বিষয়বস্তুতে চলুন

ষষ্ঠ জর্জ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ষষ্ঠ জর্জ
আনুষ্ঠানিক চিত্র, আনুমানিক ১৯৪০-৪৬ এর মধ্যবর্তী সময়কাল
যুক্তরাজ্যের রাজা
এবং ব্রিটিশ উপনিবেশ (more...)
রাজত্ব১১ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ – ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২
ব্রিটেন১২ মে, ১৯৩৭
পূর্বসূরিঅষ্টম এডওয়ার্ড
উত্তরসূরিদ্বিতীয় এলিজাবেথ
প্রধানমন্ত্রীতালিকা দেখুন
ভারতের সম্রাট
রাজত্ব১১ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ – ১৫্আগস্ট, ১৯৪৭
পূর্বসূরিঅষ্টম এডওয়ার্ড
জন্ম(১৮৯৫-১২-১৪)১৪ ডিসেম্বর ১৮৯৫
ইয়র্ক কটেজ, সেন্ড্রিংহ্যাম হাউজ, নরফোক, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২(1952-02-06) (বয়স ৫৬)
সেন্ড্রিংহ্যাম হাউজ, নরফোক
সমাধি১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২
দাম্পত্য সঙ্গীএলিজাবেথ বোয়েস-লিওন
বংশধরদ্বিতীয় এলিজাবেথ
প্রিন্সেস মার্গারেট, কাউন্টেস অব স্নোডন
পূর্ণ নাম
আলবার্ট ফ্রেডেরিক আর্থার জর্জ
রাজবংশহাউজ অব উইন্ডসর
পিতাপঞ্চম জর্জ
মাতামেরি অব টেক

ষষ্ঠ জর্জ (ইংরেজি: George VI, জন্ম: ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৯৫ - মৃত্যু: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২) যুক্তরাজ্যের রাজাসহ ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোর সম্রাট ছিলেন।[][] তিনি তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অষ্টম এডওয়ার্ডের অস্বীকৃতিজনিত কারণে রাজা হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন। ১১ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ সালে রাজ্যাভিষেক ঘটিয়ে মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত নিজ দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যু পরবর্তীকালে রাজ্যভার অর্পিত হয় তারই সুযোগ্যা জ্যেষ্ঠা কন্যা রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাঁধে।

তার পুরো নাম আলবার্ট ফ্রেডেরিক আর্থার জর্জ। কিন্তু জনসমক্ষে ও বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ জর্জ নামেই তিনি পরিচিত।

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

তার প্রপিতামহী রাণী ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি সম্রাট পঞ্চম জর্জ, ডিউক অব ইয়র্কের দ্বিতীয় পুত্র সন্তান ছিলেন। রাজা পঞ্চম জর্জ ছিলেন রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড এবং রাণী আলেকজান্দ্রার ২য় সন্তান। তার মা ডাচেস অব ইয়র্ক (পরবর্তীতে রাণী মেরি) ছিলেন ফ্রান্সিস, ডিউক অব টেক এবং ডাচেস অব টেকেরে জ্যেষ্ঠা সন্তান ও একমাত্র কন্যা।[] দ্বিতীয় পুত্র হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ষষ্ঠ জর্জ রাজ্যের শাসনভার গ্রহণের জন্যে প্রস্তুত ছিলেন না। শৈশবের অধিকাংশ সময়ই তিনি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা এডওয়ার্ডের ছত্রচ্ছায়ায় ব্যয় করতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি রাজকীয় নৌবাহিনী এবং রাজকীয় বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি জনসমক্ষে হাজির হন। ১৯২৩ সালে এলিজাবেথ বোয়েজ-লিওন নামীয় এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তাদের সংসারে এলিজাবেথ এবং মার্গারেট নামীয় দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজা ৬ষ্ঠ জর্জের দেহাবসান ঘটেছিল।

ক্ষমতায় আরোহণ

[সম্পাদনা]

১৯৩৬ সালে পিতার মৃত্যুর পর ৮ম এডওয়ার্ড সিংহাসনে আরোহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ঐ বছরই ওয়ালিস সিম্পসন নামীয় আমেরিকার এক তালাকপ্রাপ্তা রমণীর সাথে সংসার করার ইচ্ছা পোষণ করলে তার পরিবর্তে ৬ষ্ঠ জর্জ ক্ষমতাভার গ্রহণ করতে বাধ্য হন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্ট্যানলি বল্ডুইন এডওয়ার্ডকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কারণে তিনি মিসেস সিম্পসনকে বিয়ে করতে পারেন না। কিন্তু সিম্পসনকে বিয়ে করার ফলে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে জর্জ হাউজ অব উইন্ডসরে তৃতীয় সম্রাট হিসেবে আবির্ভূত হন।

৬ষ্ঠ জর্জের কণ্ঠস্বরে সমস্যা ছিল যা তোতলামি নামে পরিচিত। এরফলে তিনি রাজকীয় অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট হতে পারেননি। লিওনেল লগ নামীয় বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান কণ্ঠস্বর এবং ভাষা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার এ সমস্যা দূরীভূত হয়।[]

প্রতিক্রিয়া

[সম্পাদনা]

১১ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ সালে ষষ্ঠ জর্জ সিংহাসনে আরোহণ করেন। একই দিনে আইরিশ ফ্রি স্টেট তাদের সংবিধান থেকে ব্রিটিশ সম্রাট পদবীটি বাতিল করে দেয়। তার শাসনামলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহ স্বাধীনতা লাভ করে। ক্ষমতায় আরোহণের তিন বছর পর আইরিশ ফ্রি স্টেট ব্যতীত অন্যান্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভূক্ত উপনিবেশ এবং কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহ নাজি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী দুই বছরে ইতালি এবং জাপানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ব্রিটেন এবং তার মিত্ররা অবশ্যম্ভাবী জয়লাভ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন বিশ্ব রাজনীতিতে বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে উদিত হয় ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থবির হয়ে পড়ে।

অন্যান্য পদ

[সম্পাদনা]

তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বশেষ সম্রাট ছিলেন। পাশাপাশি কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. London Gazette: no. 26689, p. 7267, 14 December 1895. Retrieved 2011-04-30
  2. London Gazette: no. 39458, p. 757, 6 February 1952. Retrieved 2011-04-30
  3. Rhodes James, p. 90; Weir, p. 329
  4. Weir, pp. 322–323, 329
  5. ""Stuttering and the King's Speech". stutteringhelp.org. 2011 [last update]. Retrieved 30 April 2011"। ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]