বিষয়বস্তুতে চলুন

যায়যায়দিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(দৈনিক যায়যায়দিন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
যায়যায়দিন
ধরনদৈনিক সংবাদপত্র
ফরম্যাটব্রডশিট
মালিকযায়যায়দিন প্রকাশনা লিমিটেড, এইচআরসি গ্রুপ
প্রকাশকসাঈদ হোসেন চৌধুরী বর্তমানে শফিক রেহমান
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৮৪
ভাষাবাংলা
সদর দপ্তরযায়যায়দিন প্রকাশনা লিমিটেড
তেজগাঁও
ঢাকা
বাংলাদেশ
ওয়েবসাইটwww.jaijaidinbd.com www.jaijaidin.net

যায়যায়দিন বাংলাদেশ থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত একটি দৈনিক সংবাদপত্র। স্বনামধন্য বাংলাদেশি সাংবাদিক শফিক রেহমান কর্তৃক ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত যায়যায়দিন সাপ্তাহিক হিসাবে যাত্রা শুরু করে। [] সংবাদপত্রটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ। শুরুতে এটি সাপ্তাহিক যায়যায়দিন হিসেবে প্রকাশিত হয়ে আসছিল। উল্লেখ্য যে, এটি প্রথম বার দৈনিক হিসেবে ট্যাবলয়েড আকারে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। [] সে সময় তেমন সাড়া না পাওয়ায় দৈনিক হিসেবে প্রকাশ বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর আবার ২০০৬ সালে নতুন আঙিকে পত্রিকাটি দৈনিক হিসেবে প্রকাশ আরম্ভ হয়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

৮০ দশকের শেষে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সাপ্তাহিক পত্রিকাটি আলোচিত ভূমিকা পালন করে। ফলে এরশাদ সরকার কর্তৃক তৎকালীন সম্পাদক শফিক রেহমান [] বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন ও পত্রিকাটি সে সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ১২ মার্চ পত্রিকাটির ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) ঢাকা জেলা প্রশাসন কর্তৃক বাতিল করা হয়। পত্রিকাটি অনুমোদিত প্রেস থেকে ছাপা না হওয়া এবং মুদ্রণ সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য প্রদানে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।[]অবশেষে দীর্ঘ ১৮ বছর পর দৈনিক যায়যায়দিন প্রকাশের অনুমতি পেলেন বা ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন।[]

অবস্থান ও কার্যালয়

[সম্পাদনা]

যায়যায়দিন পত্রিকাটি ঢাকায় "যায়যায়দিন মিডিয়াপ্লেক্স" ভবনে অবস্থিত। যায়যায়দিন মিডিয়াপ্লেক্স ঢাকার তেজগাঁও বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত। কমপ্লেক্সটি দুটি দালান নিয়ে গঠিত। দক্ষিণের দালানটি তিনতলা বিশিষ্ট। এর নিচতলায় প্রকাশনা শাখা, বাণিজ্যিক বিভাগ, বিপণন বিভাগ ও অভ্যর্থনা ডেস্ক অবস্থিত। দ্বিতীয় তলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। গোলটেবিল বৈঠকের জন্য "ক্লিনটন রুম" ব্যবহৃত হয়। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া এ. বিউটেনিস এই কক্ষের উদ্বোধন করেন।

বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজনের জন্য রয়েছে "মাহাথির রুম"। "মনরো স্টুডিও" পত্রিকার ফটোস্টুডিও ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। "হিচকক হল" হচ্ছে, একটি ৪০ আসনের মুভি থিয়েটার। এর পরে আছে "পিকাসো গ্যালারি" এবং "চে ক্যাফে"। এখানে যায়যায়দিনের জনপ্রিয় কলাম "চে ক্যাফেতে দশ মিনিট" আয়োজন করা হয়। তৃতীয় তলা সংবাদকর্মীদের কর্মস্থল। সংবাদ, সম্পাদকীয়, নিবন্ধ ও ফটোগ্রাফি বিভাগ এখানে অবস্থিত। এই তলায় কাজ করার উপযোগী ১৭৬টি ডেস্ক রয়েছে।

উত্তরের দালানটি দুইতলা বিশিষ্ট। নিচতলায় প্রকাশিত সংবাদপত্র জমা রাখা হয়। পুরো কমপ্লেক্সের বিদ্যুৎ শক্তিকেন্দ্র এখানেই রয়েছে। প্রথম তলায় ৪৪ আসনের ডরমিটরি রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীদের স্বল্পকালীন মেয়াদে যায়যায়দিন মিডিয়াপ্লেক্স পরিদর্শনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একারণে ডরমিটরিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। যায়যায়দিন এসব শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি সংবাদপত্র প্রকাশনা বিষয়ক স্বল্পকালীন কোর্সও পরিচালনা করে থাকে। এই তলায় "মাও ক্যান্টিন" অবস্থিত।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Shafik Rehman - who is he?"দ্য ডেইলি স্টার। এপ্রিল ১৬, ২০১৬। 
  2. "JAY JAY DIN"shongjog.org.bd। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০২০ 
  3. "Who is Shafik Rehman?"ঢাকা ট্রিবিউন। এপ্রিল ১৬, ২০১৬। জুলাই ২৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৮, ২০২০ 
  4. প্রতিবেদক, বিশেষ (২০২৫-০৩-১২)। "দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার 'ডিক্লারেশন' বাতিল"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-১২ 
  5. রিপোর্টার, স্টাফ (২০২৫-০৩-১৮)। "দৈনিক যায়যায়দিন-এর ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান"দৈনিক আমার দেশ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]