মিলা ইসলাম
তাসবিয়া বিনতে শহীদ মিলা | |
---|---|
২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্টের ওহলোন কলেজে পারফর্ম করছেন মিলা | |
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | তাসবিয়া বিনতে শহীদ মিলা |
জন্ম | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ | ২৬ মার্চ ১৯৮৮
উদ্ভব | চট্টগ্রাম |
ধরন | ফিউশন, লোক |
পেশা | সঙ্গীতশিল্পী |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ |
কার্যকাল | ২০০৬–বর্তমান |
লেবেল | জি-সিরিজ |
তাসবিয়া বিনতে শহীদ মিলা (জন্ম:২৬ মার্চ, ১৯৮৮; মিলা ইসলাম নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত) একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।[১][২] তিনি ফিউশন ও লোকধারার গান পরিবেশন করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]মিলা সামরিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা শহীদ ইসলাম, সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং মা স্বপ্না ইসলাম ছিলেন একজন নজরুলসংগীত শিল্পী। মাত্র তিন বছর বয়সে মায়ের তত্ত্বাবধানে তার সংগীত শিক্ষা শুরু হয়। কিছুটা বড় হওয়ার পর তিনি বিভিন্ন ধ্রুপদী সংগীতের ওস্তাদের কাছে তালিম নেয়া শুরু করেন। মাধ্যমিক (এসএসসি) সম্পন্ন করার পর তিনি সংগীতকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]শাস্ত্রীয় ও নজরুল সংগীতে প্রশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও মিলা তাঁর সংগীতজীবনের শুরু থেকেই মূলধারায় ওয়েস্টার্ন পপ, রক এবং হিপ-হপ ঘরানাকে বেছে নেন।[৩]
২০০৬ সালে প্রকাশিত তার প্রথম একক অ্যালবাম “ফেলে আসা” দিয়ে মিলা সংগীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশ করেন। এই অ্যালবামটিতে কয়েকজন সংগীত পরিচালক পরিচালনা করেন। মিলার দ্বিতীয় অ্যালবাম ছিল চ্যাপ্টার ২, যেখানে “রূপবানে নাচে কামর দোলাইয়া” ও “বাবুরাম সাপুরা” গান দুটি ছিল এবং পরিচালক পরিচালনায় ছিলেন ফুয়াদ। ২০০৯ সালে প্রকাশিত তার তৃতীয় অ্যালবাম রি-ডিফাইন্ড-এর সুরকারও ছিলেন ফুয়াদ। এই অ্যালবামে “দোলা দে রে” ও “তুমি কি সাড়া দেবে” গান দুটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা পায়।[৪]
২০১১ সালের পর মিলা “নাচো” (২০১৫), “ঈশ্বর জানে” (২০১৬), “আইস্যালা” (২০২০), এবং “টোনা টুনি” (২০২৪) শিরোনামের গান প্রকাশ করেন।
একক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি মিলা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবেও কাজ করেছেন। তার কণ্ঠ বিভিন্ন বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের সাউন্ডট্র্যাকে শোনা গিয়েছে। সাত বছর বিরতির পর ২০২৫ সালে ইনসাফ চলচ্চিত্রের জন্য “প্রেম পুকুরে বরশি ফেলে আনবোরে ধরে” শিরোনামের গানের মাধ্যমে তিনি ফের প্লেব্যাক গানে ফিরে আসেন।[৫]
সংগীতমালা
[সম্পাদনা]ফেলে আসা (২০০৬)
[সম্পাদনা]- নির্জন রাত
- ছেঁড়া পাল
- মেলা
- ফেলে আসা
- এই মন
- রাগ
- দরজা খুলে
- ভুল করে
- তুমি জানো না
চ্যাপ্টার ২ (অক্টোবর, ২০০৭)
[সম্পাদনা]- বাবুরাম সাপুড়ে
- মেঘের দল
- যাত্রাবালা
- শুকনো পাতার নূপুর
- শ্রাবণ
- চুপি চুপি
- অভিমান
রি-ডিফাইন্ড (২০০৯)
[সম্পাদনা]গানের তালিকা
- দোলা
- বৃষ্টি নাচে তালে তালে
- ডিস্কো বান্দর
- নীরবে
- নিশা লাগিল রে
- তুমি কি সাড়া দিবে?
- বিশ্বাস
- খোলা আকাশ
- বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর
কনসার্ট
[সম্পাদনা]২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র) একটি সরাসরি সঙ্গীতানুষ্ঠান “ফুয়াদ লাইভ” এ মিলা গান পরিবেশন করেন, এই অনুষ্ঠানের সকল গান সুরকার, গীতিকার হলেন ফুয়াদ আল মুক্তাদির।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "করোনা সচেতনতায় মিলার পালাগান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২০।
- ↑ "মিলার দাপুটে ফেরা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২০।
- ↑ ক খ "সময় এখন মিলার"। banglanews24 (প্রকাশিত হয় ২০২৫-০৭-০২)। ২০১০-০৭-০২। ২০২৫-০৫-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৪।
- ↑ "Mila's Redefined hits the music scene"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৮-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-১২।
- ↑ "Mila returns to playback singing after seven years" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৫-০৩-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২৮।
- ↑ Mainul Hassan (২০০৮-১১-২১)। "Fellow artistes perform songs of the mix-master"। দ্য ডেইলি স্টার। ২০১১-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-০৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]