বাপ্পা মজুমদার

বাপ্পা মজুমদার
জন্ম	শুভাশিস মজুমদার বাপ্পা (1972-02-05) ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তা	বাংলাদেশী
অন্যান্য নাম	বাপ্পা দা
নাগরিকত্ব	বাংলাদেশী
পেশা	সঙ্গীতশিল্পী গীতিকার সুরকার
কর্মজীবন	১৯৯৩–বর্তমান
পরিচিতির কারণ	দলছুট
দাম্পত্য সঙ্গী	মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী (২০০৮–২০১৭) তানিয়া হোসাইন (২০১৮-
পিতা-মাতা	বারীণ মজুমদার (বাবা) ইলা মজুমদার (মা)
সঙ্গীত কর্মজীবন
উদ্ভব	ঢাকা
বাদ্যযন্ত্র	কণ্ঠ গিটার
লেবেল	জি-সিরিজ সঙ্গীতা সাউন্ডটেক
ওয়েবসাইট	www.bappa-mazumder.com

শুভাশিস মজুমদার বাপ্পা (জন্ম: ৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২), যিনি বাপ্পা মজুমদার নামে অধিক পরিচিত, একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার। তরুণ ভক্তদের কাছে সমসাময়িক গান এবং চলাফেরার কারণে তিনি বাপ্পা দা নামে পরিচিত। তিনি মূলত বাংলা রোমান্টিক গানের জন্য পরিচিত। তার ব্যান্ড, দলছুট। তিনি ব্যান্ড এবং নিজের জন্যই গান লেখার পাশাপাশি তিনি অন্যান্য শিল্পীদের জন্যেও গান লিখেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বাংলাদেশের আরেকজন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবীর সাথে একটি গানের অ্যালবাম রেকর্ড এবং পরিবেশন করেছেন, যা বাংলাদেশের পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙেছে। তিনি চ্যানেল ওয়ানে টেলিভিশন অনুষ্ঠান দ্য ওয়ান, অ্যা মিউজিকাল টক শো-এর উপস্থাপনা করেছেন। পরবর্তীকালে ২০১০ সালে এই টেলিভিশন চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। তার একক অ্যালবাম, সূর্যস্নানে চল ২০০৮ সালে বের হয়। সপ্তম একক অ্যালবাম, দিন বাড়ি যায়, প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এক মুঠো গান ২, বের হয় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই প্রকাশিত হয় তার দশম একক অ্যালবাম জানি না কোন মন্তরে। তিনি সমসাময়িক অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পীদের সাথেও কাজ করেছেন, এর মধ্যে রয়েছেন, সামিনা চৌধুরী, ফুয়াদ আল মুকতাদির, শায়ান চৌধুরী অর্ণব, মিলা ইসলাম, দিলশাদ নাহার কনা, এলিটা করিম।

প্রাথমিক জীবন

শুভাশিস মজুমদার বাপ্পা ১৯৭২ সালে জন্ম নেন। তার বাবা সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ বারীণ মজুমদার এবং মা ইলা মজুমদার। তিনি একটি সঙ্গীত পরিবারের মধ্যে বেড়ে উঠেন। বাবা-মা দুজনই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী হওয়ায় তাকে বাড়ির বাইরে গান শিখতে যেতে হয় নি। তার সঙ্গীতের হাতেখড়ি শুরু হয় পরিবারের কাছ থেকে। পরবর্তীকালে, সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ বারীন মজুমদারের সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মণিহার সঙ্গীত একাডেমী-তে তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর পাঁচ বছর মেয়াদী একটি কোর্স গ্রহণ করেন। যদিও তিনি বলেন, “আমি মনে করি না ক্লাসিকাল গানের এই প্রশিক্ষণ পর্যাপ্ত এবং তাই এই ধরনের গান গাওয়ার জন্য রত থাকতে পারি না”। তিনি সঙ্গীত জীবন শুরু করেন গিটারবাদক হিসেবে। প্রাথমিক সঙ্গীত জীবনে তিনি প্রায় বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের সাথে গান গেয়েছেন। তিনি সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৯৫ সালে তার প্রথম অ্যালবাম তখন ভোর বেলা প্রকাশের মাধ্যমে। এরপর থেকে তিনি এযাবৎ নয়টি স্টুডিও এ্যালবাম প্রকাশ করেন এবং ২০০-এর বেশি এ্যালবামের প্রযোজনা করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

২০০৮ সালের ২১ মার্চ মেহবুবা মাহনূর চাঁদনীকে বিয়ে করেন, যিনি একজন বাংলাদেশী মডেল, টেলিভিশন অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন প্রযুক্তি আসক্ত ব্যক্তি যিনি কম্পিউটার গেমস, গান এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন।

ডিস্কোগ্রাফি

ব্যান্ড

দলছুট

গানের নাম	অ্যালবাম
গিটার	আহ (১৯৯৭)
সাদা ময়লা রঙ্গিলা
কাগা
তখন ছিল
ভর দুপুর
নিষিদ্ধ
দলছুট
বাজি	হৃদয়পুর (২০০০)
নৌকা ভ্রমন
জলের দামে
আমার সন্তান
সবুজ যখন
বৃষ্টি পরে
চলো বুবাইজান
আন্তর্জাতিক ভিক্ষা সংগীত
চাঁদের শহরে	আকাশ চুরি (২০০২)
ফিরে চাই
জোর
ভেঙে পথ
আকাশ চুরি
ফেরারি সময়
অপেক্ষা
বায়োস্কোপে
মন ছুঁয়েছো	জোছনা বিহার (২০০৭)
সবুজ খুজি
জোছনা বিহার
দিন সারা দিন
অরূপ অভিলাষী
চার দেয়াল
আকুতি
মেঘপিয়ন
জোছনা বিহার ২
টুকরো কথা	টুকরো কথা (২০০৮)
বালিকা	আয় আমন্ত্রণ (২০১০)
বিদ্রুপ
শমনে দারা
জলের প্রেমে
উড়াল মন
স্বপ্ন
শূন্য
প্রশ্ন
বাংলাদেশে গ্রীস্ম
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
নতজানু
সঞ্জীব চৌধুরী	সঞ্জীব (২০২৪)
তুমি যাও
গানের শুরুটা
তুমি আছো নাকি
মন কারিগর
শূন্য লাগে
দুটো মানুষ
মেঘ জমেছে
তার ছায়ায়
প্রবঞ্চনা
মন দাবাড়ু

একক

গানের নাম	অ্যালবাম
স্বাধের সর্বনাশ	তখন ভোর বেলা (১৯৯৫)
সুখ বিলি
এই বুকে
এখানে এখনো বৃষ্টি
তখন ভোর বেলা
দোলাও
সবুজের আলো ধরে
চক্ষু খুলে দেখো
শুধু চোখ
ঘর ফুটপাথ
কৃতদাস
জলের কণা
রানী ঘুমায়
আমার চোখে জল	কোথাও কেউ নেই (১৯৯৭)
মনে কর
তোমার ঐ চোখ
বিবর্ণ স্মৃতি
বন্ধু তুমি
শান্ত দু’চোখ
তারা ভরা রাতে
ছিলো গান ছিলো প্রাণ
এই সাঁঝ মনমাতানো
কেমন আছো
কোথাও কেউ নেই
না বুইঝ্যা মন
রাতের ট্রেন	রাতের ট্রেন (১৯৯৯)
ছোট ছোট অভিমান
বিশ্বাসেতে বস্তু মিলায়
তুমি নেই
আধারে জ্যোসনা হয়ে
কিছুতো একটা বল
ভেসেছি
নিরাবতা
পাখির নীড়ে ফিরে যায়
ধুলো পড়া চিঠি	ধুলো পড়া চিঠি (২০০১)
ঘুম
বহুদিন পর
পরী
খোলা ডাক
পৃথিবী
শব্দহীন
কখনো ইচ্ছা হয়
বন্ধু
আয়না চিরুনী
ভালবাসি
স্বপ্ন
বখাটে নয়	কদিন পরে ছুটি (২০০৩)
সারা জীবন
স্বপ্নের জাহাজ
ক’দিন পরে ছুটি
মনের ঘুড়ি
আমি নেই
শুন্য হৃদয়
তুমি কেদো না
স্বপ্ন রঙের
তুমি আছো তাই
খেয়ালীপনা
এই করছো সেই করছো
দিন বাড়ি যায়	দিন বাড়ি যায় (২০০৬)
ভেবে ভেবে
চাদের কণা
বকুল বেলা
কল্পনগরী
মেঘে ঢাকা শশী
শঙ্খ ভালবাসা
সামান্য এই পথ
অবাক চেয়ে
অজানা এ কোন ভেলা
নির্বাসনে যাবো
হতে পারে
ভালবাসা মানে
ঘুম আসে না	বেঁচে থাক সবুজ (২০১২)
রোদের খোরা
চোখের জলে
পাঠ্যসূচী
মন খারাপের পরেও
লাভ-ক্ষতি
আয় ফিরে আয়
আমি তোমার কে
মেঘ হয়ে যাই
পথের পরে
তুমি রবে নীরবে
জানিনা কোন মন্তরে	জানিনা কোন মন্তরে (২০১৪)
বৃষ্টি আসুক
বাউন্ডুলে চিঠি
কাফে হিলসিডি এভিনিউ
কি করি
একলা পথিক
বিষন্নতার ঢেউ
কোন তরি বাও
ধুলোর পাহাড়
এই গান টা
আমার ভ্রমন
দ্য বাটারফ্লাই (ইন্সট্রুমেন্টাল)
আমার পরান যাহা চায়	বেঁধেছি আমার প্রাণ (২০১৫)
আমি চিনি গো চিনি
তুমি কোন কাননের ফুল
ভালোবেসে সখী
এমন দিনে তারে বলা যায়
বেঁধেছি আমার প্রাণ
পুরানো সেই দিনের কথা
মনে কি দ্বিধা
আগুন লাগাইয়া দিলো কনে	বেনানন্দ (২০১৫)
বেনানন্দো
বাড়ির কাছে আরশী নগর
বনমালী
কারে দেখাবো
জাত গেলো
খাঁচার ভিতর
শ্যাম কালিয়া
কেনো পড়লো চোখ	বোকা ঘুড়ি (২০১৬)
একটা ঘুড়ি
দ্য রেড প্ল্যানেট (ইন্সট্রুমেন্টাল)
জানালার গ্লাস
একটা ছায়া
নদীপথ
যে বেথা	বাপ্পা মজুমদার (২০১৬)
নিঃসঙ্গতা
দেহের আগুন
মনের বিজ্ঞাপন

পুরস্কার ও সম্মানা

সত্তা চলচ্ছিত্রের গানে সূর করার জন্য ২০১৯ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন বাপ্পা মজুমদার।

আরো দেখুন

• বাপ্পা মজুমদার সুরারোপিত চলচ্চিত্র

বহিঃসংযোগ

• দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
• ফেসবুকে priyobappamazumder বাপ্পা মজুমদার
• বাপ্পা মজুমদারের জীবনী