সাউথ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল
কর্মীবৃন্দ | |||
---|---|---|---|
অধিনায়ক | ট্রাভিস হেড | ||
কোচ | জেমি সিডন্স | ||
দলের তথ্য | |||
রং | লাল সাদা ও কালো | ||
প্রতিষ্ঠা | ১৮৮৭ | ||
স্বাগতিক মাঠ | অ্যাডিলেড ওভাল | ||
ধারণক্ষমতা | ৫০,০০০[১] | ||
ইতিহাস | |||
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | তাসমানিয়া ১৮৮৭ সালে অ্যাডিলেড ওভাল | ||
শেফিল্ড শিল্ড জয় | ১৩: (১৮৯৪, ১৯১০, ১৯১৩, ১৯২৭, ১৯৩৬, ১৯৩৯, ১৯৫৩, ১৯৬৪, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৭৬, ১৯৮২, ১৯৯৬) | ||
ওয়ান-ডে কাপ জয় | ৩ (১৯৮৪, ১৯৮৭, ২০১২) | ||
বিগ ব্যাশ জয় | ১ (২০১১) | ||
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | West End Redbacks | ||
|
সাউথ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বা দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল (ইংরেজি: South Australia cricket team) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডভিত্তিক অস্ট্রেলিয়ার পুরুষদের পেশাদারী প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল। সাউদার্ন রেডব্যাকস ডাকনামে পরিচিত ওয়েস্ট এন্ড রেডব্যাকস দলটি অ্যাডিলেড ওভালে নিজেদের খেলাগুলো আয়োজন করে থাকে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ক্রিকেট দলটি শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতা ও সীমিত ওভারের মার্শ ওয়ান-ডে কাপ প্রতিযোগিতায় রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে। মার্শ ওয়ান-ডে কাপে লাভ ও কালো রঙের পোশাক পরিধান করে। ওয়েস্ট এন্ডের সাথে ব্যবসায়িক চুক্তির কারণে দলটি ওয়েস্ট এন্ড রেডব্যাকস নামে পরিচিতি পাচ্ছে। অধুনা বিলুপ্ত কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ প্রতিযোগিতায় রেডব্যাকস দল খেলেছে। তবে, এ লীগের পরিবর্তে বিগ ব্যাশ লীগ হবার ফলে ২০১১ সালে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]নভেম্বর, ১৮৭৭ সালে অ্যাডিলেড ওভালে তাসমানিয়ার বিপক্ষে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দল তাদের প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল বলে জানা যায়।[৩] ১৮৯২-৯৩ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডের উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই সাউথ অস্ট্রেলিয়া দল শিল্ডের শিরোপা জয়ে সমর্থ হয়। এ পর্যন্ত দলটি ১৩বার প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জয় করে। রাইওবি ওয়ান ডে কাপ নামে বর্তমানে পরিচিত একদিনের প্রতিযোগিতায় দুইবার শিরোপা লাভ করে। এছাড়াও, এছাড়াও, কেএফসি ২০/২০ বিগ ব্যাশ ট্রফির বর্তমান শিরোপা লাভের অধিকারী। ২০১০/১১ মৌসুমে অ্যাডিলেড ওভালের চূড়ান্ত খেলায় এনএসডব্লিউকে পরাভূত করে। কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ ট্রফিরও শিরোপা জয় করে। বর্তমানে লীগটি বিলুপ্ত ও বিগ ব্যাশ লীগ এর স্থলাভিষিক্ত হয়।
অতীতের অনেক সফলতম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সম্মিলন সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ঘটেছে। ১৯২০ ও ৩০-এর দশকে ক্ল্যারি গ্রিমেট দলটিতে খেলেছেন। সর্বমোট ৬৬৮ উইকেট নিয়ে রাজ্য দলের রেকর্ড গড়েন যা অদ্যাবধি অক্ষত রয়েছে। ১৯৩৪ সালে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান ক্লাবে যোগ দেন। প্রথম তিন ইনিংসে তিনি ১১৭, ২৩৩ ও ৩৫৭ রান তুলেন। অন্যান্যদের মধ্যে চ্যাপেল ভ্রাতৃদ্বয় - গ্রেগ চ্যাপেল ও ইয়ান চ্যাপেল, ডেভিড হুকস, ড্যারেন লেহম্যান, গিল ল্যাংলি, জেসন গিলেস্পি ও টেরি জেনার অন্যতম।
এছাড়াও, সাউথ অস্ট্রেলিয়া দল বিদেশী খেলোয়াড়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তন্মধ্যে, বিখ্যাত অল-রাউন্ডার গ্যারি সোবার্স ১৯৬০-এর দশকে তিন মৌসুম ও ব্যারি রিচার্ডস খেলেন। রিচার্ডস মাত্র এক মৌসুম সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলে খেলেন। তবে, এক মৌসুমেই রাজ্য দলীয় রেকর্ড গড়েন। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে ১৫৩৮ রান তুলেছিলেন তিনি।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]শেফিল্ড শিল্ড/পুরা কাপ (১৩)
- ১৯৬৩-৬৪
- ১৯৬৮-৬৯
- ১৯৭০-৭১
- ১৯৭৫-৭৬
- ১৯৮১-৮২
- ১৯৯৫-৯৬
ওয়ান-ডে কাপস (৩)
- ১৯৮৩-৮৪
- ১৯৮৬-৮৭
- ২০১১-১২
কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ/বিগ ব্যাশ লীগ (১)
- ২০১০-১১
প্রথম-শ্রেণীর রেকর্ড
[সম্পাদনা]সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বাধিক রান[৪]
খেলোয়াড় | মেয়াদকাল | খেলার সংখ্যা | ইনিংস | অপরাজিত | রান | সর্বোচ্চ | গড় | ১০০ | ৫০ | ০ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ড্যারেন লেহম্যান | ১৯৮৭ - ২০০৭ | ১১৯ | ২১৮ | ১৪ | ১১৬২২ | ৩০১* | ৫৬.৯৭ | ৩৯ | ৪১ | ১৪ |
গ্রেগ ব্লিউয়েট | ১৯৯১ - ২০০৬ | ১১৭ | ২২৩ | ১৩ | ৯৬৮২ | ২৬৮ | ৪৬.১০ | ২৩ | ৪৮ | ১৫ |
ডেভিড হুকস | ১৯৭৫ - ১৯৯২ | ১২০ | ২০৫ | ৯ | ৯৩৬৪ | ৩০৬* | ৪৭.৭৭ | ২৬ | ৩৩ | ১৪ |
ইয়ান চ্যাপেল | ১৯৬২ - ১৯৮০ | ৮৯ | ১৫৭ | ১৩ | ৭৬৬৫ | ২০৫* | ৫৩.২২ | ২২ | ৪৫ | ৯ |
নীল ড্যানসি | ১৯৫০ - ১৯৬৭ | ১০৭ | ১৯৬ | ৬ | ৬৬৯২ | ১৮৫ | ৩৫.২২ | ১৭ | ৩২ | ৯ |
অ্যান্ড্রু হিলডিচ | ১৯৮২ - ১৯৯২ | ৯১ | ১৬১ | ১১ | ৬৫০৪ | ২৩০ | ৪৩.৩৬ | ১৭ | ৩২ | ১০ |
ক্লেম হিল | ১৮৯৪ - ১৯২৩ | ৬৮ | ১২৬ | ৬ | ৬২৭০ | ৩৬৫* | ৫২.২৫ | ১৮ | ২৭ | ৫ |
পিটার স্লিপ | ১৯৭৭ - ১৯৯৩ | ১২৭ | ২১১ | ৩৭ | ৬১০৬ | ১৪৬* | ৩৫.০৯ | ১২ | ২৯ | ১৭ |
ভিক রিচার্ডসন | ১৯১৯ - ১৯৩৭ | ৭৭ | ১৪৬ | ৭ | ৬০২৭ | ২০৩ | ৪৩.৩৫ | ১৮ | ২৭ | ৭ |
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান:
- ডন ব্র্যাডম্যান - ৩৬৯ ব তাসমানিয়া, ১৯৩৫-৩৬
সর্বাধিক শতরান:
মৌসুমে সর্বাধিক রান:
- ব্যারি রিচার্ডস - ১৫৩৮, ১৯৭০-৭১
সর্বোচ্চ রানের জুটি:
- ডেভিড হুকস - ওয়েন ফিলিপস ৪৬২* ব তাসমানিয়া, ১৯৮৬-৮৭
দলগত সর্বোচ্চ রান:
- ৮২১/৭ডি. ব কুইন্সল্যান্ড, ১৯৩৯-৪০
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বাধিক উইকেট[৫]
খেলোয়াড় | উইকেট সংখ্যা | সময়কাল |
---|---|---|
ক্ল্যারি গ্রিমেট | ৬৬৮ | ১৯২৪/২৫ - ১৯৪০/৪১ |
অ্যাশলে মলেট | ৪১৫ | ১৯৬৭/৬৮ - ১৯৮০/৮১ |
জর্জ গিফেন | ৪১১ | ১৮৭৭/৭৮ - ১৯০৩/০৪ |
মৌসুমে সর্বাধিক উইকেট লাভ:
- শন টেইট - ৬৫
ইনিংসে সর্বাধিক উইকেট লাভ:
- টিম ওয়াল - ১০/৩৬ ব এনএসডব্লিউ, ১৯৩২-৩৩
খেলায় সর্বাধিক উইকেট লাভ:
- জর্জ গিফেন - ১৭/২০১ ব ভিক্টোরিয়া, ১৮৮৫-৮৬
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Government of South Australia (2013), Adelaide Oval Redevelopment ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ মার্চ ২০১৯ তারিখে, Department of Planning, Transport & Infrastructure, retrieved 14 September 2013
- ↑ "Index of /"। www.bigbashleague.com.au। ৬ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "The Home of CricketArchive"। cricketarchive.com।
- ↑ "Most Runs for South Australia"। Cricket Archive।
- ↑ "Most Wickets for South Australia"। Cricket Archive।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official Website of the South Australia cricket team
- Official Website of Cricket Australia
- Article on team's history from Cricinfo