ইলিয়া প্রিগোজিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইলিয়া প্রিগোজিন
Prigogine in 1977
জন্ম
Ilya Romanovich Prigogine

(১৯১৭-০১-২৫)২৫ জানুয়ারি ১৯১৭
মৃত্যু২৮ মে ২০০৩(2003-05-28) (বয়স ৮৬)
জাতীয়তাBelgian (1949—)
মাতৃশিক্ষায়তনFree University of Brussels
পরিচিতির কারণDissipative structures
Brusselator
দাম্পত্য সঙ্গীHélène Jofé (m. 1945; son Yves Prigogine) Maria Prokopowicz (m. 1961; son Pascal Prigogine)
পুরস্কারFrancqui Prize (1955)
Rumford Medal (1976)
Nobel Prize in Chemistry (1977)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রChemistry
Physics
প্রতিষ্ঠানসমূহFree University of Brussels, Université libre de Bruxelles
International Solvay Institute
University of Texas, Austin
ডক্টরাল উপদেষ্টাThéophile de Donder
ডক্টরেট শিক্ষার্থী
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনLudwig Boltzmann
Alan Turing[১]
Henri Bergson[২]
Michel Serres[৩]
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেনYves Pomeau, Isabelle Stengers, Immanuel Wallerstein, Gilles Deleuze, Félix Guattari
ইলিয়া প্রিগোগিন এবং তার ছোট ছেলের সাথে ভিয়াচেস্লাভ বেলি, প্যাস্কেল

ভিসকাউন্ট ইলিয়া রোমানোভিচ প্রিগোজিন (২৫ জানুয়ারি [ওএস ১২ জানুয়ারি] ১৯১৭ - ২৮ মে ২০০৩) ছিলেন একজন নোবেল বিজয়ী ভৌত রসায়নবিদ।

জীবনী[সম্পাদনা]

প্রিগোজিন ১৯১৭ সালে সংঘটিত রাশিয়ান বিপ্লবের কয়েক মাস আগে মস্কোতে একটি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। [৪][৫][৬][৭][৮][৯] তার পিতা রোমান (রুভিম আব্রামোভিচ) প্রিগোজিন ইম্পেরিয়াল মস্কো টেকনিক্যাল স্কুলের একজন রাসায়নিক প্রকৌশলী ছিলেন; তার মা ইউলিয়া ভিখমান ছিলেন একজন পিয়ানো বাদক। তারা ১৯২১ সালে রাশিয়া ত্যাগ করেন। তারা প্রথম জার্মানিতে যান এবং ১৯১৯ সালে বেলজিয়ামে যান, যেখানে প্রিগোজিন ১৯৪৯ সালে বেলজিয়ামের নাগরিকত্ব লাভ করেন। তার ভাই আলেকজান্দ্রে (১৯১৩-১৯৯১) একজন অর্নিথোলজিস্ট হয়ে ওঠেন। [১০]

প্রিগোজিন ফ্রি ইউনিভার্সিটি অফ ব্রাসেলস-এ রসায়ন অধ্যয়ন করেন, তিনি ১৯৫০ সালে বিস্ববিদ্যালিটির অধ্যাপক হন। ১৯৫৯ সালে তিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইন্টারন্যাশনাল সলভাই ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিযুক্ত হন। ঐ বছর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন, যেখানে তিনি পরে রিজেন্টাল অধ্যাপক ও পদার্থবিজ্ঞান এবং রাসায়নিক প্রকৌশলের অ্যাশবেল স্মিথ অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনরিকো ফার্মি ইনস্টিটিউটের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৭ সালে অস্টিনে, তিনি সেন্টার ফর থার্মোডাইনামিক্স অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল মেকানিক্স প্রতিষ্ঠা করেন, যা এখন সেন্টার ফর কমপ্লেক্স কোয়ান্টাম সিস্টেমস নামে পরিচিত। [১১] ঐ বছর তিনি বেলজিয়ামে ফিরে আসেন, যেখানে তিনি সেন্টার ফর স্ট্যাটিস্টিক্যাল মেকানিক্স অ্যান্ড থার্মোডাইনামিক্সের পরিচালক হন।

তিনি অসংখ্য বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য ছিলেন ও অসংখ্য পুরস্কার এবং ৫৩টি সম্মানসূচক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে ইলিয়া প্রিগোজিন সঠিক বিজ্ঞানের জন্য ফ্রাঙ্কি পুরস্কার লাভ করেন। অপরিবর্তনীয় তাপগতিবিদ্যা অধ্যয়নের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে রামফোর্ড পদক লাভ করেন এবং ১৯৭৭ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি বেলজিয়ামের রাজা দ্বারা বেলজিয়ামের অভিজাত ব্যক্তিদের জন্য প্রচলিত ভ উপাধি লাভ করেন। তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, তিনি মিউনিখের ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক কমিশন অন ডিসট্যান্স এডুকেশন (কোড) এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। প্রিগোজিন ১৯৮৫ সালে [১২] হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৯৮ সালে মেক্সিকো সিটিতে ইউএনএএম কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

প্রিগোজিন প্রথম বেলজিয়ামের কবি হেলেন জোফেকে বিয়ে করেন এবং ১৯৪৫ সালে তাদের একটি ছেলে ছিল যার নাম ছিল ইয়েভস ছিল। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি ১৯৬১ সালে পোলিশ বংশোদ্ভূত রসায়নবিদ মারিয়া প্রোকোপোউইচ (মারিয়া প্রিগোজিন নামেও পরিচিত)কে বিয়ে করেন। ১৯৭০ সালে তাদের একটি পুত্র জন্মগ্রহণ করে। যার নাম ছিল প্যাসকেল। [১৩]

গবেষণা[সম্পাদনা]

প্রিগোজিন তার ডিডাকটিভ স্ট্রাকচারের সংজ্ঞার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ১৯৭৭ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইলিয়া প্রিগোজিন আবিষ্কার করেন যে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শক্তি আমদানি এবং বিচ্যুতি সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ আত্মপুনর্গঠন নতুন কাঠামোর আবির্ভাব ঘটাতে সক্ষম।

১৯৯৬ সালে ইসাবেল স্টেনগার্সের সহযোগিতায় লেখা রচিত লা ফিন ডেস সার্টিউডস নামক বইয়ে এবং ১৯৯৭ সালে ইংরেজিতে প্রকাশিত দ্য এন্ড অফ সার্টেইনিটি বইয়ে: সময়, শৃঙ্খলা এবং প্রকৃতির নতুন আইন ও যুক্তি দেখান।

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. H. Bunke, T. Kanade, H. Noltemeier (ed.), Modelling and Planning for Sensor Based Intelligent Robot Systems, World Scientific, 1995, p. 438.
  2. P. A. Y. Gunter (১৯৯১)। "Bergson and non-linear non-equilibrium thermodynamics: an application of method"। Revue Internationale de Philosophie45 (177): 108–21। 
  3. Michel Serres, Hermes, Johns Hopkins University Press, 1982, p. 135.
  4. Leroy, Francis (১৩ মার্চ ২০০৩)। Francis Leroy. A century of Nobel Prizes recipients: chemistry, physics, and medicine (p. 80)আইএসবিএন 9780203014189। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১২ 
  5. "Vicomte Ilya Prigogine (Obituary, The Telegraph)"Telegraph। ৫ জুন ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১২ 
  6. Ramage, Magnus; Shipp, Karen (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। Magnus Ramage, Karen Shipp. Systems Thinkers (p. 227)আইএসবিএন 9781848825253। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১২ 
  7. "Andrew Robinson. Time and notion"। Timeshighereducation.co.uk। ১৭ জুলাই ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১২ 
  8. "Time and Change"। Chaosforum.com। ২৮ মে ২০০৩। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১২ 
  9. "Biography of Ilya Prigogine"। Pagerankstudio.com। ২৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১২ 
  10. Louette, Michel (১৯৯২)। "Obituary: Alexandre Prigogine (1913–1991)"Ibis134: 89–90। ডিওআই:10.1111/j.1474-919X.1992.tb07238.x 
  11. "Nobel Prize-winning physical chemist dies in Brussels at age 86"। Utexas.edu। ২৮ মে ২০০৩। ২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১২ 
  12. "Heriot-Watt University Edinburgh: Honorary Graduates"www1.hw.ac.uk। ১৮ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  13. Ilya Prigogine. (2003). Curriculum Vitae of Ilya Prigogine In Is future given. World Scientific.

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Karl Grandin, ed. (১৯৭৭)। "Ilya Prigogine Autobiography"Les Prix Nobel। The Nobel Foundation। ৪ ডিসেম্বর ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০০৮ 
  • Eftekhari, Ali (২০০৩)। "Obituary – Prof. Ilya Prigogine (1917–2003)" (পিডিএফ)Adaptive Behavior11 (2): 129–131। এসটুসিআইডি 221315813ডিওআই:10.1177/10597123030112005। ২৭ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  • Barbra Rodriguez (২৮ মে ২০০৩)। "Nobel Prize-winning physical chemist dies in Brussels at age 86"। University of Texas at Austin। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০০৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]