ইসমাইলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইসমাইলিবাদ (আরবি: الإسماعيلية, প্রতিবর্ণীকৃত: al-ʾIsmāʿīlīyah; ফার্সি: اسماعیلیان, প্রতিবর্ণীকৃত: Esmâ'īliyân) হল শিয়া ইসলামের একটি শাখা বা উপদল।[২][৩] ইসমাইলিরা ইসমাইল ইবনে জাফরকে তাঁর পিতা জাফর আস-সাদিকের নিযুক্ত আধ্যাত্মিক স্থলাভিষিক্ত (ইমাম) হিসাবে গ্রহণ করার ফলে তারা এই নাম লাভ করে, যা তাদের ইসনা আশারিয়াদের থেকে পৃথক করে যারা পক্ষান্তরে ইসমাইলের ছোট ভাই মুসা আল-কাজিমকে পরবর্তী ইমাম হিসেবে গ্রহণ করেছিল।[৪]

ইসমাইলি মতবাদ এক পর্যায়ে শিয়া ইসলামের বৃহত্তম শাখায় পরিণত হয়েছিল, দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে ফাতিমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে গিয়েছিল।[৫] ইসমাইলিরা তওহীদখতমে নবুয়তে বিশ্বাস করে এবং মুহাম্মদকে তারা “সমগ্র মানবতার প্রতি আল্লাহর চূড়ান্ত নবী ও রসূল” হিসাবে বিবেচনা করে। ইসমাইলি ও ইসনা আশারিয়া উভয়ই অভিন্ন প্রাথমিক ছয় ইমামকে গ্রহণ করে; ইসমাইলিরা ইসমাইল ইবনে জাফরকে সপ্তম ইমাম হিসাবে গ্রহণ করে।

খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে মুহম্মদ ইবনে ইসমাইলের মৃত্যুর পর ইসমাইলিবাদের শিক্ষাগুলো আরও রূপান্তরিত হয়ে আজকের বিশ্বাস ব্যবস্থায় পরিণত হয়, যা ইসলামের গভীর, গূঢ় (বাতিন) অর্থের উপর স্পষ্টভাবে গুরুত্বারোপ করে। উসুলিবাদআখবারিবাদের চূড়ান্তভাবে অধিকতর আক্ষরিকতামুখী (জাহির) বিকাশের সাথে সাথে শিয়া ইসলাম দুটি পৃথক দিকে বিকশিত হয়: রূপক ইসমাইলি, আলেভি, বেকতাশি, আলীয়ান এবং আলবীয় গোষ্ঠীগুলি ঈশ্বরের রহস্যবাদী পন্থা ও প্রকৃতি এবং এর পাশাপাশি “জমানার ইমামকে” গূঢ় সত্য এবং বোধগম্য ঐশ্বরিক বাস্তবতা প্রকাশের প্রতিনিধি হিসাবে গ্রহণের উপর মনোনিবেশ করে, অন্যদিকে অধিক আক্ষরিকতাবাদী উসুলি ও আখবারি দলগুলি দৈব আইন (শরীয়ত) এবং নবী মুহম্মদবারো ইমামের কর্ম ও বক্তব্যের (সুন্নত) প্রতি মনোনিবেশ করে।[৬]

ইসমাইলি চিন্তাধারা নয়াপ্লাতোবাদ দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত।[৭][৮]

সর্ববৃহৎ উপদল হল নিজারি ইসমাইলি এবং তারা চতুর্থ আগা খানকে ৪৯শ বংশানুক্রমিক ইমাম হিসাবে গণ্য করে,[৯] অন্যদিকে বাকি দলগুলি তৈয়িবি ইসমাইলি হিসাবে পরিচিত। বৃহত্তম ইসমাইলি জনগোষ্ঠী বাদাখশানে বসবাস করে,[৯] তবে মধ্য এশিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন, লেবানন, মালয়েশিয়া, সিরিয়া, ইরান, সৌদি আরব, ভারত, জর্ডান, ইরাক, পূর্ব আফ্রিকা, অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশদক্ষিণ আফ্রিকায় ইসমাইলিদের বসবাস রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ডত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রবসন নিয়েছে।[১০][১১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

স্থলাভিষেক সংকট[সম্পাদনা]

বিশ্বাস[সম্পাদনা]

সপ্তস্তম্ভ[সম্পাদনা]

ইমামত[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Badruddīn, Amir al-Hussein bin (20th Dhul Hijjah 1429 AH)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. Spencer C. Tucker ও Priscilla Roberts 2008, পৃ. 917।
  3. "Ismaʿili". Random House Webster's Unabridged Dictionary.
  4. "ISMAʿILISM" 
  5. "Religion of My Ancestors"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২৫ 
  6. "Shaykh Ahmad al-Ahsa'i"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২৫ 
  7. "Ismaili Philosophy | Internet Encyclopedia of Philosophy"www.iep.utm.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০১ 
  8. "Early Philosophical Shiism"Cambridge University Press। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-০১ 
  9. Aga Khan IV ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ নভেম্বর ২০১১ তারিখে
  10. Dr. Sarfaroz Niyozov, University of Toronto "Shiʻa Ismaili Tradition in Central Asia – Evolution, and Continuities and Changes"। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-২০ 
  11. Daftary, Farhad (১৯৯৮)। A Short History of the Ismailis। Edinburgh, UK: Edinburgh University Press। পৃষ্ঠা 1–4। আইএসবিএন 0-7486-0687-4