ভুটান জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভুটান
দলের লোগো
ডাকনামড্রাগন বয়েজ
অ্যাসোসিয়েশনভুটান ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনএএফসি (এশিয়া)
প্রধান কোচপেমা দর্জি
অধিনায়ককর্মা শেদ্রুপ শেরিং
সর্বাধিক ম্যাচচেনচো গেইলশেন (৩৬)
শীর্ষ গোলদাতাচেনচো গেইলশেন (১০)
মাঠচাংলিমিথাং স্টেডিয়াম
ফিফা কোডBHU
ওয়েবসাইটwww.bhutanfootball.org
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৮৪ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ১৫৯ (জুন ২০১৫)
সর্বনিম্ন২০৯ (নভেম্বর ২০১৪ – মার্চ ২০১৫)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২২৯ বৃদ্ধি ৬ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ১৮৪ (এপ্রিল ১৯৮২)
সর্বনিম্ন২৩৪ (২০১৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
   নেপাল ৩–১ ভুটান 
(কাঠমান্ডু, নেপাল; ১ এপ্রিল ১৯৮২)
বৃহত্তম জয়
 ভুটান ৬–০ গুয়াম 
(থিম্পু, ভুটান; ২৩ এপ্রিল ২০০৩)
বৃহত্তম পরাজয়
 কুয়েত ২০–০ ভুটান 
(কুয়েত সিটি, কুয়েত; ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০০)
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ
অংশগ্রহণ১ (২০০৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০০৬)
এএফসি সলিডারিটি কাপ
অংশগ্রহণ১ (২০২০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যউত্তীর্ণ (২০২০)

ভুটান জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Bhutan national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভুটানের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ভুটানের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভুটান ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ২০০০ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৯৩ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৮২ সালের ১লা এপ্রিল তারিখে, ভুটান প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে ভুটান নেপালের কাছে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

১৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ড্রাগন বয়েজ নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন পেমা দর্জি এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন থিম্পু সিটির মধ্যমাঠের খেলোয়াড় কর্মা শেদ্রুপ শেরিং

ভুটান এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, এএফসি এশিয়ান কাপেও ভুটান এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়াও, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে ভুটান এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তাদের সাফল্য হচ্ছে গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করা।

চেনচো গেইলশেন, চিমি দর্জি, ওয়াঙ্গায় দর্জি, শেরিং দর্জি এবং পাসাং শেরিংয়ের মতো খেলোয়াড়গণ ভুটানের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে ভুটান তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৫৯তম) অর্জন করে এবং ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২০৯তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে ভুটানের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৮৪তম (যা তারা ১৯৮২ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২৩৪। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৮২ অপরিবর্তিত  বেলিজ ৯১৮.৬৮
১৮৩ অপরিবর্তিত  বাংলাদেশ ৯১৬.৭৫
১৮৪ অপরিবর্তিত  ভুটান ৯১৩.০২
১৮৫ অপরিবর্তিত  কুক দ্বীপপুঞ্জ ৮৯৭.৩
১৮৬ বৃদ্ধি  সামোয়া ৮৯৬.৭৮
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২২৭ বৃদ্ধি  ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৬৫৯
২২৮ অপরিবর্তিত  তিব্বত ৬৩০
২২৯ বৃদ্ধি  ভুটান ৬২০
২৩০ হ্রাস  মার্কিন ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ৬১৩
২৩১ হ্রাস  পূর্ব তিমুর ৬১০

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪
ফ্রান্স ১৯৯৮
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২
জার্মানি ২০০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০
ব্রাজিল ২০১৪
রাশিয়া ২০১৮ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ৫৩
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ১০ ৫৩

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]