দ্বিতীয় ইবরাহিম খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৪ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:
==ঐতিহাসিক সাক্ষী==
==ঐতিহাসিক সাক্ষী==
সম্রাট শাহজাহানের শেষ বয়সে, যখন তার উত্তরাধিকার নিয়ে পুত্রদের মধ্যে বিদ্রোহ বেধে যায় তখন তিনি যুদ্ধের সময়য় দারার পক্ষ নিয়েছিলেন। দারার পতন ঘটলে তিনি মুরাদের অধীনে চাকরি নেন এবং এরপর তিনি [[আওরঙ্গজেব|আওরঙ্গজেবের]] সভায় চাকরিতে যোগ দেন। তিনি এরপর গভর্নরের আদেশে কাশ্মীর, লাহোর ও বিহারের সুবাহদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাঁর পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ হাজারি মনসবে উন্নীত হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি তার পদ পাঁচ হাজারি মনসব থেকে পদত্যাগ করেন এবং তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে তিনি পুনরায় কাশ্মীরের সুবাহদার হিসেবে যোগ দেন। ১৬৮৩ সালে তার পুত্র ফিদাই খানের সাহায্যে তিনি তিব্বত যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সম্রাট তার এই কাজে খুশি হয়ে তার জন্য প্রশংসাসংবলিত চিঠি পাঠান এবং তার সাথে উপহারস্বরুপ বিশেষ পদমর্যাদাসূচক এক প্রস্থ পোশাক, সাত হাজার টাকা মূল্যের ইলাকা মুক্তাসহ রত্নখচিত একটি ফুলকাটারা তরবারি, দুই শত মোহর মূল্যের একটি স্বর্ণসজ্জিত আরবীয় [[ঘোড়া]] এবং সম্রাটের নিজের হাতিশালা থেকে পনেরো হাজার টাকা মূল্যের একটি [[হাতি]] উপহার দেন।<ref name=bpedia/>
সম্রাট শাহজাহানের শেষ বয়সে, যখন তার উত্তরাধিকার নিয়ে পুত্রদের মধ্যে বিদ্রোহ বেধে যায় তখন তিনি যুদ্ধের সময়য় দারার পক্ষ নিয়েছিলেন। দারার পতন ঘটলে তিনি মুরাদের অধীনে চাকরি নেন এবং এরপর তিনি [[আওরঙ্গজেব|আওরঙ্গজেবের]] সভায় চাকরিতে যোগ দেন। তিনি এরপর গভর্নরের আদেশে কাশ্মীর, লাহোর ও বিহারের সুবাহদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাঁর পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ হাজারি মনসবে উন্নীত হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি তার পদ পাঁচ হাজারি মনসব থেকে পদত্যাগ করেন এবং তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে তিনি পুনরায় কাশ্মীরের সুবাহদার হিসেবে যোগ দেন। ১৬৮৩ সালে তার পুত্র ফিদাই খানের সাহায্যে তিনি তিব্বত যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সম্রাট তার এই কাজে খুশি হয়ে তার জন্য প্রশংসাসংবলিত চিঠি পাঠান এবং তার সাথে উপহারস্বরুপ বিশেষ পদমর্যাদাসূচক এক প্রস্থ পোশাক, সাত হাজার টাকা মূল্যের ইলাকা মুক্তাসহ রত্নখচিত একটি ফুলকাটারা তরবারি, দুই শত মোহর মূল্যের একটি স্বর্ণসজ্জিত আরবীয় [[ঘোড়া]] এবং সম্রাটের নিজের হাতিশালা থেকে পনেরো হাজার টাকা মূল্যের একটি [[হাতি]] উপহার দেন।<ref name=bpedia/>
==বাংলার সুবাহদার হিসেবে==
শেষ বয়সে তাকে বাংলার সুবাহদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তখন তার শখ ছিলো বিভিন্ন ফার্সি বই পড়া। কিন্তু তিনি এর পাশাপাশি কৃষি ও বাণিজ্যে উন্নতি করেছিলো, এর পাশাপাশি তিনি সবসময় ন্যায়বিচার করতো যার কারণে ইংরেজ বণিকরা তাকে খুব পছন্দ করতো।

বাংলার সুবাহদার হিসেবে তার প্রথম কাজ ছিলো সম্রাটের আদেশে ঢাকায় আটককৃত ইংরেজ বণিকদের মুক্ত করা। এ সম্পর্কে ইতিহাসবিদ চার্লস স্টুয়ার্ট মনে করেন যে "সম্রাট নিশ্চই ইংরেজ বাণিজ্য থেকে আসা রাজস্ব আয় হারাতে চাননি, তাদের এ করের বার্ষিক পরিমাণ ছিলো ৮৭হাজার পাউন্ড। তাছাড়া সমুদ্রপথে ইংরেজরা অনেক শক্তিশালী ছিলো, তারা ইচ্ছে করলে মক্কায় হজ যাত্রায় বাধা দিতে পারতো।"<ref name=bpedia/>


==আরও দেখুন==
==আরও দেখুন==

১৮:১৬, ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইবরাহিম খান (সময়কাল: ১৬৮৯-১৬৯৭) (মৃত্যু-১৭০১) হলেন আওরঙ্গজেব এর রাজত্বে বাংলার শেষ সুবেদার। তার একমাত্র পুত্রের নাম ওয়াজির ইব্রাহিম খান(১৬৫৪-১৭১৩) জাহানদার শাহ এর সম্রাজ্যে দিওয়ান ছিলেন। ফর‌রুখসিয়ার এর আদেশে তাকে হত্যা করা হয়।

ইবরাহিম খান
আজিম-উস-শান
রাজত্ব১৬৮৯ - ১৬৯৭
পূর্বসূরিখান জাহান বাহাদুর
উত্তরসূরিআজিম-উস-শান
মৃত্যু১৭০১
পিতাআমীর আলি মর্দান খান জিগ
ধর্মইসলাম

তিনি ছিলেন সম্রাট শাহজাহান এর দরবারের পারস্য দেশিয় বিখ্যাত আমীর আলী মর্দান খান জিগের জ্যেষ্ঠ পুত্র। পিতার মৃত্যুর ইবরাহিম খানকে চার হাজার মনসেব প্রধান করা হয়।

প্রাথমিক জীবন

তিনি আলি মার্দান খান এর বড় ছেলে। আলি মর্দান খান অভিজাত পার্সিয়ান বংশের সন্তান ছিলেন।[১] পূর্বে তিনি বাংলার গভর্নর এর আদেশে কাশ্মীর, লাহোর এবং বিহারে সুবেদার এর দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] যবরদস্ত খান নামে তার একটি পুত্র ছিলো।[১]

সময়কাল

তার সময়ে বেশকিছু ইংরেজ এবং ফ্রান্স ব্যবসায়ীদের বাংলায় ব্যবসায়ীক লেনদেন করার অনুমতি দেওয়া হয়। ১৬৯৫-১৬৯৬ সালের দিকে তিনি চন্দ্রকোনা জমিদারের বিদ্রোহ ঠেকাতে ব্যার্থ হন। এরপর ১৯৯৭ সালে আওরঙ্গজেবের নিজের নাতি আজিম-উস-শানকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন।

ঐতিহাসিক সাক্ষী

সম্রাট শাহজাহানের শেষ বয়সে, যখন তার উত্তরাধিকার নিয়ে পুত্রদের মধ্যে বিদ্রোহ বেধে যায় তখন তিনি যুদ্ধের সময়য় দারার পক্ষ নিয়েছিলেন। দারার পতন ঘটলে তিনি মুরাদের অধীনে চাকরি নেন এবং এরপর তিনি আওরঙ্গজেবের সভায় চাকরিতে যোগ দেন। তিনি এরপর গভর্নরের আদেশে কাশ্মীর, লাহোর ও বিহারের সুবাহদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাঁর পদমর্যাদা বৃদ্ধি পেয়ে পাঁচ হাজারি মনসবে উন্নীত হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি তার পদ পাঁচ হাজারি মনসব থেকে পদত্যাগ করেন এবং তা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালে তিনি পুনরায় কাশ্মীরের সুবাহদার হিসেবে যোগ দেন। ১৬৮৩ সালে তার পুত্র ফিদাই খানের সাহায্যে তিনি তিব্বত যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সম্রাট তার এই কাজে খুশি হয়ে তার জন্য প্রশংসাসংবলিত চিঠি পাঠান এবং তার সাথে উপহারস্বরুপ বিশেষ পদমর্যাদাসূচক এক প্রস্থ পোশাক, সাত হাজার টাকা মূল্যের ইলাকা মুক্তাসহ রত্নখচিত একটি ফুলকাটারা তরবারি, দুই শত মোহর মূল্যের একটি স্বর্ণসজ্জিত আরবীয় ঘোড়া এবং সম্রাটের নিজের হাতিশালা থেকে পনেরো হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতি উপহার দেন।[১]

বাংলার সুবাহদার হিসেবে

শেষ বয়সে তাকে বাংলার সুবাহদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তখন তার শখ ছিলো বিভিন্ন ফার্সি বই পড়া। কিন্তু তিনি এর পাশাপাশি কৃষি ও বাণিজ্যে উন্নতি করেছিলো, এর পাশাপাশি তিনি সবসময় ন্যায়বিচার করতো যার কারণে ইংরেজ বণিকরা তাকে খুব পছন্দ করতো।

বাংলার সুবাহদার হিসেবে তার প্রথম কাজ ছিলো সম্রাটের আদেশে ঢাকায় আটককৃত ইংরেজ বণিকদের মুক্ত করা। এ সম্পর্কে ইতিহাসবিদ চার্লস স্টুয়ার্ট মনে করেন যে "সম্রাট নিশ্চই ইংরেজ বাণিজ্য থেকে আসা রাজস্ব আয় হারাতে চাননি, তাদের এ করের বার্ষিক পরিমাণ ছিলো ৮৭হাজার পাউন্ড। তাছাড়া সমুদ্রপথে ইংরেজরা অনেক শক্তিশালী ছিলো, তারা ইচ্ছে করলে মক্কায় হজ যাত্রায় বাধা দিতে পারতো।"[১]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Chatterjee, Anjali (২০১২)। "Ibrahim Khan"Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh 
পূর্বসূরী
খান জাহান বাহাদুর
বাংলার সুবেদার
১৬৮৯-১৬৯৭
উত্তরসূরী
আজিম-উস-শান