জুলিয়া রবার্টস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জুলিয়া রবার্টস
২০১১ সালে জুলিয়া রবার্টস
জন্ম
জুলিয়া ফ্লোনা রবার্টস

২৮শে অক্টোবর ১৯৬৭
আটলান্টা, জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৮৭–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী
  • লাইল লভেট (১৯৯৩–১৯৯৫) (বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত)
  • ড্যানিয়েল মডার (২০০২–বর্তমান)
সন্তানদুই পুত্র ও এক কন্যা
আত্মীয়এমা রবার্টস (ভাতিজি)
এরিক রবার্টস (ভাই)

জুলিয়া রবার্টস (ইংরেজিতে: Julia Roberts) (জন্ম অক্টোবর ২৮, ১৯৬৭)[১] একজন মার্কিন অভিনেত্রী। ১৯৯০ সালে রোমানটিক কমেডি চলচ্চিত্র প্রেটি ওম্যান-এ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এই চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে। স্টিল ম্যাগনোলিয়াসপ্রেটি ওম্যান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারের জন্য মনোনীট হন। এরিন ব্রোকোভিচ চলচ্চিত্রে কাজের জন্য ২০০১ সালে জুলিয়া রবার্টস অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস ফর বেস্ট অ্যাক্ট্রেস অর্জন করেন। এছাড়া জুলিয়া রবার্টস অভিনীত মাই বেস্ট ফ্রেন্ডস ওয়েডিং, মিস্টিক পিজা, রানওয়ে ব্রাইড, চ্যালেনটাইনস ডে, ওশেনস ইলেভেন, নটিং হিল, দ্য পেলিক্যান ব্রিফ এবং টুয়েলভ চলচ্চিত্রসমূহ বিশ্বব্যাপী ২.৪ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক আয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করে। তিনি হলিউডের অন্যতম বাণিজ্যিকভাবে সফল অভিনেত্রী।[২]

রবার্টস হলিউড তথা বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী। ২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি ছিলেন হলিউডের সর্বাধিক পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী। প্রেটি ওম্যান চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে ৩০০,০০০ ডলার পেয়েছিলেন।মোনা লিসা স্মাইল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছিলেন ২৫ মিলিয়ন ডলার। ২০০৭ সাল নাগাদ তার মোট আয়ের পরিমাণ ১৪০ মিলিয়ন ডলার।[৩]

জুলিয়া রবার্টস প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে ভগ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে স্থান পান। পিপল ম্যাগাজিন হ্যালি বেরির পাশাপাশি তাকে এগারোবার বিশ্বের সেরা ৫০ সুন্দরী দের অন্যতম বলে অভিহিত করেছে। লেডিস হোম জার্নাল তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ১১তম ক্ষমতাশীল ও প্রভাবশালী নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এক্ষেত্রে কন্ডোলিৎসা রাইস এবং ফার্স্ট লেডি লরা বুশ জুলিয়া রবার্টসেরও পেছনে স্থান পান।[৪] রবার্টসের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এর নাম রেড ওম ফিল্মস।

হিন্দুত্ব ধারণ[সম্পাদনা]

২০১০ সালে, রবার্টস বলেছিলেন যে তিনি হিন্দুধর্মের অনুসারী এবং "আধ্যাত্মিক তৃপ্তির" জন্য ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।[৫][৬] তার আধ্যাত্মিক গুরু হলো নিম করোলি বাবা[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Julia Roberts Biography (1967–)"। FilmReference.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৫, ২০১৩ 
  2. "People Index"। Box Office Mojo। ২০১০-০২-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৪ 
  3. "The 20 Richest Women In Entertainment"। Forbes.com। ২০০৭-০১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৬ 
  4. "The power index"। ১৭ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  5. Blake, Heidi (আগস্ট ৫, ২০১০)। "Julia Roberts: I'm a Hindu"The Daily Telegraph। London। এপ্রিল ২০, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩, ২০১৮ 
  6. Roy, Subhamoy (১০ জানুয়ারি ২০১৯)। "Why Julia Roberts Became a Hindu"Learn Religions। অক্টোবর ২৮, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৮, ২০২১ 
  7. "Julia Roberts' Journey in 'Eat Pray Love'"ABC News। আগস্ট ৯, ২০১০। আগস্ট ১৭, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৬, ২০১০ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]