দাগনভূঞা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২২°৫৫′৫৮″ উত্তর ৯১°১৮′৫″ পূর্ব / ২২.৯৩২৭৮° উত্তর ৯১.৩০১৩৯° পূর্ব / 22.93278; 91.30139
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Kishorsopnoneel (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
| native_name = দাগনভূঁইয়া উপজেলা
| native_name = দাগনভূঁইয়া উপজেলা
| locator_position =
| locator_position =
| latd= 22.8500
| latd= 22.53
| longd= 91.3917
| longd= 91.15
| division_name = চট্টগ্রাম বিভাগ
| division_name = চট্টগ্রাম বিভাগ
| district = ফেনী জেলা
| district = ফেনী জেলা

১৪:৪৫, ৩ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দাগনভূঞা উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°৫৫′৫৮″ উত্তর ৯১°১৮′৫″ পূর্ব / ২২.৯৩২৭৮° উত্তর ৯১.৩০১৩৯° পূর্ব / 22.93278; 91.30139 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাফেনী জেলা
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৯২০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ৩০ ২৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

দাগনভূঁইয়া উপজেলা বাংলাদেশের ফেনী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা[১]

ভৌগোলিক সীমানা

ফেনী জেলার পশ্চিম অংশে অবস্থিত দাগনভুঁইয়া উপজেলার মোট আয়তন ১৪১.৭১ বর্গ কিঃ মিঃ (৫১.০৭ বর্গ মাইল)। এই উপজেলার উত্তরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামনাঙ্গলকোট উপজেলা; দক্ষিণে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা; পূর্বে ফেনী সদর উপজেলা এবং পশ্চিমে নোয়্খালীর সেনবাগ উপজেলা অবস্থিত।

প্ৰসাশনিক এলাকা

দাগনভুঁইয়া উপজেলার আয়তন ১৪১.৭১ বর্গ কিঃ মিঃ (৫১.০৭ বর্গ মাইল)। নির্বাচনী এলাকাঃ ২৬৭, ফেনী-৩ (দাগনভূঁঞা-সোনাগাজী)। মোট ইউনিয়নঃ ৮টি। পৌরসভার সংখ্যাঃ ১টি। গ্রামের সংখ্যাঃ ১৩২টি। খানা/পরিবারঃ ৪০,৩৫৮টি (২০০১ সালে আদম শুমারী অনুযায়ী)। মৌজার সংখ্যাঃ ১০০টি।[২]

ইউনিয়ন পরিষদসমূহ

  • দাগনভুঁইয়া ইউনিয়ন পরিষদ
  • জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ
  • মাতুভূঁঞা ইউনিয়ন পরিষদ
  • পূর্ব চন্দ্ৰপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ
  • সিন্দুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ

নামকরণ ও ইতিহাস

দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব নাম গোপীগঞ্জ/গুপিগঞ্জ যা ভূলিুয়া রাজ্যের অধীনে শাসিত হতো । ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রখ্যাত জমিদার শ্রী অরুণ সিং বাহাদুরের স্ত্রীর নাম ছিল শ্রী গোপীদেবী যিনি স্বামীর জমিদারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সে থেকে তার নাম অনুসারে জমিদারী স্টেট গোপীগঞ্জ নামে পরিচিতি লাভ করে। জমির আহমেদ-এর সূত্র মতে পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট শাহাজাহানের পুত্র শাহাজাদা সুজার আমলে বারভূঁঞাদের কোন এক উপবংশের মাতুভূঁঞা ও দাগনভূঁঞা নামে দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ঐ সময় ফেনীর পশ্চিমাঞ্চলে বসতি পত্তন করে ছিলেন। মাতুভূঁঞা ও দাগনভূঁঞা এই দুই ব্যক্তির একজন মাতুভূঁঞা বর্তমানে ভূঁঞা বাড়িতে এবং অপরজন দাগনভূঁঞা দিঘীর আশে পার্শ্বে স্থায়ী বসতি স্থাপন করেন বলেন ধারনা করা হয়। যার নাম অনুসারে এলাকাটি দাগনভূঁঞা হিসেবে খ্যাতি পায়।[৩]

উপজেলা গঠন

১৮৭৬ সালে বৃটিশ সরকারের প্রশাসনিক প্রয়োজনে গঠিত বৃহত্তর নোয়াখালীর অংশ হিসেবে ফেনী মহকুমার অন্তর্গত দাগনভূঁঞাকে ১৯৭৯ সালে সরকারের প্রশাসনিক প্রয়োজনে দাগনভূঁঞা থানা হিসেবে রূপান্তর করা হয়। তৎমধ্যে ফেনী মহকুমা বিলুপ্ত করে ১৯৮৪ সালের মার্চ মাসে ফেনীকে জেলা হিসেবে রূপান্তর করা হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে সরকার দাগনভূঁঞা থানাকে আপ-গ্রেড করে দাগনভূঁঞা উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে দাগনভূঞা ০১টি পৌরসভা, ০৮টি ইউনিয়ন, ১০০টি মৌজা ও ১৫২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে প্রবাহমান ফেনী নদী[৪]

জনসংখ্যার উপাত্ত

উপজেলায় পুরুষ ১,০৩,৬২৮ জন, মহিলা ১,১২,৬০৫ জন নিয়ে সর্বমোট ২,১৬,২৩৩ জন।

শিক্ষা ও সংস্কৃতি

  • পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী অবলুপ্ত: কালান্তর, শুভেচ্ছা (সাপ্তাহিক); শুচিতা, দিশারী (সাময়িকী)।
  • সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান - লাইব্রেরি ১, ক্লাব ৪২, সিনেমা হল ১, খেলার মাঠ ২৩।
  • শিক্ষার হার - গড় হার ৫৫.৪৮%; পুরুষ ৫৮.২৮%, মহিলা ৫২.৯০%।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:

  • দাগনভুইয়া আহমদিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা (প্রতিষ্ঠিত ১৯৭২ ইং)
  • আতাতুর্ক মডেল হাই স্কুল, ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ[৫]
  • রাজাপুর কলেজ
  • দাগনভূঁইয়া একাডেমী
  • দাগনভুইয়া ক্যাডেট মাদ্রাসা
  • ইছহাকিয়া এতিমখানা সিনিয়র মাদ্রাসা- ইয়াকুবপুর
  • ইয়াকুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • পূর্ব চন্দ্র পুর হাই স্কুল
  • সিলোনীয়া হাই স্কুল
  • সিলোনীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা
  • রাজাপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ
  • সুজাতপুর উচ্চবিদ্যালয়
  • দুধমুখা উচ্চবিদ্যালয়
  • জাহানারা উচ্চবিদ্যালয়
  • আতাতুর্ক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
  • সিন্দুর পুর কে.এ বিদ্যানিকেতন
  • রঘুনাথ পুর উচ্চবিদ্যালয়
  • বাতশিরি উচ্চ বিদ্যালয়
  • জাঙ্গালীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
  • ভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • আবদুল নবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • নয়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • পূর্বচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • করিম উল্লাহ্‌ উচ্চবিদ্যালয়
  • বাগডুবি উচ্চ বিদ্যালয়

অর্থনীতি

  • জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎসঃ কৃষি ২৮.২৫%, অকৃষি শ্রমিক ২.৩৫%, শিল্প ০.৭৭%, ব্যবসা ১৫.১২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৪.০৭%, চাকরি ২৪.১০%, নির্মাণ ১.৪১%, ধর্মীয় সেবা ০.৫৬%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ৯.৩৩% এবং অন্যান্য ১৪.০৪%।
  • কৃষিভূমির মালিকানাঃ ভূমিমালিক ৬২.৭১%, ভূমিহীন ৩৭.২৯%। শহরে ৬১.৪৯% এবং গ্রামে ৬২.৮৬% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
  • প্রধান কৃষি ফসলঃ ধান, গম, আলু, ডাল, শাকসবজি।
  • বিলুপ্ত অথবা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদিঃ তিল, তিসি, কাউন, অড়হর।
  • প্রধান ফল-ফলাদিঃ আম, কাঁঠাল, কলা, নারিকেল, পেঁপে।
  • মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারঃ এ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি ও অন্যান্য মাছের চাষ হয় এবং প্রায় শতাধিক গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।
  • বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহনঃ পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
  • শিল্প ও কলকারখানাঃ রাইস মিল, ফ্লাওয়ার মিল, কটন স্পিনিং মিলস্, ব্রিকফিল্ড ও টুপি তৈরির কারখানা রয়েছে।
  • কুটিরশিল্পঃ স্বর্ণশিল্প, মৃৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, কাঠ, বাঁশ ও বেতের কাজ ইত্যাদি।
  • প্রধান রপ্তানি দ্রব্যঃ চিংড়ি, নারিকেল, শাকসবজি।

[৬]

স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা

  • যোগাযোগ বিশেষত্বঃ পাকারাস্তা ১৯১ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫৮১ কিমি; নৌপথ ১৬ নটিক্যাল মাইল।
  • বিদ্যুৎ ব্যবহারঃ এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৪৭.১৪% (শহরে ৭০.৮৭% ও গ্রামে ৪৪.২০%) পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
  • পানীয়জলের উৎসঃ নলকূপ ৯২.৩৫%, পুকুর ২.৪৮%, ট্যাপ ১.১২% এবং অন্যান্য ৪.০৫%।
  • স্যানিটেশন ব্যবস্থাঃ এ উপজেলার ৫৬.৩১% (গ্রামে ৫৩.০৬% ও শহরে ৮২.৬০%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৩৪.৭১% (গ্রামে ৩৭.৪৩% ও শহরে ১২.৭৭%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৮.৯৮% (গ্রামে ৯.৫২% ও শহরে ৪.৬৩%) পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
  • স্বাস্থ্যকেন্দ্রঃ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮, ক্লিনিক ৬।

[৭]

কৃতী ব্যক্তিত্ব

  • আবদুস সালাম[৮] (জন্ম: ১৯২৫ সালাম নগর, দাগনভূঞা, ফেনী; মৃত্যু: এপ্রিল ৭, ১৯৫২) বাংলা ভাষা আন্দোলনের শহীদ।
  • আবদুল আউয়াল মিন্টু - শিল্পপতি,রাজনীতিবিদ ও সাবেক এফবিসিসিআই-এর চেয়াম্যান।

তথ্যসূত্র

  1. http://daganbhuiyan.feni.gov.bd/
  2. http://daganbhuiyan.feni.gov.bd/sites/default/files/Ak%20Najore%20Daganbhuiyan.pdf
  3. "দাগনভূঁইয়া উপজেলা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-০২ 
  4. "দাগনভূঁইয়া উপজেলা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-০২ 
  5. http://daganbhuiyan.feni.gov.bd/node/568642
  6. আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দাগনভূঁইয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
  7. আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; দাগনভূঁইয়া উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
  8. http://daganbhuiyan.feni.gov.bd/node/542040

বহিঃসংযোগ