বৈকুণ্ঠ গদ্যম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বৈকুন্ঠ গদ্যমের লেখক রামানুজের চিত্রকর্ম

বৈকুণ্ঠ গদ্যম ( সংস্কৃত: वैकुंठगद्यम् ) হল একটি সংস্কৃত প্রার্থনা যা ১১ শতকের শেষের দিকে হিন্দু দার্শনিক রামানুজ রচনা করেন। এটি শ্রী বৈষ্ণব দর্শনের প্রথম ভক্তি প্রার্থনাগুলির মধ্যে একটি ও এই শৈলীর অনেক প্রার্থনার উৎস। এটি শ্রীরঙ্গম সহ ১০৮টি দিব্য দেশম মন্দিরে পাঠ করা হয়। [১]

কিংবদন্তি[সম্পাদনা]

শ্রী বৈষ্ণব ঐতিহ্য অনুসারে, রামানুজ ও তার শিষ্যরা পাঙ্গুনি উত্তরামে শ্রীরঙ্গমের রঙ্গনাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন।

ঐতিহ্য অনুসারে, মন্দিরের দেবী রঙ্গনায়কীর জন্মের সময় উত্তরাম্ নক্ষত্র আরোহণ করেছিল। রামানুজ সেদিনের উৎসবের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রীরঙ্গ গদ্যমশরনাগতি গদ্যম রচনা করেন। ঐতিহ্য অনুসারে, দেবতা রঙ্গনাথকে এই রচনাগুলি আনন্দিত করেছিল বলে মনে করা হয়। সন্তুষ্ট হয়ে বিষ্ণু রামানুজকে তাঁর আবাস বৈকুণ্ঠ দর্শন করান। এটি রামানুজকে বৈকুণ্ঠ গদ্যম রচনা করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। [২]

বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]

বেদান্তের উপর রামানুজভাষ্যের বিপরীতে, বৈকুন্ঠ গদ্যম্ সম্পর্কে বিস্তারিত দার্শনিক বিতর্ক নেই। পরিবর্তে, এটি ভক্তির একটি বিশুদ্ধ অভিব্যক্তি ও একজন মুক্ত ব্যক্তির ( জীবনমুক্তি ) স্বচক্ষে দেখা বৈকুণ্ঠের বিশদ বিবরণ প্রদান করে। রামানুজ নারায়ণের পাদপদ্মে আত্মনিবেদন ( নারায়ণ সাযুজ্যম্ ) সালোক্যম্ (নারায়ণের ধাম অর্জন), সারূপ্যম্ (আত্মার বিশুদ্ধতা বা নারায়ণের সমান রূপ প্রাপ্ত হওয়া) ও সামীপ্যম্ (নারায়ণের নিকটে অবস্থান করা) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বার্তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি শেষ, গরুড়, বিষ্বকসেনের মতো ভক্তদের দ্বারা সম্পাদিত শাশ্বত কায়মকার্যম্ (নিবেদিত কার্য) কে মহিমান্বিত করেন। একজন ভক্তকে সমকক্ষদের মধ্যে প্রথম বলে মনে করা হয় ও ভক্ত বৈকুণ্ঠের জয়-বিজয়ের দ্বারপালসম পদ অর্জন করতে পারে। তারপর তিনি একটি সংক্ষিপ্ত আভাস দেন, "প্রচুর ধন" ভক্তিমূলক কার্য সম্পাদন করে এমন একজন ভক্তের জন্য অপেক্ষা করছে। [৩] দীর্ঘ ও সংক্ষিপ্ত বাক্য ও অনেক বিশেষণ বাক্যাংশ সহ প্রার্থনাটি গদ্যে রচিত হয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. K. Satchidananda Murty, S. Sankaranarayanan, Life, thought, and culture in India, c. AD 300-1000 - Project of History Indian Science, Philosophy, and Culture - 2002 Page 592 "... contexts of Visnu worship and three compact prose compositions of core significance for the doctrine he propounded, were composed on this god by Ramanuja, respectively Saranagati-gadhyam, Srirnga gadyam and Vaikuntha gadyam.:
  2. Juergensmeyer, Mark; Roof, Wade Clark (২০১২)। Encyclopedia of Global Religion (ইংরেজি ভাষায়)। SAGE। পৃষ্ঠা 1050। আইএসবিএন 978-0-7619-2729-7 
  3. Ramanujacharya, Sri। Sri Vaikuntha Gadyam (পিডিএফ)। ৪ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২৩