[৮] খ্যাতনামা চলচ্চিত্র-সমালোচক সোমা এ. চট্টোপাধ্যায় আপারস্টল.কম-এ একে ৫/১০ নম্বর দেয়।;[৯] কিন্তু তিনিই ক্যালকাট্টাটিউব-এ ৬/১০ নম্বর দেন।[১০] ওয়াশিংটন বাংলা রেডিং নামের অপর এক ওয়েব-পোর্টাল থেকে অদিত্য চক্রবর্তী বলেন দেব তখন পর্যন্ত তার শ্রেষ্ঠ কাজ করেছেন এবং জিৎ ও কোয়েলও তাঁদের নিজেরদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ভাল করেছেন।[১১] বর্তমান থেকে দেবব্রত চৌধুরী বলেন যে মানুষ চলচ্চিত্রটিকে পছন্দ করেছে।[১২] প্রভাবশালী বাংলা ম্যাগাজিন আনন্দলোক বিশ্বাস করে যে চলচ্চিত্রটি বাংলা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় এক নতুন সীমানা তৈরি করেছে।[১৩] একদিন থেকে মহুয়া দত্তমিত্র বলেন যে পরিচালক তাঁর পুরো দল নিয়ে আশাকে ছাড়িয়ে গেছে।[১৪] আজকাল থেকে সম্রাট মুখোপাধ্যায় লেখেন যে পরিচালক বাণিজ্যর সাথে পরীক্ষণকে মিশিয়েছেন।[১৫] সংবাদ প্রতিদিন থেকে বিদিশা চট্টোপাধ্যায় বলেন যে পরিচালক নিঁখুত লক্ষ্যভেদ (বুল'স আই) করেছেন।[১৬] "সকালবেলা"র রায় অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি অবশ্যদর্শনীয়।[১৭] আরেক প্রভাবশালী ইংরজি পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ চলচ্চিত্রের ক্যামেরার কাজের প্রশংসা করে।[১৮][১৯]

প্রফেশনাল রিভিউ
রিভিউ স্কোর
সমালোচক সূত্র রেটিং
রোশনী মুখোপাধ্যায় দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া ৪/৫ তারকা
যাজেনি চক্রবর্তী হিন্দুস্তান টাইমস ৩.৫/৫ তারকা
জাগোরি বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দবাজার পত্রিকা ৬.৫/১০ তারকা
সোমা এ. চট্টোপাধ্যায় ক্যালকাটাটিউব.কম ৬/১০ তারকা
সোমা এ. চট্টোপাধ্যায় আপারস্টল.কম ৫/১০ তারকা
স্বপন মল্লিক দ্য স্টেটসম্যান ২.৫/৫ তারকা
সুদীপ্তা দে দ্য বেঙ্গল পোস্ট ২/৫ তারকা

বক্স অফিস রায়[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটি দ্বিধাহীনভাবে প্রায় সকল পত্রিকা ও ওয়েব-পোর্টালদের কর্তৃক প্রশংসিত হয়। দ্য টেলিগ্রাফ-এর কুশালি নাগ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রকে 'হিট/সফল' বলেন যেমন ০৩.১১.১০[২০] ১৬.১২.১০.,[২১] ৩০.১২.১০.,[২২] ৪.৪.১১.[২৩] ১২.৫.১১,[২৪] ২৭.৫.১১.[২৫] and ১৮.৯.১১. এর মুদ্রণে।[২৬] আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে ইন্দ্রনীল রায় একে 'হিট' বলেন ৬.২.১১. এর মুদ্রণে।[২৭] হিন্দুস্তান টাইমস থেকে অনিন্দিতা আচার্য ২০১০ সালে ক্রিস্টমাস দিনেও বলেন চলচ্চিত্রটি "ভাল করেছে"।[২৮] আজকাল থেকে সৌগতা চক্রবর্তী একই দিনে একে 'হিট' বলেন।[২৯] "দ্য স্টেটসম্যান" চলচ্চিত্রটিকে ২৬.১২.১০ তারিখ 'বাণিজ্যিক সফল' অর্জনের অভিধা দেয়।[৩০] খ্যাতনামা চলচ্চিত্র-সমালোচক সোমা এ. চট্টোপাধ্যায় একই দিনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ 'চলচ্চিত্র যা ভাল করেছে' তালিকায় দুই পৃথিবীর স্থান দেন।[৩১] তিনি ২৩.১.১১ তারিখে[৩২] এবং ১২.১০.১১ তারিখে ক্যালকাট্টাটিউব ওয়েব পোর্টালে চলচ্চিত্রটিকে 'ট্রিমেন্ডাস সাক্‌সেস' এবং 'বক্স-অফিস হিট' বলেন।[৩৩] ১৯.১২.১১ এ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধানুসারে এফআইসিসিআই এবং ডিলোইত্তে কর্তৃক এক গবেষণা পরিচালিত হয় এবং এতে দুই পৃথিবীকে বর্ষসেরা সংগ্রাহক হিসেবে অভিহিত করা হয়।.[১] ভারতস্টুডেন্ট পোর্টালের মতানুসারে চলচ্চিত্রটি 'বক্স অফিসকে ক্লিক' করেছে (২৬.১০.১০)।[৩৪] খ্যাতনামা চলচ্চিত্র-সাংবাদিক, রতনোত্তমা সেনগুপ্ত ২০.১০.১০ দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে লেখেন যে চলচ্চিত্রটি 'ক্লিক' করেছে এবং এটি একটি বড় 'হিট'।[৩৫] ২.১.১১-এও তিনিন একই কথা লেখেন।[৩৬] ৫.১১.১০ সালে 'টিওআই' থেকে প্রিয়াঙ্কা দাসগুপ্ত চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে বলেন, 'অবশ্যই ভাল করেছে'। রোশনী মুখোপাধ্যায়, তিনিও 'টিওআই' থেকে, বলেন দেব একের পর এক হিট উপহার দিচ্ছে ৩০.১২.১০ সালের সেদিন দেখা হয়েছিল পর্যন্ত।[৩৭] ১৩.২.১১ সালে টিওআই রিপোর্ট করে যে এটি একটি 'ব্লকবাস্টার' এবং 'সুপারহিট'।[৩৮] একমাত্র রুমান গাঙ্গুলী, টিওআই থেকে, চলচ্চিত্র সম্পর্কে অত্যন্ত বিবাদী মন্তব্য করেন। প্রথমে তিনি পরিচালককে "দুই পৃথিবীর খ্যাতিতে সাঁতার কাটছেন" বলে অভিহিত করেন।[৩৯] এরপর ২৫.১২.১০. তারিখে বলেন, দেব কখনও ব্যর্থতা অনুভব করেননি।[৪০] তিনি আরও বলেন জিতের জন্য ২০১০ একটি ভাল বছর ছিল কারণ তিনি ওয়ান্টেড, জোশ এবং দুই পৃথিবী চলচ্চিত্রত্রয়ে অভিনয় করেন এবং প্রতিটাই হিট হয় (২০.২.১১.)।[৪১] কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বলেন, চলচ্চিত্রটি 'পানোম্নত্ত' (১৭.৫.১১.) এবং 'ভাল করেনি' (২৩.৫.১১.)। এই ছিল চলচ্চিত্র সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য এবং প্রভাবশালী সূত্রের একমাত্র খারাপ মন্তব্য। তবে এরপর তিনি আবারও তার আগের স্থানে ফিরে আসেন এবং বলেন, চলচ্চিত্রটি 'হিট' ছিল।[৪২]

মুক্তি[সম্পাদনা]

চলার সময়[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটি বৃহস্পতিবার, দুর্গাপূজার সপ্তমীতে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ২০৯ টি থিয়েটারে মুক্তি পায়। এটি সারা শহরজুড়ে ৫ সপ্তাহ চলে এবং এরপর একে অপর একটি বড় চলচ্চিত্র মন যে করে উড়ু উড়ুর জন্য স্থান ছেড়ে দিতে হয়। তবে "দ্য টেলিগ্রাফ" অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি শহরে প্রায় ৬ সপ্তাহ চলে।[২২][২৩] চলচ্চিত্রটি 'বায়োস্কোপ', রাজারহাটের 'অ্যাক্সিস মল' এবং 'আইনক্স বর্ধমান'- মাল্টিপ্লেক্সে সর্বোচ্চ, প্রায় ৪ সপ্তাহ চলে। আশ্চর্যজনকভাবে চলচ্চিত্রটি ডান্টানের 'বাসন্তী' এবং ঝটিপাহাড়ির 'হরিপার্বতী' নামক গ্রামীণ অঞ্চলে সর্বাধিক, প্রায় ৫০ সপ্তাহ চলে। এটা বোঝা যায় যে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস ইচ্ছাকৃতভাবে সুরিন্দার ফিল্মস-এর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই এমজেকেইউইউর জন্য শহর থেকে চলচ্চিত্রটিকে উঠিয়ে নেয়। একইভাবে তারা এর পাঁচ সপ্তাহ পর এমজেকেইউইউকে উঠিয়ে নেয়, কারণ বন্ধু প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস তখন তাদের পরবর্তী ছবি সেদিন দেখা হয়েছিল মুক্তি দিতে যায়। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলে ধারণা করা হয় দুই পৃথিবী আরো অনেক সপ্তাহ ধরে চলত।

বক্স অফিস বিশ্লেষণ[সম্পাদনা]

এফআইসিসিআইডিলোইত্তের তথ্য অনুযায়ী দুই পৃথিবী ছিল ২০১০ সালের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার।[১] চলচ্চিত্রটির প্রথম সাপ্তাহিক অর্থসংগ্রহ ছিল ঐ সময়ের যেকোন চলচ্চিত্রের চেয়ে বেশি।[৪৩] এটি প্রায় ৫০ মিলিয়ন রুপি আয় করে মাত্র প্রথম সপ্তাহেই।[৪৩] প্রযোজক প্রায় ২০ মিলিয়ন রেক করেছিলেন।[২৩] চলচ্চিত্রটি তৃতীয় সপ্তাহেও একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মফস্বলে এর ব্যবসার ঘাটতি শুরু হয়, শেষ পর্যন্ত ৬৫ মিলিয়ন আয় করে ;'গালফ টাইমস', 'দ্য স্টেটসম্যান' রিপোর্ট করেছে।[৪৪] (২৩.১২.১১), 'দ্য ইকোনোমিক টাইমস'[৪৫](৩০.০৪.১১); দ্য ওয়েব-পোর্টালস 'গোল্ডেন রীল'[৪৬](২৮.১.১১), 'বেঙ্গলি মুভিজ',[৪৭] 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'[১](১৯.১২.১১) এবং ২০১১ সালে ডিলোইত্তের বার্ষিক রিপোর্ট।[৪৮] ১৫.৬.১২ তে প্রকাশিত দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার অপর একটি বিচ্ছিন্ন রিপোর্ডে বলা হয় চলচ্চিত্রের আজেট ছিল ৩৫ মিলিয়ন এবং ৪০ মিলিয়নের ব্যবসা করে।[৪৯] বাজেটের দিক থেকে (এটি তখনকার সময়ের সর্বাধিক বাজেটের চলচ্চিত্র ছিল) এবং চলচ্চিত্রের বিপুর পরিমাণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথা চিন্তা করে 'ব্লকবাস্টার' ছাড়া কিছুই আশা করা যাচ্ছিল না। সব মিলিয়ে এর সংগ্রহ 'সুপারহিট' অভিধার জন্য যথেষ্ট, কিন্তু চলচ্চিত্রের ৫০ মিলিয়নের বাজেট, একটি বড় প্রভাবকে প্রমাণ করে। দুই পৃথিবীকে 'সুপারিহিট'/'ব্লকবাস্টার' বলার জন্য একটু কম পড়ে যায়, তবে এর সংগ্রহ ছিল 'হিট' বলার মত যথেষ্ট।

পুরস্কার ও মনোনয়ন[সম্পাদনা]

দুই পৃথিবী সম্মানজনক 'স্টার জলসা এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১১' লাভ করে। ২৮শে মে, ২০১১ সালে সাইন্স সিটি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান। দর্শকদের ক্ষুদেবার্তা এবং চ্যানেলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রেরিত ভোটের ওপর ভিত্তি করে এই ফলাফল নির্ধারিত হয়। চলচ্চিত্রটির জয়লাভ করে পুরস্কারের তালিকা নিম্নরূপঃ-

নং বিভাগ অন্যান্য মনোনয়ন
০১ সেরা সুপারহিট চলচ্চিত্র অটোগ্রাফ, অমানুষ, জোশ, লে ছক্কা
০২ সেরা সুপারহিট মিউজিক অটোগ্রাফ, অমানুষ, মনের মানুষ, লে ছক্কা
০৩ সেরা সুপারহিট নায়িকা:কোয়েল মল্লিক শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (ওয়ান্টেড), পায়েল সরকার (লে ছক্কা), প্রিয়াঙ্কা সরকার (যদি একদিন)

এছাড়া, চলচ্চিত্রের জন্য জিৎ সেরা সুপারহিট নায়ক এবং দেব সেরা সাপোর্টিং অভিনেতা বিভাগে মনোনয়ন পান। কিন্তু সেরা সুপারহিট নায়ক পুরস্কার লাভ করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (অটোগ্রাফ) এবং সেরা সাপোর্টিং অভিনেতা পুরস্কার লাভ করেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (ব্যোমকেশ বক্সী)। এছাড়াও জিৎ-কোয়েল জুটি সেরা জুটির মনোনয়ন পেলেও সেই পুরস্কার লাভ করেন দেব-পায়েল জুটি। বরখা সেনগুপ্ত "আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড-২০১০"-এ সেরা নবাগত অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

ভিডিও মুক্তি[সম্পাদনা]

৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে "ভি. ভিডিও" চলচ্চিত্রের ভিসিডি ও ডিভিডি মুক্তি দেয়। প্রতিটি ভিসিডির দাম ছিল ৬৯ রুপি এবং প্রতিটি ডিভিডির দাম ছিল ১৪৯ রুপি। চলচ্চিত্রের অফিশিয়াল সংগীতের সিডিও "ভি. মিউজিক" থেকে ৩৫ রুপি ক্রয় করা যায়।

ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন প্রিমিয়ার[সম্পাদনা]

পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় বাংলা চ্যানেল স্টার জলসা দুই পৃথিবীর স্যাটেলাইট স্বত্ব ক্রয় করে এবং এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস প্রযোজিত সকল চলচ্চিত্র ক্রয়ের চুক্তি করে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি ৪:৩০ পিএম এ চলচ্চিত্রের ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন প্রিমিয়ার হয় স্টার জলসাতে[৩৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Film industry wants Mamata to focus right in revamp shot"Indian Express। ১৯ ডিসে ২০১১। 
  2. "Dui Prithibi Music"। www.gomolo.com। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  3. "Dui Prithibi Review"। "The Times of India"। ১৭ অক্টোবর ২০১০। 
  4. "Where two worlds collide"। "The Times of India"। ১৭ অক্টোবর ২০১০। 
  5. "A high-octane joyride"। "Hindustan Times"। ১৭ অক্টোবর ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  6. "Dev-er Prithibi, Jeet-er Mastani"। "Anandabazar Patrika"। ২৩ অক্টোবর ২০১০। ১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  7. "FULFILLING EXPECTATIONS"। "The Statesman"। ২৩ অক্টোবর ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  8. "Two worlds, one passion"। "The Bengal Post"। ১৬ অক্টোবর ২০১০। ২৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  9. "Dui Prithibi Review"। "Upperstall"। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  10. "DUI PRITHIBI-ENTERTAINING WITH A CAPITAL "E""। "Calcuttatube"। ২৬ অক্টোবর ২০১০। 
  11. "DUI PRITHIBI(2010)Bengali Movie Review-Dev delivers his best performance yet, Jeet and Koel live up to the hype"। "Washington Bangla Radio USA"। ২২ অক্টোবর ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  12. "Cinemar Alochona"। "Bartaman"। ২৯ অক্টোবর ২০১০। ১৮ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  13. "Notun Prithibi"। "Anandalok"। ২৭ অক্টোবর ২০১০। ২৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  14. "Dui Prithibi Review"। "Ekdin"। ২৩ অক্টোবর ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  15. "Comedy-te Dev Glamour-e Jeet"। "Aajkaal"। ২৩ অক্টোবর ২০১০। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  16. "Ektai Prithibi; Raj-er Lakshyabhed"। "Sangbad Pratidin"। ২২ অক্টোবর ২০১০। ২৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  17. "Na Dekhlei Miss"। "Sakalbela"। ২২ অক্টোবর ২০১০। ৬ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  18. "FRIDAY film"। Calcutta, India: "The Telegraph"। ১৬ অক্টোবর ২০১০। 
  19. "FRIDAY film"। "The Telegraph"। ১৬ অক্টোবর ২০১০। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  20. Nag, Kushali (৩ নভেম্বর ২০১০)। "'I like my lover boy image'"। Calcutta, India: "The Telegraph"। 
  21. "Pack a punch"। Calcutta, India: "The Telegraph"। ১৬ ডিসেম্বর ২০১০। 
  22. Faces, Fresh (৩০ ডিসেম্বর ২০১০)। "Tollywood 2010"। Calcutta, India: "The Telegraph"। 
  23. "Battle for box office"। Calcutta, India: "The Telegraph"। ৪ এপ্রিল ২০১১। 
  24. "Hit formula"। Calcutta, India: "The Telegraph"। ১২ মে ২০১১। 
  25. Hits, Five (২৭ মে ২০১১)। "'I am here to work'"। Calcutta, India: "The Telegraph"। 
  26. Bunch, A; Audiences, Urban (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "The Tollywood hitmen"। Calcutta, India: "The Telegraph"। 
  27. "Cine Duniya"। "Anandabazar Patrika"। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  28. "ON SOLID GROUND"। "Hindustan Times"। ২৫ ডিসেম্বর ২০১০। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  29. "Chap katate hese uthi"। "Aajkal"। ২৫ ডিসেম্বর ২০১০। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  30. "Bengali film industry got back its shine in 2010"। "The Statesman। ২৬ ডিসেম্বর ২০১০। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  31. "Bengali film industry got back its shine in 2010"Indian Express। ২৬ ডিসেম্বর ২০১০। 
  32. "Fighter(2011) Bengali Film Review-JEET THE ACTION HERO"। "Calcutta Tube"। ২৩ জানুয়ারি ২০১১। 
  33. "Hello Memsaheb(2011)-Bengali Movie Review"। "Calcutta Tube"। ১২ অক্টোবর ২০১১। 
  34. "'Autograph' and 'Dui Prithibi' BO report"। "bharatstudent.com"। ২৬ অক্টোবর ২০১০। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  35. "Bengali cinema can be legitimately proud again"। "The Times of India"। ২০ অক্টোবর ২০১০। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  36. "Bengali cinema on a new high"। "The Times of India"। ২ জানুয়ারি ২০১১। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  37. "Sedin Dekha Hoyechilo Review"। "The Times of India"। ৩০ ডিসেম্বর ২০১০। 
  38. "Dui Prithibi's TV premiere tonight!"। "The Times of India"। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১। 
  39. "Raj takes the first shot"। "The Times of India"। ২৭ অক্টোবর ২০১০। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  40. "I FEEL SO LONELY AT TIMES"। "The Times of India"। ২৫ ডিসেম্বর ২০১০। 
  41. "Marriages are made in heaven: Jeet"। "The Times of India"। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১১। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  42. "Raj Chakraborty and Dev team up again"। "The Times Of India"। ৩ নভেম্বর ২০১৩। 
  43. Roy, Priyanka; Nag, Kushali (১৯ অক্টোবর ২০১০)। "Tolly rides festive flavour to beat Bolly- Autograph and Dui Prithibi score over Aakrosh and Knock Out with stars and style"। Calcutta, India: "The Telegraph"। 
  44. "Alive & Kicking"। "The Statesman"। ২৩ ডিসেম্বর ২০১১। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৪ 
  45. "The revival of Bangla film industry"। "Economic Times"। ৩০ এপ্রিল ২০১১। 
  46. "Special Report"। "Golden Reel"। ২৮ জানুয়ারি ২০১১। 
  47. "Is There a new 'New Wave' in Bengali Cinema?"। "Bengali Movies"। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  48. "A symphony of art Media & Entertainment in East India-Bengal" (পিডিএফ)। "Deloitte"। ডিসে ২০১১। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  49. "Our remake story"। "The Times of India"। ১৫ জুন ২০১২। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]